গত এক বছর আগেও AI অনেক পিছিয়ে ছিল। আজ AI অন্য লেভেলে চলে এসেছে। সামনের এক বছরে হয়তো আরো অনেক উন্নতি করবে। এগুলো দেখে একটা কিছু সহজেই প্রিডিক্ট করা যায়। আর তা হচ্ছে সামনে আমাদের আর কোড লিখতে হবে না। আমরা শুধু মাত্র কেমন প্রজেক্ট চাই, তা ঠিক মত লিখব বা বলে দিব। AI সুন্দর মত ঐ প্রজেক্ট করে দিবে। যাকে আমরা বলি ভাইব কোডিং।
এখনি Cursor, VS Code, Trae সহ যে কোন AI কোড এডিটরে কমান্ড দিয়ে দারুণ সব প্রজেক্ট ডেভেলপ করে ফেলতে পারবেন। এগুলোতে বিল্টইন AI এজেন্ট রয়েছে রয়েছে। শুধু আপনাকে বলে দিতে হবে কি ধরণের প্রজেক্ট ডেভেলপ করতে চাচ্ছেন।আর কিছু না। প্রোডাকশন রেডি প্রজেক্ট তৈরি করা যায়।
সামনে আমাদের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে না। যেমন এখন আমরা লো লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন অ্যাসেম্বলি শিখি না। হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ শিখি। যেগুলো আমাদের জন্য মেশিন রিডেবল কোড জেনারেট করে দেয়। AI ঠিক এই কাজটা করবে সামনে। কোন স্প্যাসিফিক ল্যাঙ্গুয়েজে না লিখে আমরা ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করব। AI বাকি কাজ করে দিবে। ফলে প্রজেক্ট অনেক ফাস্ট হবে। এগুলো ফিউচারের কথা। হয়তো খুব শীগ্রই এমন হবে। দেখা যাক।
তবে বর্তমানে আমরা কোন প্লাটফর্মের জন্য প্রজেক্ট তৈরি করব এবং কোন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে প্রজেক্ট তৈরি করব, এসব বলে দিতে পারি। যেমন আমরা একটা অ্যাপ তৈরি করব। যেটা iOS, Android, Mac, PC সব যায়গায় সাপোর্ট করবে। এর জন্য আমরা ফ্লাটার চুজ করতে পারি। এরপর কি ধরণের প্রজেক্ট তৈরি করব, তা ঠিক করব।
এই প্রজেক্ট যে কোন ধরণের হতে পারে। আপনার আইডিয়া যত সুন্দর হবে, আপনি তত সুন্দর প্রজেক্ট তৈরি করতে পারবেন।
যেমন আমরা একটা অ্যাপ তৈরি করব, যা ব্যবহারকারীর পানির খাওয়ার রিমাইন্ডার দেবে।
এরপরের কাজ হচ্ছে AI এজেন্টকে কমান্ড দেওয়া। এই কমান্ড আপনি খুব সহজ ভাবেও দিতে পারেন। যেমনঃ Create a Flutter project which will remind the user to drink water. অথবা আরো ডিটেইলস কমান্ড লিখতে পারেন। যেমনঃ
Build a mobile app that reminds users to drink water every 2 hours. The app should have:
- User registration and login (Firebase authentication)
- A home screen with next reminder timer
- Push notification support
- History of water intake
Use Flutter as the framework. Save user data locally with SQLite.
কি কমান্ড লিখবেন, তাও যদি না জানেন, তার জন্যও AI এর হেল্প নিতে পারেন। যেমন চ্যাটজিপিটিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন ‘আমার এই ধরণের একটা অ্যাপ বানাতে হবে। এই এই ফিচার লাগবে। AI বিল্ডার দিয়ে প্রজেক্টটি তৈরি করার জন্য সুন্দর একটা কমান্ড লিখে দাও।’ সে লিখে দিবে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী ঐ কমান্ড মডিফাই করে নিতে পারেন।
এরপর AI এজেন্ট কিছু সময় নিয়ে আস্তে আস্তে কোড লিখবে। দরকারি ফাইল এবং ফোল্ডার তৈরি করবে।
এরপরের কাজ হচ্ছে কোড রান করে দেখা। সাধারণত এখন বিল্ডার নিজেই রান করে দেখে। যদি কোন ভুল থাকে, নিজে নিজে সেগুলো শুধরিয়ে নেয়।
রান হলে দেখব কত সহজে সুন্দর একটা অ্যাপ ডেভেলপ করে দিয়েছে আমাদের। উপরে আমি ফ্লাটারের কথা বললাম। আপনি আপনার পছন্দের যে কোন স্ট্যাকে প্রজেক্ট তৈরি করে নিতে পারেন।
যে কোন ধরণের প্রজেক্টই তৈরি করতে পারবেন। এখন AI এজেন্ট বা ChatGPT, Gemeni, Gork, DeepSeek সহ যে কোন জেনারেটিভ AI মডেলে যদি যে কোন ডিজাইন আপলোড করলেও কোড লিখে দিবে। ছবি পারফেক্ট না হলেও সমস্যা নেই। আপনি হাতে আঁকা স্কেচও ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে অনেক সুন্দর সুন্দর সব ডিজাইন পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথমবার তৈরি করার পর হয়তো কিছু ফিচার আপনার মন মত হবে না। আবার বাড়তি কিছু ফিচার যোগ করতে হতে পারে। তখন আবার AI কে কমান্ড দিলে সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করে দিবে।
AI দিয়ে প্রজেক্ট তৈরি করলে অবশ্যই গিট ব্যবহার করুন। দেখা গেলো প্রজেক্ট অনেকদূর করার পর AI এমন কিছু ভুল করে বসল, যেগুলো সে নিজে আর সমাধান করতে পারছে না, তখন আপনি গিট ব্যবহার করলে সহজেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন। গিট ব্যবহার না করলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর প্রধান কারণ AI অনেক গুলো ফাইল এক সাথে এডিট করে। কোন কোন ফাইল এডিট করেছে, কি কি পরিবর্তন করেছে, এসব সহজেই ট্র্যাক রাখা যায় গিট ব্যবহার করে। আর গিট না জানা থাকলে গিট ও গিটহাব বইটা পড়তে পারেন। AI বিল্ডারের মাধ্যমে প্রজেক্ট ডেভেলপ করতে গেলে এই জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ থেকেও গিট জানা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন প্রজেক্ট বা পূর্বের প্রজেক্টে AI দিয়ে কোন কিছু পরিবর্তন করতে বলার পর সোর্স কন্ট্রোল থেকে কি কি ফাইল পরিবর্তন হয়েছে, সেগুলোর লিস্ট দেখা যাবে।
আবার কোন ফাইলে ক্লিক করলে পূর্বে কেমন ছিল, নতুন অবস্থায় কি কি যোগ করেছে বা বাদ দিয়েছে, এসব দেখা যাবে।
ফলে AI দিয়ে জেনারেট করা কোড ডিভাগ করা সহজ হবে।
আবার কোন কারণে এমন কিছু সমস্যা তৈরি করেছে, সেগুলো সহজেই বাদ দিতে পারি git stash কমান্ডের মাধ্যমে। এর ফলে সর্বশেষ কমিট করা অবস্থায় প্রজেক্ট পেয়ে যাবো।
এভাবে কাজ করতে পারেনঃ
- প্রথমে প্রজেক্ট তৈরি।
- প্রথমবার রান করে দেখা। যদি কাজ করে, তাহলে গিট ইনিশিয়ালাইজ করে নেওয়া এবং প্রথম কমিট করা।
- এরপর যতবার সঠিক ভাবে AI কোন নতুন ফিচার যোগ করবে বা কোন কিছুর সমাধান করবে, তা সাথে সাথে কমিট করে নিবেন। বেশির ভাগ কোড এডিটরেই Source Control ট্যাব থেকে সহজেই কমিট মেসেজ লিখে কমিট করে নিতে পারবেন। টার্মিমান ব্যবহার করা লাগবে না।
- এরপর যদি AI এমন কোন ভুল করে, তা ফিক্স করা যাচ্ছে না, সহজেই স্ট্যাস করে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন।
এখনি AI এর উপর পুরাপুরি ডিপেন্ডেন্ট না হয়ে যে স্ট্যাকের জন্য প্রজেক্ট ডেভেলপ করেছেন সেই স্ট্যাক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়াশুনা করতে পারেন। AI অনেক সময় খুবি সামান্য সমস্যা ধরতে পারে না। নিজে কোডিং জানলে সমস্যাটা সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন।
AI কে সিরিয়াসলি নেওয়ার সময় হয়েছে। কিভাবে ইফিশিয়েন্টলি AI ব্যবহার করা যায়, তা হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিল।