পজেটিভ vs নেগেটিভ এনার্জি

পজেটিভ মানুষের সাথে মিশলে পজেটিভ এনার্জি পাওয়া যায়। নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। হাসি বা কান্না যেমন সংক্রমক, তেমনি এই পজেটিভ এনার্জিও সংক্রমক। এই এনার্জি একজন থেকে আরেকজনের কাছে ​সঞ্চালিত হয়।

ঠিক এর উল্টো ঘটে নেগেটিভ মানুষের সাথে মিশলে। সারাক্ষণ মনে হতে থাকবে আমি ভুল কিছু করেছি কিনা। আমার দ্বারা সম্ভব না। আমি যোগ্য না। এমন আরো কত কিছু।
কারো সাথে মেশার পর যদি নিজের মধ্যে পজেটিভ পরিবর্তনের পরিবর্তে নেগেটিভ পরিবর্তন আসে, তাহলে তার সঙ্গ ত্যাগ করাই উত্তম হবে। আমরা যাদের সাথে মিশি, তাদের মত হয়ে উঠি। এটাই হিউম্যান নেচার।

এখন সবাই যদি পজেটিভ মানুষ খুঁজি, তাহলে নেগেটিভ মানুষের সাথে মিশবে কে? তাদেরও তো এগিয়ে নিতে হবে। আমরা একটা সমাজের অংশ। একা এগিয়ে যাওয়া যায় না। সবাইকে নিয়েই এগুতে হয়। যদি মনে করেন আপনি কারো জীবনে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন, তাহলে তা করা উচিৎ। অন্যকে সাহায্যের চর্চা করলে নিজেরও জন্যও কল্যাণ বয়ে আনে। নিজের উন্নতি ঘটে। সব কিছুই চর্চার ব্যাপার। আপনি যে বিষয় চর্চা করবেন, আপনার জীবন ঠিক সে ভাবেই গড়ে উঠবে। আর কাউকে সাহায্য করলে দরকারের সময় নিজেও এমন এমন যায়গা থেকে সাহায্য পাবেন, যা কল্পনারও বাহিরে ছিল।

জ্ঞান আলোর মত। একা একা জ্বললে কতটুকুই বা জ্বলবে। অন্ধকারে একটা জোনাকি পোকার মত মনে হবে। কিন্তু এই আলো পাশের জনের কাছে পৌঁছে দিলে সেও জ্বলে উঠবে। সে তার পাশের আরো কয়েকজনকে আলোকিত করতে পারবে। এভাবে সবাই যখন আপন আলোয় আলোকিত হবে, কত সুন্দরই না দেখাবে। একটা মাঠে এক সাথে অনেক গুলো জোনাকি দেখেছেন কখনো? কত সুন্দরই না দেখতে, তাই না? তবে যতটুকু পারা যায়, নেগেটিভ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। তারা আলো জ্বালাতে না পারলেও আলো নিভিয়ে দিতে ঠিকই পারবে।

“There are two types of people who will tell you that you cannot make a difference in this world: those who are afraid to try and those who are afraid you will succeed.” — Ray Goforth

Leave a Reply