আমরা তাই স্বপ্ন দেখি, যা আমরা পূরণ করতে পারি। কারো কারো পূরণ হয়। কারো কারো পূরণ হয় না। যাদের পূরণ হয়, তারা যেমন, আমরাও তেমন। শুধু একটাই পার্থক্য, তারা স্বপ্ন দেখার পাশা পাশি চেষ্টা করে।
ছোটবেলায় আমাদের কারো কারো আইসক্রিমওয়ালা হতে ইচ্ছে করত। ঐটাকে এক ধরণের স্বপ্নই তো বলা যায়। আইসক্রিমওয়ালা হওয়া কত সহজ, তাই না? কিন্তু তখন ঐ আইসক্রিমওয়ালা হওয়াই সবচেয়ে কঠিন ছিল।
আকাশে বিমান উড়ে যাওয়া দেখে কত কৌতূহল। বড়দের কত প্রশ্ন এ সম্পর্কে। এক সময় আমরা জানতে পারি পাইলটেরা ঐ বিমান গুলো চালায়। তখন ইচ্ছে হতোনা পাইলট হতে?
বিটিভির প্রতি সপ্তাহের মুভি দেখে নায়কের মত হতে ইচ্ছে করত না, যে ডিসুম ডিসুম করে সব খারাপ লোককে মেরে পেলত?
ডিসকভারিতে Bear Grylls এর শো দেখে তার মত হতে ইচ্ছে করত না? করত করত! সাপ, কেঁচো, ব্যাঙ খেয়ে পেলার পার্টটুকু ছাড়া তার মত হতে কার না ইচ্ছে করবে?
দেখেন না, আমরা স্বপ্ন তাই দেখি, যা আমরা পরিবেশ থেকে শিখি। আমরা এমন স্বপ্ন খুব কমই দেখি, যেমন একটা এলিয়েনের সাথে বন্ধুত্ব করা, এলিয়েনের দেশে যাওয়া। এগুলো আমাদের চিন্তা। আমরা চিন্তা করি যদি এলিয়েন থাকত, তাহলে কেমন হতো। কিন্তু আমাদের লাইফ গোল এলিয়েন নিয়ে না। দুই একজনের লাইফ গোল হয়তো এলিয়েন নিয়ে হতে পারে। আসলে তারা নিজেরাও এক প্রকারের এলিয়েন। ওরা স্বাভাবিক মানুষ না। বন্ধুদের মধ্যে দুই একজন এমন খুঁজে পাওয়া যাবে। তাদের আমরা এলিয়েন নামেই ছিনি। ঐ রকম অস্বাভাবিক মানুষ ও কিন্তু আমাদের দরকার আছে।
আমরা স্বপ্ন দেখি পাইলট হওয়ার, আমরা স্বপ্ন দেখি নায়ক/নায়িকা হওয়ার, আমরা স্বপ্ন দেখি একজন এন্টাপ্রেনার হওয়ার, কেউ স্বপ্ন দেখি লেখক হওয়ার, কেউ স্বপ্ন দেখি এলাকার সুন্দরী মেয়েটিকে বিয়ে করার :p একজনের স্বপ্ন এক রকম। যার স্বপ্ন যেটাই হোক, তাই পূরণ করা সম্ভব। একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব।
স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কাজ করতে হয়। শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে হয় না। সার্টিফিকেট দিয়ে ভালো জব পাওয়া যায়। সার্টিফিকেটের পাশা পাশি আমরা যাই অর্জন করি, সেগুলোই সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়। নিজের কোন সখের প্রজেক্ট থেকেই বড় কিছু হয়। বড় কিছু হয় স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি বা বিজ্ঞান মেলার জন্য তৈরি করা প্রজেক্ট থেকে।
পড়ালেখা করি। পড়ালেখার পাশাপাশি দুনিয়াটাকে এক্সপ্লোর করি। নতুন কিছু শিখি। নতুন সব শেখাকে একই সুতোয় গাথার চেষ্টা করি। যত বড় স্বপ্নই হোক, পূরণ হবেই হবে।
হে হবে একদিন টিক হবে