ফ্রিল্যান্সিং যখন শুরু করি, তখন দেশে টাকা আনার জন্য খুব ভালো কোন মাধ্যম ছিল না। আমার প্রথম আর্নিং ছিল গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে। খুবি সামান্য কিছু ডলার। ব্লগস্পটে ব্লগ খুলে প্রোগ্রামিং নিয়ে কিছু লেখা লিখি। সেগুলো থেকে আস্তে আস্তে কিছু ডলার জমা হয়। যেগুলো পরবর্তীতে চেকের মাধ্যমে গুগল পাঠায়। এরপর ঐ চেক ভাঙ্গানোর জন্য একাউন্ট খুলি ব্যাংকে। সম্ভবত ব্যাংক জানায় যে চেক একাউন্ট খোলার আগের ডেটে হওয়ার কারণে ঐ চেক ভাঙ্গানো যাবে না। গুগলে আবার নতুন চেকের জন্য আবেদন করি। এরপর নতুন চেক আসার পর ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর টাকা পাই। ব্যাংক কিছু টাকা কেটে রাখে প্রসেসিং ফি হিসেবে। এভাবেই প্রথম অনলাইন আর্নিং হাতে পাই। বলা যায় তাও অনেক সহজেই পেয়েছি। অনেকের আরো অনেক কষ্ট করেই টাকা আনতে হতো। এরপর তো গুগল ডাইরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার বা ওয়ার ট্রান্সফার যুক্ত করে। যদিও আমি ততদিনে আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি।
আপওয়ার্কের আগের নাম ছিল ওডেস্ক। ওডেস্ক থেকে টাকা দেশে আনার জন্য তখন পেওনিয়ার ছিল একমাত্র ভ্যালিড মাধ্যম। পেওনিয়ারে যদিও রেট কম পাওয়া যেত। এরপরও পেওনিয়ার ব্যবহার করেই অনেক ফ্রিল্যান্সার খুব সহজে নিজের আর্নিং গুলো দেশে আনতে পেরেছে। এরপর ওডেস্কে ব্যাংক ট্রান্সফার যুক্ত করে। আরো সহজ হয়ে যায় আর্নিং গুলো দেশে আনার। এখন প্রায় সব গুলো ফ্লাটফর্মে অনেক গুলো মাধ্যমেই টাকা দেশে আনা যায়। বর্তমানে সবচেয়ে বেটার যে ফ্লাটফর্ম, তা হচ্ছে Wise – ওয়াইজ। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার এখন ওয়াইজ ব্যবহার করে থাকেন। এর প্রধান কারণ ওয়াইজ আর্নিং সবচেয়ে বেটার রেট দিয়ে থাকে।
ওয়াইজে একাউন্ট খোলার পর সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। প্রথমে আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। এরপর ভেরিফাই করতে হবে। তারপরই আপনি ওয়াইজ ব্যবহার করা শুরু করতে পারবেন। আর ওয়াইজ একাউন্ট সেটআপের স্টেপ গুলো দেখিয়ে দিচ্ছি।
- প্রথমে ওয়াইজ একাউন্ট খুলে নিতে হবে। এই লিঙ্ক থেকে একাউন্ট খুললে আপনি ফ্রিতে 500 ডলার পর্যন্ত ট্রান্সফার করার সুযোগ পাবেন। এটা আমার রেফারেল লিঙ্ক।
এখানে আপনার ইমেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে Claim your fee-free transfer এ ক্লিক করবেন। এরপরের স্টেপে আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
আপনার মোবাইলে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে। ঐ ভেরিফিকেশন কোড ইনপুট দেওয়ার পর ওয়াইজ একাউন্ট ওপেন হয়ে যাবে। এরপর আপনি আপনার নাম, ছবি, জন্ম তারিখ এসব সেট করতে পারবেন।
- ওয়াইজ একাউন্ট খোলার পর দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে আপনার একাউন্টে একটা কারেন্সি একাউন্ট যুক্ত করা। আমরা যখন পেওনিয়ার একাউন্ট খুলি, তখন সরাসরি পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করতে পারি। ওয়াইজের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রয়েছে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটা কারেন্সি একাউন্ট যুক্ত করে নিতে হবে। ভালো হয় যদি মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করে মোবাইল অ্যাপ থেকে করতে পারেন। ডেস্কটপ থেকেও করতে পারেন। তার জন্য সাইডবার থেকে Open a balance এ ক্লিক করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপ হলে অ্যাপে লগইন করার পর হোম পেইজ থেকে Open এ ক্লিক করতে হবে।
আমার এখানে অলরেডি একটা USD একাউন্ট খোলা রয়েছে, তাই দেখাচ্ছে। Open এ ক্লিক করার পর আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে কোন কারেন্সি একাউন্ট যুক্ত করবেন। যেমন USD হলে United State Dollar, Euro হলে Euro ইত্যাদি থেকে সিলেক্ট করে নিবেন। এরপর পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করতে বলবে। একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য ন্যাশনাল আইডির স্মার্ট কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন। এছাড়া আপনার একটা সেলফিও চাইবে।
এখনি শেষ হয়নি একাউন্ট সেটআপ। আপনাকে সর্বশেষ কিছু টাকা আপনার একাউন্টে যোগ করতে হবে। এমাউন্টটা দেখাবে ঐ কারেন্সির একাউন্টে। সাধারণত প্রায় 30 ডলারের মত। চাইলে অন্য কোন ওয়াইজ একাউন্ট হোল্ডারের সাহায্য নিতে পারেন। সে আপনাকে ৩০ ডলারের মত পাঠালে আপনার একাউন্ট রেডি হয়ে যাবে। এই এমাউন্ট শুধু মাত্র একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য। একাউন্ট ভেরিফাই হওয়ার পর আপনি আবার ঐ এমাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি যার থেকে নিয়েছেন, তাকে ফেরত দিতে পারবেন।
ওয়াইজ একাউন্টে কারেন্সি একাউন্ট যুক্ত হলে আপনাকে ব্যাংক ডিটেইলস দিবে। যে ডিটেইলস ব্যবহার করে আপনি আপনার আর্নিং ওয়াইজে নিতে পারবেন। এছাড়া অন্য কোন ওয়াইজ একাউন্ট থেকে সহজেই আপনার ইমেইল ব্যবহার করে আপনার একাউন্টে ডলার পাঠাতে পারবে। যারা সরাসরি কোন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করেন, তাদের এই ফিচার কাজে লাগবে।
USD কারেন্সি যুক্ত হওয়ার পর যদি ব্যাংক ডিটেইলস ব্যবহার করতে চান, তাহলে দুই ধরনের অপশন থাকবে। একটা হচ্ছে Inside the US আরেকটা হচ্ছে Outside the US। আপনার ক্লায়েন্ট যদি US থেকে টাকা পাঠায়, তাহলে Inside the US এর ব্যাংক ডিটেইলস ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে বলবেন। আর অন্য দেশের হলে Outside the US এর ব্যাংক ডিটেইলস ব্যবহার করবেন।
ওয়াইজ থেকে টাকা ব্যাংকে ট্রান্সফারঃ
ওয়াইজে আপনার আর্নিং নেওয়ার পর তা বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে বা বিকাশে আনতে পারবেন। তার জন্য ওয়াইজ অ্যাপ বা ওয়েব থেকে Send এ ক্লিক করবেন। এখানে আপনাকে দেখাবে কত রেট করে পাবেন। কত টাকা ফি নিবে।
কত টাকা পাঠাবেন, তা সিলেক্ট করে Continue তে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে কোথায় টাকা পাঠাবেন, তা সিলেক্ট করা যাবে। এখানে যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করা না থাকে তাহলে যুক্ত করে নিতে পারবেন Add a new recipient। আপনি লোকাল ব্যাংক এবং বিকাশ যুক্ত করে নিতে পারবেন।
ব্যাংক বা বিকাশের তথ্য দিয়ে Confirm করার পর ব্যাংক অথবা বিকাশ সিলেক্ট করে দিলে আপনার ব্যাংক অথবা বিকাশে টাকা চলে যাবে। সাধারণত এক দিনের মধ্যেই টাকা চলে আসে। বন্ধের দিন হলে দুই একদিন বেশি সময় লাগতে পারে।
উপরের কোন তথ্য বুঝতে অসুবিধে হলে বা আর কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
পেপাল, পেওনিয়ার থেকে কি ডলার ওয়াইজে পাঠানো যায়?
জ্বি, যাবে।
যেহেতু ব্যাংক ডিটেইলস দেয়া থেকে, সেহেতু পাঠানো সম্ভব মনে হয়।
পেপাল থেকে কি ওয়াইজে ডলার আদান-প্রদান করা যায়?
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! আমি অবশ্যই বলতে পারি যে ইদানীং আমি প্রায়শই অর্থ স্থানান্তর নিয়ে সমস্যা শুরু করেছি, বিশেষত আমি বিভিন্ন বাজি সাইট ব্যবহার শুরু করার পরে. এখন আমি খুঁজে পেয়েছি https://bettingbangladesh.online/bn/, এবং সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু আগে এটা সত্যিই আমাকে বিরক্ত, এবং আমি এটা দিয়ে অসুবিধা অনেক ছিল.
সুন্দর একটি পোস্ট