সুহার সাথে দেখা হয়েছে নিলয়দের ক্যাম্পাসে গিয়ে। নিলয়দের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর নিলয় বললঃ তন্ময়, এই হচ্ছে সুহা।
সুহা? কি অদ্ভুত নাম। হয়তো সে প্রথম শুনেছে এই নাম। তাই অদ্ভুত লাগল। তন্ময় বলল হ্যালো সুহা। সুহা উত্তর দিল, হ্যালো।
ঐ দিন নিলয় আর সুহাদের সাথে ওদের ক্যাম্পাসে অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়া হয়েছে। বিদায় নেওয়ার আগে সুহার মোবাইল নাম্বার নিলো তন্ময়। সুহাও তন্ময় এর নাম্বার সেভ করে নিলো। ফেরার সময় তন্ময় এর বার বার মতে হতে লাগল, আরেকটু আড্ডা দেওয়া যায় না? ভালোই তো লাগছিল।
বিকেলের দিকে বার বার ইচ্ছে করছিল সুহাকে কল দিতে। লজ্জা লজ্জা। মেয়েটি কি ভাববে। আজই মাত্র পরিচয় হয়েছে। এ ছাড়া বন্ধুর ক্লাসমীট। আনইজি লাগল। রাতে আর নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারে নি। সুহার নাম্বারে ছোট্ট একটা sms দিল। Hi.. লিখে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই রিপ্লাই, Hello.. । তন্ময় আবার লিখল, কি খবর, ঠিক মত গিয়ে পৌঁছিয়েছেন? সাথে সাথেই রিপ্লাই, জ্বি। এভাবেই শুরু। sms থ্রেড বড় হতে লাগল। গুড নাইট বলে প্রথম দিনের sms দেওয়া শেষ হলো। পরের দিন সকালে আবার গুড মর্নিং দিয়ে শুরু। কিছুক্ষণ sms কিছুক্ষণ মোবাইলে কথা। সব মিলিয়ে বলা যায় সারাক্ষণ এক জন আরেকজনের সাথে কথা বলে চলছে।
তন্ময় নিজের মোবাইলটি যেখানে দিনে একবার চেক করত কিনা সন্ধেহ, সেখানে এখন সারাক্ষণ হাতে থাকে। ওয়াটার প্রুফ হওয়াতে এমনকি বাথরুমে যাওয়ার সময়ও। তন্ময় নিজের কাজ কর্মে নিজেই অবাক। সুহার sms আসতে একটু দেরি হলেই কেমন অসস্থি লাগা শুরু হয়। বার বার মোবাইলের দিকে তাকায়। অন্য কোন দিকে মনোযোগ দিতে পারে না।
সারাক্ষণ কথা বললেও সুহার সাথে বার বার দেখা করতে ইচ্ছে করে। কিভাবে যে বলে। আবার ও সব চিন্তা বাদ দিয়ে হুট করে বলে ফেলল, দেখা করা যায়? সুহাও বলল, কেন নয়?
কেমন অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করা শুরু করল, ঐ প্রথম দিন থেকেই। অথচ মেয়েটির সাথে মাত্র একবার দেখা হয়েছে। তন্ময় ভাবল, সে কি ডেটে যাচ্ছে প্রথম বারের মতো? কেন এত আপন মনে হয় মেয়েটিকে? এটাকে কি প্রেম বলে?