বাংলাদেশের সুন্দরতম দর্শনীয় স্থান গুলোর একটি হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। মূলত রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। অনেক বেশি সুন্দর একটা জায়গা। আরো আগেই আসা উচিত ছিল। এখানে আসাও সহজ। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি। সেখান থেকে জীপে করে সাজেক ভ্যালি। খাগড়াছড়ি থেকে আসতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মত লাগে। দুই পাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখে কখন যে পৌছাবেন, টেরই পাওয়া যাবে না। থাকার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ঘরোয়া পরিবেশের সুন্দর খাবার। সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট গুলো রুইলুই তে অবস্থিত। অনেক পরিষ্কার এবং গোছানো একটি জায়গা। অনেক নিরিবলি। সাজেক ভ্যালিকে বাংলার দার্জেলিং বলে। আমার কাছে দার্জেলিং থেকে সাজেক ভ্যালি ভালো লেগেছে। কারণ দার্জেলিং এ অনেক হিবিজিবি। সাজেক সত্যিকারের নিরিবিলি।
বিজয় দিবসের দিন আমরা সাজেক ভ্যালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। এসেছি S Alam পরিবহনে করে। রাত এগারটায় বাস ছিল। কলাবাগান থেকে। সায়দাবাদ ছেড়ে আসতে প্রায় ১২টা ভেজে গিয়েছে। হাইওয়ে যত গুলো হোটেল রয়েছে, সব গুলোর কোন না কোন প্রবলেম থাকেই। আজই প্রথম একটা হোটেলে গাড়ি থামিয়েছে, যাকে মোটামুটি পারফেক্ট বলা যায়।
খাগড়াছড়ি পৌঁছাতে সকাল হয়ে গেলো। গাড়িতে হালকা ঠাণ্ডা লাগলেও তা ছিল সয্য করার মত। কিন্তু খাগড়াছড়ি নামার পর আর সয্য করতে পারি নি। আমি প্রিফারেশন নিয়ে এসেছি শীতের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। সেগুলো পরে নিলাম। এরপর আমরা নাস্তা করলাম। মনটানা নামক হোটেলে। হোটেলের নামটা সুন্দর ছিল। হোটেলের ঐখানে মোবাইল হাত থেকে ফেলে স্ক্রিন ফাঠিয়েছি। বেচারা মোবাইল। অনেক উপর থেকে পড়ে ফাটে না। আবার সামান্য একটু উপর থেকে পড়েই ভেঙ্গে যায়।
আমাদের জন্য জীপ বা চান্দের গাড়ি আগেই রেডি ছিল। তারপর ও আমরা সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারি নি। কারণ চট্রগ্রাম থেকে আমাদের সাথে সাজেক যারা যাবে, তারা তখনো পৌঁছায়নি। তারা পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১১টা ভেজে গেলো। সূর্য উঠার সাথে সাথে শীত ও চলে যেতে লাগল।
সাজেক ভ্যালিতে আসার পথটা অসাধারণ থেকে একটু বেশি। উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা। দুই পাশে সবুজ গাছ গাছালি। দূরে রয়েছে বড় বড় পাহাড়। আকাশ পরিষ্কার থাকায় আকাশ সত্যিকারের নীল দেখাচ্ছিল। আকাশের নীল, সাদা মেঘ আর সবুজ গাছের কম্বিনেশন থেকে ভালো কোন দৃশ্য হতে পারে না। ৬৩ কিলোর মত রাস্তা। প্রায় তিন ঘণ্টা লেগেছে আমাদের সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছাতে। চান্দের গাড়ির ছাদে করে সারাটি পথ এসেছি। আমরা ছিলাম সর্বোমট ১৩ জন। গল্প করতে করতে আর প্রকৃতি দেখতে দেখতে পৌঁছিয়েছি মেঘের শহর সাজেকে। সাজেকের কাছা কাছি আসার পথে বাতাসে আমার ক্যাপটা পড়ে যায়। এমন জায়গায় পড়ে যে গাড়ি বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই। গাড়ি তখন উপরের দিকে উঠছিল। পরে ক্যাপটা ফেলেই চলে যেতে হয়েছে।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক আসার সারা পথে প্রচুর ছোট ছেলে মেয়ে দেখা যাবে। তারা হাত নাড়তে থাকবে। হাত নাড়ারা মানে হচ্ছে তাদেরকে চকলেট দেওয়া। অপন ভাই আগেই জানত এ বিষয়টা। উনি আমাকে বলল চকলেট কিনে নিতে। আমরা চকেলেট কিনে নিলাম। যারাই আমাদের দেখে হাত নাড়ল, আমরা তাদেরকেই চকলেট ছুঁড়ে মারলাম। অসাধারণ অনুভূতি।
সাজেক ভ্যালিতে আমাদের জন্য রুম এবং খাবার দাবার প্রস্তুত ছিল। ঐখানে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। এরা অনেক সুন্দর রান্না করেছে। ভাতের সাথে ছিল ডাল, সবজি, ডিম, মুরগি এবং হাঁসের মাংস। খাওয়া দাওয়া করে আর একটুও সময় নষ্ট করিনি। ঘুরতে বের হয়েছি। সাজেক ভ্যালি খুব পরিষ্কার পরিছন্ন। চারপাশ থেকে পাহাড় গুলোর অসাধারণ ভিউ। আকাশ পরিষ্কার ছিল। হয়তো বর্ষা কালে আসলে আমরা মেঘ ছুঁতে পারতাম। এখন পরিষ্কার নীল আকাশ, সাথে অল্প দুই একটা মেঘের টুকরো।
এদিক সেদিক হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। সাজেক ভ্যালিতে দুইটা হেলিপ্যাড রয়েছে। সন্ধ্যার পরে এখানের হেলিপ্যাড থেকে ফানুস উড়ালো অন্য ট্যুরিস্টরা। আমরাও নিয়ে এসেছি। উড়াবো বলে।
সন্ধ্যার পর সাজেকের সত্যিকারের সৌন্দর্য দেখা যায়। আকাশের তারা গুলো এত কাছে মনে হয়। এত পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়। গুণা শুরু করা যাবে। আকাশে ছিল একটা অর্ধ বাঁকা চাঁদ। তা দিয়েই চারপাশ আলোকিত হয়ে গিয়েছে জোছনার আলোতে। সন্ধ্যায় আমাদের সবাই মিলে এক সাথে চা খেলাম। তারপর সবাই রুমে আসল। আমি থেকে গেলাম হেলিপ্যাডে। ঐখানে অন্য অনেক ট্রাভেলার বা ট্যুরিস্ট ছিল। গাজীপুর থেকে তিনজন এসেছে। যারা প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইলে পড়েছিল। এখন জব করে। ফানুস উড়ানো দেখতে দেখতে তাদের সাথে কথা হলো। এরপর আমরা এক সাথে বসলাম। তারা গান গাইল এক সাথে। ভালো লাগল অনেক। এরপর আমি রুমে ফিরলাম।
পাহড়ী যত অঞ্চল দেখলাম, বেশির ভাগ জায়গায়ই মেয়েরা বেশি পরিশ্রম করে। ছেলেরা হেঁটে, হেলে দুলে খায়। ছেলে মেয়েদের কোলে করে হেঁটে বেড়ায়। এখানেও তেমন দেখলাম। অল্প কিছু বসতি তাপররও সাজেকে প্রধান চার ধর্মের মানুষই আছে। মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ এসব।
আমরা রাতের খাবার খেয়ে হেলিপ্যাডে গেলাম। বারবিকিউ আর ক্যাম্প ফায়ার করার জন্য। রাতের খাবার খেয়েছি ৮টার দিকে। বার-বি-কিউ রিসোর্ট থেকেই করে নিয়ে গিয়েছি। ক্যাম্প ফায়ার করে ঐখানে আমরা ফানুস উড়িয়েছি। এবং শেষে ছোট্ট খাটো একটা কালচারাল প্রোগ্রাম করেছি আমরা। আমরা মোট ১৩ জনের মত এক সাথে ঘুরছি। সবাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। কেউ কাউকে ঠিক মত চিনে না। সারাদিন এক সাথে মজা করলেও এখন সবাই এক সাথে সবাই সবরা সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেলাম। সবাই সবার পরিচয় বলল। ক্যাম্প ফায়ারের চারপাশে দাঁড়িয়ে। এরপর সবাই ছোট খাটো একটা পারফর্ম করতে হয়েছে। কেউ নাচল, কেউ গাইলো, কেউ কৌতুক বলল। অনেক মজা হয়েছে। কালচারাল প্রোগ্রাম শেষে বার-বি-কিউ খেয়ে রুমে ফিরলাম। এরপর ঘুম।
সকালে সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে বের কথা থাকলেও বের হতে হতে ৬টা ভেজে গেছে। আমরা গিয়েছি সূর্যদয় দেখতে। আমাদের মত অনেকেই বের হয়েছে। অনেকে আমাদের আগেই বের হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় সূর্য ঠিক মত দেখা যায় নি। আমরা এরপর চলে গেলাম কংলাক। সাজেকের মূল পয়েন্ট থেকে আরো উপরে একটা জায়গা। ঐখানে উঠতে হয় ট্র্যাকিং করে। ঐখান থেকে চার পাশ অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যায়। কংলাক যাওয়ার পথে কমলা বাগান পড়ে। কংলাক থেকে ফিরলাম সকাল আটটার দিকে। আকাশে অনেক মেঘ ছিল। রুমে ফিরতে ফিরতে দেখি হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। রুমে ফিরে খেতে বসেছি, শুনলাম বাহিরে মেঘ এসেছে। রাস্তায়, রুমের পাশে। খাবার রেখে মেঘ দেখতে বের হলাম। শুভ্র মেঘ, আমাদের সাথে। আমাদের থেকে নিচে, ভালো লাগা। ভাগ্য ভালো বলতে হবে। কারণ মেঘ সাধারণত বর্ষাতে দেখা যায়। আমরা শীতে এসেও মেঘের দেখা পেয়েছি।
সকালে নাস্তা করে আমরা খাগড়াছড়ির দিকে রওনা দিয়েছি। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশ ও মেঘলা ছিল। প্রথম দিন পাহাড়ের উপরে উঠেছি। আজ নামছি। খাগড়াছড়ি আসারর পথে এক জায়গায় জীপ থামিয়ে আমরা নাস্তা করলাম। ১টার দিকে খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছিয়েছি।
খাগড়াছড়িতে সিস্টেম নামে একটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ঐখানে দুপুরের খাবার খেলাম। যথেষ্ট ভালো খাবার। দুপুরে খাবারের মেনুতে ছিল বাঁশ। চিকেন বাঁশ। অন্যরকম ফ্লেভার। এছাড়া ছিল ভিবিন্ন ভর্তা, কাঠিতে ভাজা মাছ ইত্যাদি। খাবার খেয়ে আমরা চলে গেলাম আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে। ঐখানে ছিল আলুটিলা রহস্যময় গুহা। গুহার এক পাশ দিয়ে ঢুকে হয়ে অন্য পাশ দিয়ে বের হওয়া যায়। গুহার ভেতর দিয়ে অল্প অল্প করে পানি প্রবাহিত হয়। গুহার ভেতর মশাল নিয়ে আমরা সবাই ঢুকেছি। ৩৬৮ ফুটের মত গুহাটি। ভালোই লেগেছে।
গুহা থেকে বের হয়ে গিয়েছি পানছড়ি অরণ্য কুঠির। এটি মূলত বৌদ্ধ বিহার। ঐটা ঘুরে গিয়েছি রিছাং ঝর্ণা।
মার্মা ভাষায় রি মানে পানি আর ছাং মানে গড়িয়ে পড়া। রিছাং ঝর্নাকে তেরাং ঝর্ণা বা তৈকালাই ঝর্ণা নামেও ডাকে। ঝর্ণাটা অনেক সুন্দর। ঝর্ণায় যাওয়ার পথটাও এডভেঞ্চার পূর্ণ। বান্দরবনের বগালেক যাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যাবে। ঝর্ণাটা দেখে এতই ভালো লেগেছে যে গায়ে থাকা সব গুলো শীতের জামা খুলে থ্রিকোয়াটার প্যান্ট পরে নেমে গেলাম। ছোটবেলায় পুকুরের পাড়ে পিচ্ছিল খাওয়ার মত সুযোগ পেলাম। ঝর্ণাটাতে স্লাইডিং করার জন্য কিসুন্দর জায়গা রয়েছে।
স্লাইডিং করলাম। প্রথম বার স্লাইডিং করা ভালো লাগায় আবার নামলাম। প্রথম বার কিছু না হলেও দ্বিতীয় বার হাতের কনুইতে ছিঁড়ে গেলো। এখানে স্লাইডিং করে অনেকেই প্যান্ট ছিঁড়ে। আমি ছিঁড়লাম হাত।
ঝর্ণা থেকে শহরে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। আমাদের সাথে কেউ চট্রগ্রাম যাবে, তারা পথে নেমে চট্রগ্রামের দিকে গেলো। কেউ যাবে সেন্টমার্টিন, তারা সেন্টমার্টিনের দিকে গেলো। আর আমরা তিনজন আসব ঢাকায়। আমাদের গাড়ি নয়টায়। হাতে কিছু সময় থাকায় একটু বাজার করে নিলাম আমরা। খাগড়াছড়ির হলুদ নাকি বিখ্যাত। বাড়ির জন্য হলুদ কিনলাম। ঐখানে অনেক শীতল পাটি দেখলাম। দুইটা কিনে নিলাম। সুন্দর এবং ঢাকার তুলনায় অনেক কম দাম। ৮টার দিকে আবার সিস্টেম রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। অনেক সুন্দর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করে। এত বেশি ভিড় হয় ঐখানে। অনেক ভালো রান্না করে তারা। খাগড়াছড়ি গেলে ট্রাই করা যেতে পারে। খাওয়া দাওয়া করে গাড়িতে এসে উঠলাম।
২০১২ এর বিজয় দিবসে গিয়েছিলাম বান্দরবন। এমন অনেক জন এক সাথে। ঐখানের সবাই অনলাইনে আগেই পরিচিত ছিল। ঐটা সুন্দর একটা ট্যুর ছিল। এবছর বিজয় দিবসের সময় এসেছি খাগড়াছড়ি। আরেকটা সুন্দর ট্যুর। মনে থাকার মত। ঢাকা থেকে যাওয়া আসা সহ ট্যুরে টোটাল খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫০০ টাকা। এক সাথে সবাই মিলে যাওয়াতে এত কম খরচ হয়েছে। অপন ভাইকে ধ্ন্যবাদ ট্যুরটা অরগানাজাইজ করার জন্য।
খরচা পাতি কোথায় কেমন হয় তাতো কিছুই বল্লেন না ভাই??বললে আমরাও ট্রাই করে দেখতাম যেতে পারি কিনা।অনেক সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের জন প্রতি ৪৫০০ টাকা গিয়েছে। ঢাকা থেকে যাওয়া আসা সহ। 🙂
Bro kothay chilen apnara abong bara koto porse. 10 jon thakte hole resort bara daily koto porte pare….??
জাকির ভাই আমার এলাকা ঘুরে আসলেন আমাকে নক করেন নাই ভাই এটা কিন্ত টিক না
ভাই আমরা চারজন যাবো পরিবার সহ।কিভাবে গেলে ভালো হবে।কোথায় থাকবো এবংকিভাবে সাজেক যাবো বলবেন
ধন্যবাদ। তথ্যবহুল পোস্ট। ভাই, দয়াকরে জানাবেন- ১। ব্যক্তিগতভাবে ২ জন যাব- সেক্ষেত্রে সিএনজি তে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়া যাবে? নিরাপদ? ২।সাজেক থেকে ফেরার সময় দুপরের মধ্যে খাগড়াছড়ি এসে ঢাকা যাবার বাস ধরতে পারবো? রাতের জার্নি করতে পারিনা। জানা থাকলে বলবেন। আহসান।
CNG তে যাওয়া যাবে কিনা, আমি শিউর না। আর আপনি বাস সম্পর্কে জানার জন্য বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে কথা বলতে পারেন।
Thanks.
বিভিন্ন জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান ও তথ্য বহুল আর্টিকেল পাওয়া যায় এই ওয়েবসাইটে। তাই এই সাইটের কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমিও জনপ্রিয় স্থান ও শিক্ষামূলক পোস্ট করি। যা শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে আসবে। http://www.studybased.com ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল।
১০ -১২ জন যাবো ডিসেম্বরে ইনশাল্লাহ। সাজেকে ১ রাত থাকবো। কিভাবে গেলে খরচ কম হবে জানাবেন প্লিজ। ওওখান থেকে কক্সবাজার যাবো