ট্যালেন্ট থেকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধারাবাহিকতা। ট্যালেন্ট দরকার হয় কমপ্লেক্স কোন সমস্যা সমাধান করতে। এখন প্রযুক্তির যুগ, কমপ্লেক্স কোন সমস্যা সমাধান না করতে পারলে একটু গুগলে সার্চ করলেই সমাধান পাওয়া যায়। কোন একটা প্রজেক্টে এমন সমস্যা হয়তো ৫% বা আরো কম। কিন্তু বাকি সময় গুলোতে সাধারণ রিপিটিভ কাজ করে যেতে হয়। এই ক্ষেত্রে একজন ট্যালেন্টেন্ড ব্যাক্তির যে সময় লাগবে, একজন সাধারণ মানুষেরও প্রায় একই সময় লাগবে। ধারাবাহিকতার সৌন্দর্য এখানেই। আর এই কারণেই অনেক সাধারণ মানুষও অসাধারণ কিছু কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন। দৃঢ় মনবলের কারণে যে কোন কাজ করতে পারে। এর মানে লেগে থাকা একটা মানুষের সবচেয়ে বড় সুপার পাওয়ার।
আমরা যারা কোড লিখি, বেশির ভাগ কোডই রিপিটিভ। যেগুলো সব মানুষই লিখতে পারে। দুই একটা সমস্যা সমাধান না করতে পারলেও একটু ঘাটাঘাটি করলেই সমাধান পাওয়া যায়। কারণ কম্পিউটার সাইন্সের সবচেয়ে কঠিনতম সমস্যাটাও সমাধান করে কেউ না কেউ শেয়ার করে রেখেছে। দেখা গেলো আপনি যে সমস্যাটায় পড়ছেন, তা আরো ২০ বছর আগেই সমাধান করে কেউ একটা আর্টিকেল বা ভিডিও বা রিসার্চ পেপার লিখে রেখেছে। তখন মাঝে মাঝেই নিজেকে মনে হয় ২০ বছর পিছিয়ে আছি! যদিও এটাই স্বাভাবিক।
পৃথিবীর যত সুন্দর তম জিনিস রয়েছে, সেগুলো তৈরিতে যত না ক্রিয়েটিভ মানুষ অবদান, তার থেকে বেশি অবদান হচ্ছে সাধারণ মানুষের। পিঁপড়ার মত একটু একটু করে পরিশ্রমের ফলেই যত দারুণ কিছু তৈরি করা যায়।
আর ক্রিয়েটিভ মানুষ যতই ক্রিয়েটিভ হোক না কেনো, নিয়মিত কাজ না করলে কোন কিছুই শেষ করতে পারে না। আর ফলে খরগোশের মত পিছিয়ে পড়ে। অন্য দিকে পরিশ্রমী উইপোকা কনসিসটেন্টলি কাজ করতে করতে অসাধারণ ইমারত গড়ে তোলে।
আমি অনেক ক্রিয়েটিভ মানুষকে হেরে যেতে দেখেছি। কিন্তু কোন পরিশ্রমী মানুষকে হারতে দেখিনি। একটাই কারণ। কনসিসটেন্সি। ধারাবাহিকতা। দৃঢ় মনোবল। ❤