সমুদ্রের পাড়ে দুটি কিউট বাচ্চা বালু নিয়ে খেলা করছে। কিচমিচ করে চিৎকার করে। একটাকে আরেকটা বালু ছুড়ে মারে। নিলয় দূর থেকে দেখে।
বাবু দুটি ফারিহার। ফারিহার চোখে যেন না পড়ে, এ জন্যই নিলয় দূরে। যদিও এখন ফারিহার সামনে দাঁড়ালে নিলয়কে চিনতে পারবে কিনা সন্ধ্যেহ।
ফারিহাকে নিলয় কখনো বুঝতে পারতো না। ভাব করত সব কিছু বুঝে। পরে আবার নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করত। এরপর নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই খুঁজে বেড়াতো। কোন উত্তর খুঁজে পেতো না।
মেয়েরা কত সহজেই কাছে টানতে পারে, তা ফারিহার সাথে পরিচিত না হলে বুঝতে পারত না। আবার কত সহজেই দূরে সরিয়ে দিতে পারে, তাও জানা হতো না। মেয়েরা কি সুন্দর অভিনয় করতে পারে। না না, অন্য মেয়েদের কথা তো নিলয় জানে না। সে জানে ফারিহার কথা। ফারিহা কত সুন্দরই না অভিনয় করতে পারত। ঐ সব কি অভিনয় ছিল? প্রেম প্রেম ছিল না?
নিলয় নিজেকেই দোষ দিয়ে বেড়ায়। একটা ছেলে মেয়ের সাধারণ সম্পর্ককে প্রেম ভেবে ভুল করার জন্য। জীবন একটাই, একটা ভুল একবারই করা যায়। তাই দ্বিতীয়বার আর নিলয় সাহস করে নি।
কিউট কিউট বাবু দুটিকে একটু আদর করে দিতে ইচ্ছে করে। যাবে কিনা আদর করতে ভাবতে ভাবতেই ফারিহার হাজবেন্ড বাবু দুটাকে নিয়ে যায়। দূরে থেকে আরো দূরে তারা হেঁটে চলে যায়। আস্তে আস্তে নিলয়ের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। দূরে চলে যাওয়া জন্য নাকি চোখের কোণে পানি জমার কারণে বুঝতে পারে না।