প্রাধান্য

আমরা যদি আমাদের ব্যাকপ্যাক বা হ্যান্ডব্যাগ এমনকি মানিব্যাগটা দেখি, তাহলে দেখব অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দিয়ে তা ভরপুর।

ব্যাকপ্যাকে বেশি জিনিস হলে তা ক্যারি করতে অসুবিধে। তারপর ও নিয়মিত কত গুলো অদরকারি জিনিস পত্র আমরা ক্যারি করে চলছি। মানিব্যাগে অনেক গুলো অদরকারি ভিজিটিং কার্ড, টাকা নেই এমন কত গুলো কার্ড, সিম কার্ড, পেমেন্ট স্লিপ সহ কত কিছু। এতে মানিব্যাগ মোটা হয়ে থাকে। প্যান্টের পেছনের পকেটে রাখলে বসতে অসুবিধে হয়। তারপরও এগুলো মানিব্যাগেই থাকে। একটু খানি অলসতা করেই এগুলো ক্লিন করা হয় না।

প্রতিদিন চলতে আমরা কত গুলো অপ্রয়োজনীয় কাজ করি। আমরা সবাই চাই, ভালো কিছু করতে, কিন্তু যা করা দরকার, তা না করে কত অদরকারি কাজে নিজের সময় এবং শ্রম দিয়ে চলছি। সবাই মিলে বসে আড্ডার নামে প্রতিদিন একই টপিক্সে গল্প করে চলছি।

ভালো কিছু করতে হলে বুঝতে হবে কোনটাকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে। কোন কাজটা আগে করতে হবে। কোন কাজটা না করলেও চলবে। দরকার একটা লিস্ট তৈরি করা। যে কাজ গুলো করতেই হবে। বার বার ঐ লিস্ট চেক করা।

আমরা বুঝতে পারি, একটা কাজকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। নতুন কিছু নিয়ে কাজ করা উচিত। কিন্তু বুঝতে পেরেও দরকারি কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। একই কাজ বার বার করে যাই। এ জন্য অসাধারণ হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্ম গ্রহন করেও আমরা সাধারণ হয়ে থাকি।

অসাধারণ হতে বেশি কিছু লাগে না। কিছু চিন্তা পরিবর্তন করলেই একটা সাধারণ মানুষ অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে। নিজের মধ্যে ভালো কিছু একটা করার ইচ্ছে থাকা। নতুন কিছু জানার চেষ্টা করা। নিজের পছন্দ মত কিছু একটাতে কাজ করা, যেটা মানুষের কাজে আসবে। নিজের পছন্দের বিষয়তে লেগে থাকা। শত বাঁধা থাকার পরেও নিজের ইচ্ছের জন্য একটু সময় রাখা। এসব, আর কিছু না।

1 thought on “প্রাধান্য”

Leave a Reply