ইন্টারনেটে এক্টিভ ভাবে ছিলাম ২০১০ থেকে। লেখা লেখি করতাম। দুই একটা ইভেন্ট হতো, দেখা হতো অনেকের সাথে। এরপর ২০১১ সালের শেষের দিকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। আমি কাজ শুরু করি ওডেস্কে। ২০১২ সালে ওডেস্কে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে, তারা সবাই মিলে ফ্যান্টাসি কিংডমে ঘুরতে গিয়েছি। ঐটা আয়োজন করেছিল সাইদুর ভাই। ফ্যান্টাসি কিংডমে অনেক মজা হয়েছিল সে দিন। ওডেস্কে যারা কাজ করত, তাদের অনেকেই ছিল ঐদিন আমাদের সাথে। অনেক ভালো লেগেছিল। এরপর সাইদুর ভাই এর সাথে অনেক গুলো ইভেন্টে ছিলাম এক সাথে। কয়েক দিন আগে ঐ দিনের একটি ছবি শেয়ার করেছি। সেখানে সাইদুর ভাই, সুমন ভাই বলল আরেকটা ইভেন্ট করতে এমন।
আমরা সবাই মিলে আলোচনা করলাম সবাই মিলে ঘুরতে যাবো। একদিনের ট্যুর। ২৬ তারিখ যেহেতু সবার বন্ধ, তাই এ দিনটিই ঠিক করলাম। ফেসবুকে একটা গ্রুপ চ্যাট ওপেন করে সবার মতামত নিলাম। কে কে যাবে, কোথায় যাবে, ইত্যাদি আলোচনা করার জন্য। গ্রুপ চ্যাটে অনেক জন মানুষ যুক্ত হয়ে গিয়েছে এক দিনেই। তাই চিন্তা করলাম একটা প্রাইভেট ইভেন্ট ওপেন করে আলোচনা করব। তাই করলাম আমরা। প্রাইভেট ইভেন্ট এ জন্য যে এ ইভেন্টে কেউ স্পন্সর নেই। নিজেরা নিজেরা ঘুরব, সেই চিন্তা থেকে।
আমরা যারা যারা গিয়েছি, তাদের লিস্ট। এটা তৈরি করেছে সাইদুর ভাই 😀
- Rifat Ahmed and family (2)
- Saidur Mamun Khan and his one and a half family (2.5)
- Sharif Muhammed Shahjahan and his royal empire (8)
- Jakir Hossain and his mobile device (1)
- Shoeb Mohammad and his transporter (1)
- Md Zahidul Islam / three musketeers (3)
- Sarwar Zaman Chandan and family (2)
- Golam Kibria Sumon and camera (1)
- Abu Sufian Nilove and his boss (2)
- Rasel Ahmed with সবার দোয়া
আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টে যাবো। গাজিপুর। রিফাত ভাই ঐখানে আগে গিয়েছে। তাই উনার ধারণা আছে। রিসোর্ট ফি এবং ট্রান্সপোর্টেশন ফি উঠানোর জন্য রিফাত ভাই এর বিকাশ মার্চেন্ট একাউণ্ট ব্যবহার করা হয়েছে। রিসোর্ট বুকিং এবং ট্রান্সপোর্টেশন ঠিক করার দ্বায়িত্বও রিফাত ভাই পালন করেছে।
২৬ তারিখ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা বের হয়েছি। এর মধ্যে সাইদুর ভাই গিয়েছে উনার প্রাইভেট কারে করে। সোয়েব ভাই গিয়েছে উনার প্রাইভেট কারে করে, সাথে ছিল সুমন ভাই। আমরা কয়েক জন, নিলাভ ভাই, রাসেল ভাই, রিফাত ভাই, নীল ভাই, পায়েল ভাই গিয়েছি Hiace এ করে। শরিফ ভাই সাভার থেকে উনার ফ্যামিলি নিয়ে মাইক্রোতে করে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। আমরা সবাই এক সাথে মিলিত হয়েছি সাফারি পার্কের গেটে। ঐখানে সবাই মিলে চা খেয়েছি। সাফারী পার্ক থেকে কিছুদূর পরেই ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট।
রিসোর্টটা সুন্দর। অনেক বড়। ঐখানে ছোট ছোট কটেজ রয়েছে। পছন্দ হওয়ার মত একটা জায়গা। অবকাসের জন্য পারফেক্ট।
আমরা সাড়ে আটটার মধ্যেই রিসোর্টে পৌছে গিয়েছি। ঐখানে গিয়ে আমাদের জন্য রাখা রুমে ব্যাগ রেখে বের হয়েছি সকালের খাবার খাওয়ার জন্য। পরোটা, ডিম, ভাজি, ডাল, ব্রেড, জেলি, চা, কফি ইত্যাদি ছিল। যে যার পছন্দ মত আমরা নাস্তা সারলাম। এর পর গিয়েছি মাঠে। খেলার জন্য।
বড় সড় মাঠ রয়েছে খেলার জন্য। ঐখানে ক্রিকেট মাঠে অন্য এক দল খেলতেছিল। আমরা তাই এক পাশে খেলা শুরু করলাম। অনেক্ষণ খেলে আমরা চলে গেলাম সুইমিং পুলে। ঐখানে অনেক্ষণ মজা করে রুমে ফিরলাম। এগুলো ১২টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেলো। আজ সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠার কারণে মনে হচ্ছে হাতে অনেক সময়।
দুপুর একটার দিকে আমরা খেতে গেলাম, দুপুরের খাবার। খেলাধুলা করার পর সবারই ক্ষিদে লেগে গেলো। আমাদের জন্য বুফে লাঞ্চের ব্যবস্তা ছিল। খাবার গুলো ছিল যথেষ্ঠ মজার।
খাওয়ার পর আর উঠতে ইচ্ছে করতেছিল না। সবাই মিলে তাই বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এভাবেই প্রায় দুই ঘন্টা কাটিয়ে দিলাম। এরপর কফি খেলাম। তারপর আবার খেলতে বের হলাম। এরপর খেলেছি ব্যাডমিন্টন।
কিছুক্ষণ খেলে আমরা আবার রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। আমাদের জন্য বিকেলের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু সবাই না খেয়েই চলে এসেছি। আমি আসার সময় এসেছি সাইদুর ভাই এর সাথে। আমি, সাইদুর ভাই, ইমারজিনা আপু, নীল ভাই এবং পায়েল ভাই। বনানী এসে আমরা পাপা রুটিতে বসেছি। হালকা নাস্তা করার জন্য। পাপা রুটির রুটিটা আসলেই জোস। গরম গরম খেতে দারুণ ভালো লেগেছিল। ঐখান থেকে এরপর বাসায় ফিরে এসেছি। আরেকটি সুন্দর দিন কাটিয়ে। সুন্দর কিছু স্মৃতি নিয়ে।