আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর অনেক ভালো দিক থাকলেও খুব খারাপ একটা দিক হচ্ছে মানুষের জব হারানো। সারা পৃথিবীর অনেক মানুষ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাকরি হারাবে। কমার্শিয়ালিং ড্রাইভারলেস কার ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ড্রাইভারের তো আর দরকার নেই। কিন্তু চিন্তা করে দেখেন, সারা পৃথিবীতে কত মানুষের পেশা হচ্ছে ড্রাইভিং পেশা। তারা কি করবে? Uber, Tesla, Google, Apple সবাই ড্রাইভারলেস কার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। টেসলা গাড়ি গুলোর মধ্যে এখন ড্রাইভারলেস কারের হার্ডওয়ার রয়েছে। এখনই টেসলা গাড়ি গুলো নিজে নিজে চলতে পারে। ড্রাইভিং পেশাটাই থাকবে না কয়েক দিন পর।
কুরিয়ার সার্ভিস খুব দ্রুত ড্রোন দিয়ে রিপ্লেস হবে। যেগুলো ভারি কুরিয়ার, সে গুলো রিপ্লেস হবে অটোমেটেড সেলফ ড্রাইভিং কার দিয়ে। আর হালকা গুলো তো ড্রোন দিয়েই রিপ্লেস করা সম্ভব হবে। অর্ডার দিব, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসায় পণ্য এসে হাজির হবে।
রান্না করা একটা আর্ট। আর এখানে মশলার পরিমাণ এবং সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। টাইম এবং পরিমাণ রোবট ছাড়া কে ভালো ভাবে ম্যানেজ করতে পারে? সো রান্নাবান্নার কাজ গুলোও রোবটের কাছে ছেড়ে দিতে হবে। আমরা মানুষেরা রোবটের কাছে রান্নাবান্নায় হেরে যাবো। IBM Chef Watson অলরেডি অনেক যায়গায় সার্ভ করছে। আরেকটা হচ্ছে Moley Robot kitchen।
অ্যামাজন গো সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেকেই জানি। শপিং মলে যাবেন, পছন্দের জিনিস পত্র কিনে চলে আসবেন। কোন মানুষের সাথে কথা বলতে হবে না। কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস ও করতে আসবে না। পুরাটাই অটোমেটেড। সারা পৃথিবীতে অনেক অনেকের জীবকার মাধ্যম হচ্ছে ক্যাশিয়ার জবের। এরাও জব হারাবে।
আমরা সাধারণত যখন কোন প্রোডাক্ট কিনি, তখন আমাদের অনেক প্রশ্ন থাকে নতুন প্রোডাক্টটি সম্পর্কে। কাস্টমার কেয়ারে আমরা ফোন করে জেনে নেই। কাস্টমার কেয়ারে জব করে এমন সবার জব এখন রিক্সে। কারণ হচ্ছে চ্যাট বট। চ্যাট বট গুলো মানুষ থেকে আরো ভালো ভাবে কাস্টোমার সাপোর্ট দিতে পারবে। মজার ব্যপার হচ্ছে প্রতিটা মানুষকে আলাদা আলাদা করে সাপোর্ট এর জন্য ট্রেইন করতে হয়। কিন্তু চ্যাটবট একটাকে ট্রেইন করলে যত ইচ্ছে তত সাপোর্ট দেওয়া যাবে। এমনকি চ্যাটবট যত ব্যবহার হতে থাকবে, তত বেশি নিখুঁত ভাবে এরা সাপোর্ট দিতে পারবে।
স্টোর হাউজ গুলো অনেক বড় হয়। তো এক জায়গা থেকে অন্য যায়গায় জিনিস পত্র মানুষ যে স্পিডে করতে পারে, রোবোট করতে পারে তার থেকে অনেক অনেক দ্রুত।
এছাড়া আইনজীবীর কথাই যদি ভাবি, এরাও রোবট দিয়ে রিপ্লেস হয়ে যাবে। মানুষের ইমোশন থাকে, পক্ষপাতিত্ব থাকে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টীলিজেন্স এসব কিছুর উদ্ধে থাকার কারণে মানুষ থেকে বেটার বিচার করতে পারবে।
ম্যানুফ্যাকচারিং এ অনেক আগে থেকেই রোবটের ব্যবহার হয়ে আসছে। ফ্যাক্টরি গুলোতে মানুষের পরিশ্রম একটুও লাগবে না। আমাদের শারীরিক পরিশ্রম দিয়ে যে সব জব করতে হয়, সেগুলো সবই রোবট বা মেশিন দিয়ে রিপ্লেস হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।
ফিউচারের জন্য প্রস্তুতি আমাদের এখন থেকেই নিতে হবে। এসব জব হারাচ্ছে। আবার তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন অনেক সুযোগ। এ সুযোগ গুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা যদি এখনো সেই আদিম যুগের বিষয় গুলো নিয়ে জ্ঞান অর্জন করি, বর্তমানের কাছে আমরা হেরে যাবো। হেরে যেতে না চাইলে জানতে হবে, শিখতে হবে। শুধু পরিশ্রম আর চাপার জোর সামনে কাজে লাগবে না।