চট্রগ্রাম ট্যুর

কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম এসেছি। চট্রগ্রাম অ্যান্ড্রয়েড এর উপর দুই দিনের একটি ওয়ার্কশপ করানোর জন্য। এসেছি ১ তারিখে। ওয়ার্কশপ হচ্ছে ৩ তারিখ এবং ৪ তারিখ।

২ তারিখে চট্রগাম অনলাইন প্রফেশনালদের ইফতার পার্টি ছিল। মিজান ভাই বলল সেখানে যেতে। প্রোগ্রাম শুরু হবে ৩টা থেকে। উনি আমাকে ১টার দিকে নিয়ে গেলো। মিজান ভাই এর সাথে কাসেম ভাই এর অফিসে গেলাম। তারপর সেখানে কিছুক্ষণ থেকে ইফতার পার্টির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম সবাই মিলে। জামাল খান রোডের আপ্পায়ন রেস্টুরেন্টে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে।

একজন দুইজন করে সবাই আসতে লাগল। আসার পর সবাই মিলে আলোচনা হল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। যার মধ্যে অনেক শিক্ষনীয় কথাও ছিল। আসরের আজান দিলে আমরা সবাই মিলে নামাজ পড়তে যাই। নামাজে দাড়াই, পেছনে জুতো রেখে। নামাজ পড়া শেষে দেখি জুতো নেই। ইফতার পার্টিতে আসা অন্য একজনের জুতোও চুরি হয়েছে। আসিফ ভাই আমাকে উনার জুতো দিল। পরার জন্য। ফরমাল ড্রেসের সাথে স্যান্ডেল পরে হাটছি। গন্ত্যব্য জুতোর দোকান। গুগল ম্যাপে বাটা এবং এপেক্স এর শো রুম দেখছি। কাছে পেলাম এপেক্স। এরপর জুতো আর মুজো কিনে সেগুলো পরে আবার প্রোগ্রামে এসেছি।

ইফতার পার্টি শেষে সবাই মিলে হেটে হেটে ফিরছি। ভালোই লেগেছে।

৩ তারিখ ছিল শুক্রবার। ওয়ার্কশপ ও আপ্পায়নে আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজন করেছে বিডি পাঠশালা। শুরু হবে ২.৩০ এর দিকে। আমাকে ২টার দিকে মিজান ভাই এসে নিয়ে গেলো। ঐখানে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে কি করতে হয় এসব দেখিয়েছি। এরপর ইফতারের সময় আমরা সবাই মিলে ইফতার করেছি।

সবাই অ্যাপ তৈরিতে ব্যস্ত
সবাই অ্যাপ তৈরিতে ব্যস্ত

পরের দিন ২টা থেকে শুরু করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ অনেক বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করেছি। অ্যাপ কিভাবে মার্কেটপ্লেসে আপলোড করতে হয়, কিভাবে অ্যাপ থেকে টাকা রুজি করতে হয় সহ নানা বিষয় আলোচনা করেছি। শেষের দিকে ছোট্ট এটা অ্যাপ প্রোতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে পুরষ্কার হিসেবে একটা অ্যান্ড্রয়েড সেট ছিল। যা স্পন্সর করেছে Xponentweb. প্রোগ্রাম শেষে সবাইকে একটি করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এবং ইফতারের সময় হলে আমরা সবাই ইফতার করে যে যার বাসায় চলে যাই।

৫ তারিখে গিয়েছি চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে। Rezaul Karim Raihan নিয়ে গিয়েছে। ঐখানে ছিল Al Emran। সুন্দর একটা ক্যাম্পাস। অনেক বেশি সুন্দর। যারা সেখানে পড়ে, ভাগ্যবান/বতী বলা যায়। যাওয়ার সময় বাসে গেলেও আসার সময় ট্রেনে করে এসেছি। ট্রেনের ছাদে করেও এসেছি কিছুদূর পথ। দারুণ মজা লেগেছে। রোজা রাখার কারণে টায়ার্ড হয়ে গিয়েছি খুব। খাবার ও মিস করেছি।আসার সময় ট্রেনের টিকেট কিনে নিয়ে এসেছি। ৭ তারিখে ঢাকা ফিরব।

 

cu
চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটির ভেতরে। একটি সুন্দর রাস্তায়
cu jhorna
চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঝরণা
cu train
চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটি থেকে শহরে ফেরার পথে ট্রেনের ছাদে

 

৬ তারিখ কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি। সন্ধ্যার পর বের হয়েছি। ইফতারের পর আর কিছু খাওয়া যায় না। তারপর ও জোর করে বারকোডে গিয়ে কিছু খাওয়ার চেষ্টা করেছি।

সাত তারিখ পুরো দিন খুব বোরিং ভাবে কেটেছে। দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি। এরপর আর সময় কাটতে চায় না। রাত ১১টায় ট্রেন। কোথাও ঘুরতে যেতে পারলে ভালো হত।কিন্তু কোথাও বের হইনি। এরপর সময় হলে বের হয়ে রেলস্টেশনের দিকে যাই। ট্রেনে করে দুলতে দুলতে ঢাকায় ফিরি।

Leave a Reply