স্বপ্ন গুলো বাস্তবে পরিণত করতে হলে সব কিছুর আগে দরকার জেগে উঠা। ৫০ বছর বা তার আগের কথা চিন্তা করলে দেখব তখন কাজ করার ফিল্ড অনেক কম ছিল। কম ছিল নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার মাধ্যম। সুযোগও কম ছিল। এখন কাজ করার অনেএএক গুলো ক্ষেত্র রয়েছে। কোনটাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব বুঝতে না পারলে চোখ বন্ধ করে একটা শুরু করতে হবে। একটা শুরু করতে গেলে দেখা যাবে নিজের কি পছন্দ, নিজে কি করতে ভালোবাসি, তা সহজেই বের হয়ে আসবে। পছন্দ ভুল হলে ভুল থেকে একটা সুন্দর শিক্ষা হয়ে যাবে।
বসে থাকলে, কি করব এসব ভাবতে থাকলে দিন, মাস, বছর সব চলে যাবে। কিছুই করা হবে না। বড় কিছু করতে না পারলে ছোট ছোট কিছু করা যেতে পারে। তখন একদিন ছোট ছোট কাজ গুলো বিশাল হয়ে উঠবে।
আগামীকাল খুব খারাপ একটা দিন। কোন দিনও আসবে না। আগামীকালের জন্য কোন কিছু রেখে দিলে তা কোন দিন ও করা হবে না। যা করতে হবে আজই করতে হবে। যা করতে হবে, এখনই করতে হবে। চাকরির জন্য বসে থাকা সময় নষ্ট করা একই জিনিস। চাকরি হলে হবে, না হলে নেই। পাশা পাশি নিজের পছন্দের কিছুতে সময় দিতে হবে। বুদ্ধি খাটাতে হবে। যখন সত্যি কারের নিজের পছন্দের কোন কাজ শুরু করবেন, তখন বার বার মনে হবেঃ কেন আগে শুরু করি নি। কেনও আগে এত্ত গুলো সময় নষ্ট করেছি। তাই যা শুরু করা দরকার, আজই করতে হবে।
কনফিডেন্স শব্দটা দারুণ। এ শব্দ দিয়ে হাজার হাজার বই পাওয়া যাবে। যেখানেই বই বিক্রি হয়, এ টাইপের বই দিয়ে এক কোনা ঠাসা থাকে। যেমন কিভাবে কনফিডেন্স বাড়াবেন, কিভাবে কনফিডেন্স ফিরে পাবেন, কনফিডেন্স এবং শক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনকি ছোট্ট এই লেখাটিও ঐ ক্যাটাগরির।
এত গুলো বই এর মধ্যে কোনটা পড়বেন, তা ঠিক করতেই আপনার কনফিডেন্স হারিয়ে যাবে। জিনিসটা কি?
সহজ একটা বিষয়, নিজের যা ইচ্ছে, তা করার ইচ্ছে শক্তিই হচ্ছে কনফিডেন্স। কোন বাড়তি চিন্তা না করে নিজের মনের মত কোন কিছু শুরু করে দেওয়াই হচ্ছে কনফিডেন্স। আর কোন কিছু শুরু করার জন্য আজ, এখনের থেকে উৎকৃষ্ট সময় আর হতে পারে না। নতুন একটা কাজই হোক, নতুন কোন উদ্যেগ হোক, হোক মানুষের জন্য কোন উপকার মূলক কিছু, বা তাকে পড়ে থাকা বইটি পড়া শুরু করা, হোক নিজ পছন্দের মানুষটিকে ভালোবাসি বলা। সব কিছুর জন্যই আজ এবং এখনই সেরা সময়।