সাধারণত আমরা বাংলাতেও অনেক কিছু পড়ে বুঝতে পারি না। যে হিসাব বিজ্ঞান জানে, তাকে পদার্থ বিজ্ঞানের উপর একটা বই পড়তে দিলে সে হয়তো পড়তে পারবে, কিন্তু কিছুই বুঝবে না। এক পাতা দুই পাতা পড়ার পর বিশাল হাই তুলবে। বাংলা আমাদের মাতৃ ভাষা হয়েও আমরা বাংলাতে সব কিছু পড়েও বুঝতে পারি না। ইংরেজী তো বিদেশী ভাষা। ইংরেজীতে পড়ে বুঝা আমাদের অনেকর জন্য হয়তো সহজ না।
কিন্তু ইংরেজী জানা অনেক দরকার। ইংরেজীতে আমরা একাডেমিক বই পড়ছি, দুই একটা আর্টিকেল পড়ছি। নিয়মিত কাজে ইংরেজী ব্যবহার সবাই করি না, সবার জন্য সহজ ও না। কিন্তু এটা অনেক দরকার। একাডেমিক পড়ালেখার বাহিরে কিছু জানতে চাই? ভালো একটা বই পড়তে চাই? বিদেশী কারো সাথে যোগাযোগ করতে চাই? ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই? সব জায়গাতেই দরকার। বাংলাদেশে যারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে এসেছে, তাদের জন্য তো বিষয়টা সহজ। আবার যাদের ফ্যামিলি এসব বিষয়ে জোর দেয়, তাদেরও সমস্যা হয় না। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগেরই সমস্যা।
আমরা হয়তো একাডেমিক পড়া পড়তে পারি। হাই হ্যালো করতে পারি। এতটুকুই অনেকের জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু যাদের আরেকটু বেশি দরকার, যে কোন বই পড়ে পড়ে বুঝতে পারা দরকার, তাদের সাথে কিছু টিপস শেয়ার করতে পারি, যেটা আসলে আমার কাজে লেগেছে। এভাবে শিখতে গেলে বোরিং লাগবে না। আর আপনি বুঝতে পারবেন না আপনি কোন কিছু শিখছেন। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর অনেক কাজে দিবে।
প্রথমেই আসি গান শুনা নিয়ে। যারা গান শুনেন, ইংরেজী গান, গান গুলো শুনার সময় যদি লিরিক্স না বুঝে থাকেন, তাহলে ঐ গানের লিরিক্স খুজে বের করে গান শুনার সময় লিরিক্সের দিকে তাকান। দেখবেন গানের লিরিক্স সহজেই বুঝতে পারছেন। প্রথম ধাপ হচ্ছে গানের লিরিক্স বুঝা। দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে অর্থ বোঝা। এবার গানের লিরিক্স থেকে যে যে শব্দের অর্থ আপনি পারে না, তা বের করুন। কোথাও লিখে রাখেন। না লিখে রাখলেও অন্তত একবার অর্থ বের করুন। পরে ঐ শব্দ আবার দেখলে এমনিতে বুঝতে পারবেন। translate.google.com বা গুগলে সার্চ করে সহজেই অর্থ বের করে নিতে পারেন। এ ছাড়া Google Dictionary নামক এক্সটেনশন এড করে নিতে পারেন ব্রাউজারে। কোন শব্দের উপর ডাবল ক্লিক করলে ঐটার অর্থ জানিয়ে দিবে। উচ্চারণ ও শুনতে পারবেন, যদি দরকার হয়।
অনলাইনে কোন আর্টিকেল পড়ার সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যে সব শব্দের অর্থ বুঝতে না পারেন, সেগুলোর অর্থ সহ কোথাও লিখে রাখুন। যদি সম্ভব হয় পরে কখনো আবার পড়ে দেখুন।
ইংরেজী মুভি বা সিরিয়াল দেখার সময় যে শব্দটা না বুঝেন, তা শেখার চেষ্টা করুন। ভিডিওটা পজ করে অর্থ বের করার চেষ্টা করুন।
একটা বই পড়ার চেষ্টা করুন। যে কোন বই। গল্পের বই হোক বা নিজের পছন্দের বই হোক সমস্যা নেই। মানে না বুঝলেও পড়তে থাকুন। একটু কষ্ট হতে পারে, তারপরও বইটা শেষ করার চেষ্টা করুন। প্রথম বইটা পড়ার পর আরেকটা শুরু করুন। দেখবেন প্রথম বই থেকে দ্বিতীয়টা পড়তে আরো কম কষ্ট হচ্ছে। মানেও বুঝতে পারছেন।
এমন না যে ইংরেজী বলেই প্রথম বইটা পড়তে কষ্ট। আপনার যদি বই পড়ার অভ্যাস না থাকে, বাংলাতে একটা বই হলেও সমস্যা হতে পারে। আমার মনে আছে, আমি প্রথম বাংলা উপন্যাস পড়া শুরু করি শরৎচন্দ্রের দেবদাস। ঐটা চলিত ভাষায় লেখা ছিল। আমি প্রথম বার বইটা নিয়ে দুই এক লাইন পড়ে রেখে দিয়েছি। দ্বিতীয়বার হাতে নিয়ে এক পৃষ্ঠার মত পড়ে রেখে দিয়েছি। পড়তে কঠিন লাগে, এ জন্য। এরপর যখন বইটা হাতে নিয়েছি শেষ করে ছেড়েছি। কারণ একটা নির্দিষ্ট সময় পর গল্পই আমাকে পড়তে সাহায্য করেছে। পরে কি হবে, তা জানার জন্যই আমি পড়ে গিয়েছি। এবং এক সময় শেষ ও করেছি।
একই সমস্যা হয়েছে প্রথম ইংরেজী বই পড়তে গিয়েও। একাডেমিক বই অনেক পড়েছি। প্রোগ্রামিং এর উপর আর্টিকেল অনেক পড়েছি। আবার প্রযুক্তি নিয়েও আর্টিকেল অনেক পড়েছি। ঐ সব পড়তে একটুও সমস্যা হতো না। সহজেই বুঝতে পারতাম। কিন্তু নিজ ডোমেইন এর বাহিরের কোন আর্টিকেল পড়তে কষ্ট হত। কারণ হচ্ছে নিজ ডোমেইনের মূল কীওয়ার্ড গুলোর অর্থ জানতাম। তাই পড়ে বুঝতে কষ্ট হত না। গল্প উপন্যাস পড়তে অনেক ভালো লাগে। ইংরেজীতে এত সুন্দর সুন্দর মুভি দেখি, বই গুলো থেকেই তো মুভি গুলো তৈরি। বই পড়লে তো আরো সুন্দর সুন্দর গল্প জানতে পারব। ইংরেজী বই পড়তে জানার চেষ্টা করতে লাগলাম তখন। প্রথম বই ছিল The Girl on the Train। দেবদাসের মত এটা পড়তেও প্রথম দিকে অনেক কষ্ট হতে লাগল। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট অংশ পড়ার পর গল্পের বাকি অংশ জানার জন্যই পড়ে যেতে লাগলাম। প্রথম দিকে পড়তে যত সময় লেগেছিল, এরপর এত সময় লাগে নি। এখন নিজ ডোমেইনের বাহিরের বই পড়া সহজ হয়ে উঠল।
এছাড়া দুইটা ওয়েব সাইট আমার খুবই প্রিয়। এ দুইটা থেকে অনেক কিছু জানার পাশা পাশি পড়তে পড়তে ইংরেজীটাও ইম্প্রুভ হয়ে উঠবে। দুইটারই মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। অ্যাপ থেকে সহজেই পড়া যাবে।
আপনি হয়তো শিখতে গেলে নিজের মত করে কোন পদ্ধতি বের করে নিতে পারেন। যেটা আপনার জন্য ইফেক্টিভ হয়। ইউটিউভে অনেক গুলো চ্যানেল রয়েছে ইংরেজী শেখার জন্য। সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এখানে দুই একটা লিঙ্ক দিয়ে দিলামঃ
ইংরেজী নিয়ে আরেকটি লেখাঃ
TOEFL / টোফেল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স
thanks bro.
WOWW! Ami to vebecilam kicu boi er link thakbe R kicu story er kotha thakbe sathe hoito kicu english movie er name o thakbe 🙂
Tobe lekha ta onek valo lagce,, Keep it up bro! Thanks a lot.
thanks bhaiya……
thank you very much vaiya
অনেক সুন্দর একটা লেখা!!!!
Thank you very much vhai
অনেক অনেক ধন্যবাদ জাকির ভাই। ইংরেজী শিখা কত জরুরী, সেটা ফ্রিলেন্সিং করতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।