সবচেয়ে সেরা জব সিকিউরিটি

আমরা জব সিকিউরিটি নিয়ে যতটা চিন্তা করি, নিজেকে নিয়ে ততটা চিন্তা করি না। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে যতটা চিন্তা করি, বর্তমান নিয়ে ততটা ভাবি না। ফলাফল? সবার জানা। সর্বদা একটা হতাশা কাজ করে। না বর্তমানের জন্য কিছু করতে পারি, না ভবিষ্যৎ এর জন্য কিছু করতে পারি।

কোন কারণে আজ যদি ইলন মাস্কের সব কোম্পানি থেকে শেয়ার হোল্ডাররা তাকে বহিষ্কার করে দেয়, তখন ইলন মাস্কের কি হবে? ধরে নিচ্ছি তার ব্যাংক ব্যালেন্স ও শূন্য হয়ে যাবে, তখন কি হবে? ইলন মাস্কের তেমন কিছুই হবে না। কারণ তখন হয়তো সে নতুন আরেকটা কোম্পানি তৈরি করে বসবে। অথবা কোন বড় কোম্পানিতে কনসালটেন্ট হিসেবে যোগ দিবে। ইলন মাস্কের নতুন কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার জন্য সব ইনভেস্টরা মুখিয়ে থাকবে। আর যদি সে কনসালটেন্ট হিসেবে কোথাও জব করে, তাকে কেন জব দিবে? কারণ তার দক্ষতা। সে নিজের উপর ভালো ভাবে ইনভেস্ট করতে সক্ষম হয়েছে। তার সম্পদ তার ব্যাংকে নয়, মাথায় : )

আচ্ছা, স্টিভ জবসকে তো উনার নিজ কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর স্টিভ জবস কি করেছেন? নতুন কোম্পানি শুরু করেছেন। হয়তো বলতে পারেন উনার হাতে অনেক টাকা ছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে টাকা ছাড়াও স্টিভ জবসের যেটা ছিল, তা হচ্ছে দক্ষতা। এছাড়া টাকা কার হাতে থাকে, তা গুরুত্বপূর্ণ। কোন বড়লোকের বখে যাওয়া সন্তানের হাতেও প্রচুর টাকা থাকে। ঐ টাকা দিয়ে কি করে? আমোদ ফুর্তি করে সব নষ্ট করে। নিজে তো কিছু করতেই পারে না, বাবা যা রেখে যায়, সেগুলোও ধ্বংস করে।

এগুলো বলার কারণ হচ্ছে জব সিকিউরিটি বা এসব নিয়ে ভাবার আগে নিজেকে নিয়ে ভাবা দরকার। আপনি যত ভালো ইমপ্লোয়ি হোন না কেন, কোন কারণে কোম্পানি ফেইল করলে আপনার জব সিকিউরিটি বলতে কিচ্ছু থাকছে না। সো আপনি কি করতে পারেন? নিজের উপর ইনভেস্ট করতে পারেন। নিজের উপর ইনভেস্ট করা সহজ। শুধু বুঝতে শেখা কি আমার দরকার, কি আমার দরকার না এবং সত্যিকার অর্থে আমি কি চাই। এতটুকুই। জাস্ট এতটুকু!

একটু একটু করে নতুন কিছু শিখতে পারেন। তা হতে পারে আপনার জব রিলেটেড, হতে পারে একদমই ভিন্ন কিছু। নতুন কিছু শিখলেই হলো। আমরা হয়তো এখন একটা বিষয়ের সাথে আরেকটা বিষয়ের সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু এক সময় দেখা যাবে সব কিছুই কি সুন্দর কানেক্টেড। একটা বিষয়ের সাথে আরেকটা বিষয় জোড়া দিয়ে দারুণ কিছু করা যায়।

বই পড়তে পারেন। জ্যামে বসে থাকার সময়, ঘুমানোর আগে অথবা উইকেন্ডের অলস দিনটিতে। নিজের মস্তিষ্কটা ভালো থাকবে। নতুন নতুন স্কিল যুক্ত হবে নিজের প্রোটফোলিওতে। চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়বে।

কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। দেশে, দেশের বাহিরে। নিজের জন্যই। সব কিছু আরেকটূ ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে পারবেন।

সময়টা এখন ইন্ডিভিজুয়ালিজমের। নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন। একটু একটু করে। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব বা হোক টিকটক, এমন কিছু শেয়ার করুন যা দিয়ে আপনার স্কিল প্রকাশ করা যায়। এবার যে স্কিলই হোক। আর্টিকেল, ভিডিও যাই হোক শেয়ার করতে পারেন। জব পেতে দারুণ কাজে দিবে। মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়বে। কেউ যখন জানবে আপনি একটা বিষয় জানেন, কোথাও কোন জব পোস্ট হলে দেখবেন আপনাকে ম্যানশন করছে।

এছাড়া যেটা দরকার, তা হচ্ছে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে দেখা। এটার কিছু হবে তো বাকি কোন কিছুর কোন মানে থাকবে না। একটু দেখে শুনে খাওয়া, একটু ব্যায়াম করা, এইতো।

অল্প কিছু পেয়ে মনে না করা আমার দ্বারা আর সম্ভব না। নিজেকে পুশ করতে থাকেন। একটু একটু করে। সুন্দর একটা প্রবাদ আছে, শরীরের নাম মহাশয়, যা সহায়, তা সহে। আরেক জনে করতে পারলে আমি কেন পারব না? চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি? উদাহরণ সেট করা কঠিন। শত প্রতিকূলতা জয় করে উদাহরণ সেট করতে পারলে যে আত্মতৃপ্তি আসবে, তা আর কিছুইতেই পাওয়া যাবে না। নিজের উপর ইনভেস্ট করুন, একটু একটু করে : )

6 thoughts on “সবচেয়ে সেরা জব সিকিউরিটি”

  1. that’s is so usfull for everithing…”জাকির ভাইয়ার এক্তা কথা মন কেড়েছে সেথা হল যখন আমি থুরথুরে বুরু হয়ে যাব ।।তখন আমার লেখা গুলা পরে আনমনে হাসব।।অথবা ভুঁড়ো কুঁচকে চিন্তা করব।।””

    Reply
  2. অনেক ভাল লাগল পড়ে। অনেক সময় এমন হয় যে একটু চেষ্টা করার পর আর করতে আগ্রহ থাকে না বা মন অন্য দিকে চলে যায়। কিন্তু সেটা করা যাবে না।

    Reply

Leave a Reply