মঙ্গল

অর্পিতার সাথে আমার সম্পর্কটাকে প্রেম বলা যাবে না। বন্ধুত্বও বলা যাবে না, কারণ বন্ধুত্ব গুলোও এমন না।

আমাদের দেখা হয়, কথা বলি। মাঝে মাঝে দশটাকার বাদাম খাই আমরা। না মানে ইয়ে, আমি বড় ছেলে না। এরপর আবার ভুলে যাই। মাঝে মধ্যে ফেসবুকের নিউজফীডে অর্পিতার ছবি দেখলে আবার মনে পড়ে। লাইক দেই, ম্যাসেজঞ্জারে নক দেই। কথা হয়। আবার কয়েক দিনের জন্য ভুলে যাই।

একদিন বসে আছি আমরা। অর্পিতা তার মোবাইল টিপছে, আমি আমার। হুট করে অর্পিতা বলল, আমাকে তোমার ভালো লাগে না?

আমি অর্পিতার দিকে তাকালাম। ভালো করে দেখলাম। যে কোন ছেলে এই মেয়ের প্রেমে পড়ে যাবে। প্রথম দেখাতেই। এই মেয়েকে ভালো না লাগার কোন কারণ থাকতে পারে না।

অর্পিতাকে আমারও ভালো লাগে। ভালোলাগা পর্যন্তই। এর থেকে বেশিদূর এগুতে ইচ্ছে করে না। কেমন একটা অলসতার কাজ করে। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসাতে গেলে দ্বায়িত্ব চলে আসে। কেয়ার করতে হয়। সকাল বিকাল কৈফিয়ৎ দিতে হয়। আমাকে তার মত করে চলতে হবে, তাকে আমার মত। দুইজনের মত মিল না হলে কথা কাটাকাটি হবে। মন খারাপ হবে। আবার মন ভালো করতে হবে। কত কিছু। এতকিছু আমার ভালো লাগে না। আমার কি ভালো লাগে, তাও জানি না। এতটুকু জানি, এখন মাঝে মধ্যে যে দেখা হয়, কথা হয়, তাই ভালো। দুইজনেরই স্বাধীনতা। কে কি করল না করল, তাতে কারো কোন কিছু যায় আসেনা। কিছু কিছু সময় বা কারো কারো জন্য হয়তো এটাই মঙ্গল।

Leave a Reply