ফ্রিল্যান্সিং করার কারণে ইভানের প্রায় সময়ই রাত জেগে থাকতে হয়। ইভান রাত জেগে থাকার কারণে মাঝে মাঝে ঘুমন্ত জেনির দিকে চোখ যায়। কি সুন্দর ভাবেই না ঘুমিয়ে থাকে জেনি। অনেক কিউট লাগে। মনে হয় একটা পরী ঘুমিয়ে রয়েছে।
ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে চুল গুলো মুখের উপর পড়ে থাকে। ঘুমন্ত জেনির মুখের উপর থেকে মাঝে মাঝে গিয়ে ফু দিয়ে চুল গুলো সরিয়ে দেয় ইভান। কত শান্ত ভাবেই না ঘুমিয়ে থাকে। চুল গুলো থেকে কি মিষ্টি একটা ঘ্রাণ বের হয়। মাতাল করে দেওয়ার মত ঘ্রাণ।
জেনিকে সবচেয়ে ভালো লাগে যখন শাড়ি পরে আয়নার সামনে বসে টিপটি পরে, তখন। ইভানের তখন জেনিকে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছে করে, এত্ত গুলো ভালবাসি তোমাকে। ভালোবাসি মুখে বলতে কেমন জড়তা কাজ করে।
ইভান চিন্তা করল জেনিকে সারপ্রাইজ দিবে একটা। প্রতিদিনই তো সে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা তৈরি করে ইভানের জন্য। আজ ইভান নিজেই তৈরি করবে। যে কোন দিন রান্না ঘরেই যায় নি, তার তৈরি নাস্তা দেখে সারপ্রাইজ তো যে কেউই হতে পারে।
ইভান ইউটিউবে অনেক গুলো রেসিপি দেখল। সব গুলো থেকে যেটা সহজ এবং মজাদার, এমন একটা পছন্দ করল। তারপর রান্না ঘরে গিয়ে ইউটিউব থেকে ইন্সট্রাকশন দেখে দেখে নাস্তা রেডি করল। এসব করতে করতে প্রায় সকাল হয়ে গেলো। টেবিলে সব সাজিয়ে রেখে দিল জেনির জন্য। টেবিলে ছোট্ট একটা চিরকুট রাখল। যাতে লেখা, ‘ভালোবাসি তাই’।