ইমরান ভাই বিয়ে করবেন ১০ তারিখ শনিবার। বিয়ে বলতে শুধু আকদ করে রাখা। তো এর পর উনি প্ল্যান করেছেন নতুন বউ নিয়ে বান্দরবান থেকে ঘুরে আসবেন। আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন যাবো কিনা। আমরা রাজি হলাম। বিয়ে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। এরপর সেখানে রাত টুকু থেকে ভোরে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। বান্দরবানের নীলাচলে ইকোসেন্স রিসোর্টে বুকিং দিয়ে রেখেছি।
প্ল্যান অনুযায়ী আমরা ১০ তারিখে নারায়ণগঞ্জ গেলাম। দুপুর ১২টার মধ্যে রওনা দেওয়ার প্ল্যান থাকলেও একটু দেরি হয়ে যায়। বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছাই। এরপর খাওয়া দাওয়া, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে উনার শ্বশুর বাড়িতে থেকে যাই রাতে। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে ভোরে রওনা দেই বান্দারবানের উদ্দ্যেশে। বের হতে হতে সকাল সাড়ে ছয়টা বেজে যায়।
হাইওয়েতে এখন বেশির ভাগ জায়গায় স্পিড গান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ। সকাল হওয়া সত্ত্বেও স্পিড লিমিট ক্রস না করে ড্রাইভ করতে থাকি। কুমিল্লা পার হওয়ার পর থেকে ঝুম বৃষ্টি। এত বেশি বৃষ্টি যে কিছুই দেখা যায় না। ঘুমানোর জন্য পারফেক্ট ওয়েদার। আর এই বৃষ্টিতে ইচ্ছে করছিল গাড়িকে এক পাশে পার্ক করে কিছুক্ষণ ঘুমাই! ঘুমালে তো আর বান্দরবান যাওয়া হবে না, তাই ড্রাইভ করতে থাকি।
চট্রগ্রাম পৌঁছাই ১২টার দিকে। বদ্দারহাটে হোটেল জামান নামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। ঐখানে যাই কিছু খাওয়া দাওয়ার উদ্দেশ্যে। পুরো রেস্টুরেন্ট খালি। আমাদের খিদা লেগেছে। ভাবলাম ভাত খাই সবাই মিলে। বান্দারবান যেতে যেতে বিকেল হবে। দিলাম অর্ডার। যে অর্ডার নিতে আসল, তাকে প্রশ্ন করি একটা সে উত্তর দেয় আরেকটা। এক পর্যায় আমাদের হাত থেকে মেন্যু নিয়ে বলল এটা এটা দিয়ে দিচ্ছি। লিমন ভাই গেলো রেগে। কোন মতে উনাকে ঠাণ্ডা করলাম। ড্রাইভ করে টায়ার্ড। অন্য কোন রেস্টুরেন্টে হেঁটে যাওয়ার মত এনার্জি নেই।
খাবার দিল। খেলাম। বিল দিয়ে গিয়ে দেখি সব উল্টা পাল্টা। এরপরও বিল দিয়ে দিলাম। এক ফ্লোর নেমে গেছি। মনের মধ্যে খুঁত থাকায় একটু বিলটা চেক করতে ইচ্ছে করল। করে দেখি সব কিছুর দাম মেন্যুর ডাবল বা চারগুণ করে বিল রাখল। সার্ভ করার জন্য উনি বলেই দিয়েছে যে সব গুলো আইটেম একজনের জন্য। তো আমরা চারজনের জন্য আলাদা আলাদা করে অর্ডার দিলাম। ডাল, ভর্তা, গরু, শাক সব। এখন যখন বিল নিয়েছে, তখন ডাল হিসেব করেছে চার প্লেটের, শাকের হিসেব করছে দুই প্লেটের এভাবে সব কিছু। সব কিছু আবার বেশি দেওয়ার কারণে রয়ে গেছে সব। পরে উপরে এসে জিজ্ঞেস করলাম এমন বিল রাখার কারণ কি। আমরা অর্ডার দিলাম এক রকম, সার্ভ করল আরেক রকম। যেমন আমরা রাইস অর্ডার দিয়েছি চারটা। উনারা এক বোল রাইস দিয়েছে যার দাম মেন্যু থেকে ডাবল। পরে বলল আমরা এভাবেই সার্ভ করি। আমরা বললাম যেটা যেভাবে সার্ভ করবেন, ঐটা তো মেন্যুতে ঐভাবে লেখা উচিৎ। অনেকক্ষণ তর্ক করল। এরপরে সব দোষ যে সার্ভ করছে, তার উপর চাপিয়ে দিল। তারা কিছু টাকা ফেরত দিয়ে বলল এই টাকা যে সার্ভ করছে, তার থেকে কেটে রাখবে। যদিও যে সার্ভ করেছে, তারও দোষ আছে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্টেরও দোষ আছে। মেন্যুতে এক রকম, সার্ভ করল আরেক রকম।
চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। খুব একটা সময় লাগেনি রিসোর্টে পৌঁছাতে। পাহাড়ি রাস্তায় এর আগে কখনো ড্রাইভ করিনি। অনেক দুশ্চিন্তা কাজ করছিল যে গাড়ি ঠিক মত ড্রাইভ করা যাবে তো। আমরা দেখতাম পাহাড়ে যে সব গাড়ি চলে, সেগুলো হয় জিফ অথবা চান্দের গাড়ি নামে পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের গাড়ি। সিএনজি গুলোকে গুলোকে দেখতাম অনেক কষ্ট করে ড্রাইভ করতে হতো। আলহামদুলিল্লাহ্, পরে যদিও কোন সমস্যা ছাড়াই রিসোর্টে পৌঁছাই। নীলাচলের খুবি কাছে এই রিসোর্ট। রিসোর্ট থেকে নীলাচল হেঁটে যাওয়া যায়।
নীলাচল যাওয়ার পথে এক জায়গায় দেখলাম বাঁশ দেওয়া। গাড়ি থেকে টোল নিচ্ছে। প্রতি গাড়ি ১২০ টাকা। বললাম আমরা রিসোর্টে যাচ্ছি, নীলাচল না। তারপরও নিল। সরকারকে প্রতিবছর ট্যাক্স দিচ্ছি গাড়ি চালানোর জন্য। এরপরও অবৈধ ভাবে সারা বাংলাদেশেই কত যায়গায় যে এভাবে টাকা তোলা হচ্ছে। আহারে।
রিসোর্টে যাওয়ার পর ওয়েলকাম ড্রিংস হিসেবে ফলের জুস দিল। সেগুলো খেলাম। এরপর আমাদের কটেজ দেখিয়ে দিলে কটেজে গিয়ে রেস্ট নেই। সারা দিন ড্রাইভ করায় বিছানায় শোয়ার সাথে সাথেই ঘুম চলে আসে। সন্ধ্যায় বের হই। রিসোর্টে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়াই। এরপর রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করি। এই রিসোর্টে থাকা অবস্থায় একটা আনওয়ান্টেড কল আসে। যে কলটা পাওয়ার কথা না। পরে এই নিয়ে ঝামেলা হয়ে রিসোর্টে থাকার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। রাতে খুব একটা ঘুমও হয়নি যার কারণে।
সকালে প্ল্যান ছিল সূর্যদয় দেখব নীলাচল গিয়ে। নীলাচল সকাল ৮টার পরে খোলা হয়। এছাড়া আকাশও মেঘলা থাকে। তাই আমরা নীলাচল থেকে নেমে চলে যাই বান্দরবন শহরের দিকে। শরের এদিক সেদিক কিছুক্ষণ ড্রাইভ করি। এরপর চলে যাই গোল্ডেন টেম্পেলের দিকে। তাও বন্ধ থাকে সকাল বেলা। দূর থেকে ভালোভাবেই দেখা যায়। ড্রাইভ করে চারপাশ দেখাই মূল লক্ষ্য ছিল। সেখান থেকে ফিরে রুমে আসি। কিছুক্ষণ রেস্ট নেই। তখনো ৮টা বাজেনি। আবারও ঘুমানোর চেষ্টা করি, ঘুম আসে না। পরে উঠে গিয়ে নাস্তা করি। এত সুন্দর করে নাস্তা পরিবেশন করেছে। মনটাই ভালো হয়ে গেলো।
নাস্তা করে রুমে গেলাম। ফ্রেস হয়ে রওনা দিলাম নীলগিরির উদ্দেশ্যে। তখন দুপুর ১২টা। নীলাচল থেকে নীলগিরি অনেক দূরে। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। এই ৪৫ কিলোমিটার হচ্ছে পাহাড়ি ৪৫ কিলোমিটার। পুরো রাস্তাই আঁকাবাঁকা। তবে অসম্ভব সুন্দর। রাস্তা অনেক জায়গায়ই খারাপ। ব্রিজ গুলো অনেক বেশি উঁচুনিচু। সাবধানে ড্রাইভ করতে হচ্ছিল। না হলে গাড়ির নিচে লেগে যেতো। রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছিল। পথে অসম্ভব সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট পড়ে। আদ্রক নামে, সাইরু রিসোর্টের পাশে। ঐখানে বসে কিছুক্ষণ রেস্ট নেই। চা খাই। এরপর আবার রওনা দেই। দু পাঁশেই এত সুন্দর ভিউ। প্রতিটা যায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করছিল। আবার ঐ দিকে নীলগিরি বিকেল ৫টায় বন্ধ হয়ে যাবে। সেই চিন্তা করে কোথায়ও না দাঁড়িয়ে চলে যাই নীলগিরি।
নীলগিরিতে প্রবেশ ফি ১০০টাকা করে জন প্রতি। আবার গাড়ি পার্কিং ২০০টাকা প্রতি গাড়ি। ঐখানের যে ভিউ দেখা যায়, তার তুলনায় আমার কাছে মনে হয় যথেষ্ট বেশি টাকা চার্জ করে তারা। এছাড়া নীলগিরির ভিউ পয়েন্ট গুলো থেকে নীলগিরি যাওয়ার পথের ফ্রি অনেক গুলো ভিউ পয়েন্ট রয়েছে, সেগুলো বেশি সুন্দর মনে হয়েছিল আমার। তবে Ralph Waldo Emerson এর একটা কথা বার বার মনে হচ্ছিল “It’s the not the Destination, It’s the journey.”। সত্যিই তাই। জার্নিটা অনেক বেশি ইনজয় করেছি। অনেক বেশি সংশয় কাজ করত যে আমরা এতদূর যেতে পারব কিনা ড্রাইভ করে । আলহামদুলিল্লাহ্, সুন্দর ভাবেই যেতে পারি। নীলগিরিতে কিছুক্ষণ থেকে আবার রওনা দেই রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। পথে কয়েকটা ভিউ পয়েন্টে থামি। এত অসাধারণ লাগছিল। এই সময়টা বান্দারবান ঘুরার জন্য পারফেক্ট সময়। আকাশে তুলোর মত মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। ওয়েদারটাও অসম্ভব সুন্দর, না ঠাণ্ডা, না গরম। সব কিছু মিলিয়ে ভালোই লেগেছে।
নীলগিরি গিয়ে ডাবল হ্যান্ড ভিউ পয়েন্ট খুঁজতেছিলাম। যদিও নাম জানতাম না এই জায়গার। সবাই এমন ছবি তুলে নীলগিরির কথা বলত। তাই ভাবলাম এটা নীলগিরিতে। পুরা নীলগিরির সব কিছু দেখা শেষ কিন্তু এই ভিউ পয়েন্টটা খুঁজে পাচ্ছি না। পরে জনলাম এই ভিউ পয়েন্ট নীলগিরির একটু আগে। ছবি তুলে ট্যুরকে সার্থক করলাম 😉
রাতে লিমন ভাইদের জন্য ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করেছে। আমরাও কিছু অর্ডার দিয়েছি খাওয়ার জন্য। প্ল্যান ছিল আমরা আগেই খেয়ে রুমে চলে যাবো যেন উনারা উনাদের সময়টা ইঞ্জয় করতে পারে। পরে ইমরান ভাই এবং উনার ওয়াইফ এসে বলল সবাইকে এক সাথে খাবার সার্ভ করার জন্য। পরে সবাই এক সাথেই বসে খাওয়া দাওয়া করলাম। অনেক সুন্দর আয়োজন ছিল। রেস্টুরেন্টটা থেকে পুরো বান্দরবনের ভিউ দেখা যায়। রাতের বেলাও সুন্দর ভিউ দেখা যাচ্ছিল। এমন পরিবেশে যে কোন কিছুই ভালো লাগার কথা।
পরের দিন সকালে আলাদা কোন প্ল্যান ছিল না। তাই একটু গড়িমসি করেই ঘুম থেকে উঠি। ১০টার দিকে উঠে নাস্তা করি। আগের মতই সুন্দর করে খাবার সার্ভ করে। খাওয়া দাওয়া করে রুমে গিয়ে রেডি হই চেকআউটের জন্য। ইকোসেন্সের ম্যানেজার জানালো যে ইকোসেন্সের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য রিসোর্টে উৎপন্ন কিছু গিফট রেখেছে। পরে দেখি কত গুলো আম, আনারস, মণ্ডল। ইকোসেন্সের ওনারের নামও জাকির। বের হওয়ার সময় উনার সাথে দেখা। বিদায় নিয়ে বের হই রিসোর্ট থেকে। নীলাচল ঘুরে দেখার প্ল্যান থেকে নীলাচলে যাই।
নীলাচলের এন্ট্রি ফি মাত্র ৫০টাকা। পার্কিং এর জন্য আলাদা কোন চার্জ নেই। আবার ভিউ পয়েন্টও অনেক গুলো। নীলাচল এবং নীলগিরি যদি তুলনা করি, আমার কাছে নীলাচল বেশি সুন্দর লাগে। তবে নীলাচল শহরের খুব কাছেই। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায়। পাহাড়ি রাস্তার যে থ্রিল, তা পাওয়ার জন্য অবশ্যই নীলগিরি যাওয়া উচিৎ।
নীলাচলে সুইং এন থ্রিল নামে এক জায়গায় দোলনা দেওয়া যায়। এত অস্থির একটা ভিউর সাথে দোলনা দেওয়ার অপশন যে আমাদের দেশেও আছে, জানা ছিল না। আসলেই থ্রিল ছিল এই দোলনাটায়। কি যে ভয় লাগছিল। যদি কোন ভাবে একবার পড়ে কেউ, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিটের সাথে সিট বেল্ট ছিল, যা কতটুকু কাজ করবে, আমার জানা নেই। সেফটি যদি আরেকটু বাড়ানো যেতো, ভালো হতো। তবে খুব ইনজয় করেছি এই সুইং। মাত্র ৫০টাকা নিয়েছিল জন প্রতি। আনন্দের তুলনায় বলা যায় খুবি কম।
নীলাচল থেকে রওনা দেই চট্রগ্রামে। পরের দিন আমাদের একটা কাজ থাকায় চট্রগ্রাম থেকে যাই আমরা। লিমন ভাইয়েরা রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। চট্রগ্রাম কোথায় থাকব, তার ডিসিশন নিতে পারছিলাম না। অনেক গুলো হোটেল আছে। যেগুলোতে পার্কিং আছে, সেগুলো বেশি এক্সপেন্সিভ। শুধু মাত্র রাতে থাকব। বেশি খরচ করতে ইচ্ছে করছিল না। খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে যাই ফয়েজ লেক রিসোর্ট। এই রিসোর্ট আগেও দেখেছি যখন ফয়েজ লেকে ঘুরতে যাই। ভাবলাম এবার একটু থেকে দেখি কেমন লাগে। বুকিং দিলাম। বিকেলে চট্রগ্রাম গিয়ে পৌঁছাই। ফয়েজ লেক রিসোর্ট ডিরেকশন থাকায় গুগল ম্যাপে ভুল দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে ফয়েজ লেকে গিয়ে রিসোর্টের এন্ট্রি খুঁজে বের করি। ঐখানে থাকার পাশা পাশি ওদের সী ওয়ার্ল্ডে আনলিমিটেড রাইড ও ড্রাই ওয়াল্ডে ৭টি রাইড ফ্রি দেয়।
ফয়েজলেক রিসোর্ট লেকের মাঝখানে। ওদের সী ওয়ার্ল্ডের পাশে। বোটে করে আমাদের নিয়ে যায় রিসোর্টে। রিসোর্টে গিয়ে একটু ফ্রেস হয়ে আবার বের হই। ফয়েজ লেকের গেটের আসে পাশে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। এরপর খাওয়া দাওয়া করে আবার রিসোর্টে ফিরি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বের হই। ড্রাই ওয়ার্ল্ডে এসে রাইড গুলো দেই। বাম্পিং কার, ফ্যামিলি কোস্টার, পাইরেট শিপ, এপোলো, এরিস হুইল ইত্যাদি। ভালোই লেগেছে রাইড গুলো। এগুলোর মধ্যে বাম্পিং কার আমার অনেক ভালো লাগে। নিজের গাড়ি তো এভাবে কোন কিছুর সাথে ধাক্কা দেওয়ার সাহস নেই। তাই বাম্পিং কার একটার সাথে আরেকটা ধাক্কা দিয়েই সখ মেটানো যায়। রাইড গুলো দিয়ে বের হই ফয়েজ লেক থেকে। এরপর আমাদের কাজ শেষ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথে কুমিল্লার পাদুয়ার বাজারে ছন্দু হোটেলে খাবার খেয়ে নেই। খুবি সাধারণ একটা হোটেল। তবে সেখানের গরুর মাংস রান্না সুন্দর। খাওয়া দাওয়া করে রওনা দেই বাসার উদ্দেশ্যে। আলহামদুলিল্লাহ্, শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছাই। পুরো ট্যুরে আরো কয়েকটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। যা ফেসবুকে শেয়ার করি। লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে বলে এখানে আর শেয়ার করলাম না। কেউ চাইলে ফেসবুক থেকে পড়ে নিতে পারেন।
nice vai