ফ্রীল্যান্সিং করলে কিছু না হোক অনেক কিছু জানা যায়। জানা যায় অনেক দেশের মানুষের প্রকৃতি, ভাবনা আরো অনেক কিছু। আরেকটা ভালো কিছু জানা যায় তা হচ্ছে সময়ের সঠিক ব্যবহার। আমাদের দেশে যদি হয় দুপুর আমি যার কাজ করি তার ঐখানে রাত ১২টা বা অন্য কোন বিদগুটে কোন একটা সময়। আর এখানেই হচ্ছে আপনার কৃতিত্ত্ব। আমি আগে সারারাত জেগে থাকতে পারতাম, সারা রাত জেগে থেকে নিজের মন মত যা ইচ্ছে তা করতে পারতাম। কিন্তু যখন রাতে কাজ করব তখন? কাজ করা আর নিজের মত করে কোন কিছু করা এক না। কারন কাজ করার সময় ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়, তার কি ধরকার তা বুঝতে হয় আমি কি করতে পারব কিনা তা জানতে হয়, যদি না পেরে থাকি তাহলে কি আমি সহজেই শিখে নিতে পারব কিনা এসব ভেবে চিনতে কাজ করতে হয়। আরেকটা জিনিস হচ্ছে কোন কোন ক্লায়েন্ট আমাকে সময় দিবে কেউ আবার চায় সাথে সাথেই কাজ করে দিতে। তাই মাঝে মাঝে বিরক্ত ও লাগে। আবার অনেক সময় ভালোও লাগে যখন সত্যি কিছু শিখতে পারি। বা আমাকে কোন কঠিন কাজ দিলে প্রথম যদি না পারি তখন অনেক অনেক বিরক্ত লাগে আর কাজ টা শেষ করে দিলে কত যে ভালো লাগে বুঝাতে পারব না। কাজ শেষে যদি ঐ সময় টাকা নাও দিত তাহলে আপত্তি থাকত না বা থাকবে না। কারন আমি কিছু শিখতে পেরেছি।
আর সবচেয়ে উপভোগ করার বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা। আজ আমেরিকার কাজ তো কালকে অস্টেলিয়ার কোন এক ক্লায়েন্টর কাজ এ দুই দেশেরই প্রথম ভাষাই হচ্ছে ইংরেজি, তাই এদের সাথে কাজ করতে কোন আপত্তি নেই, বেশি সমস্যা ও হবার নয়। কিন্তু ক্লায়েন্ট যদি হয় ফ্রান্স বা স্পেনের তখন কি করবেন? তখনই ভালো লাগে। সেও ভালো ইংরেজি জানে না আমি ও না, তাই ভুল হলে কেউ হেসে উঠি না। ভালোই লাগে। কারন আমি তো আর ফ্রন্স আর স্পেনের ভাষা জানি না ওরা ও বাংলা ভাষা জানে না তখন আমাদের ভাষা হয় ইংরেজী। আরেকটা বিষয় হচ্ছে গুগল ট্রান্সলেটর। এটা অনেক হেল্প করে। আমাকে দিয়েছে স্পেনের ভাষায় সাইট তৈরি করতে কিন্ত আমি তো আর স্পেনের ভাষা পারি না, তখন আমাকে সাহায্য করে গুগল ট্রান্সলেটর। ওর সাহায্যে ভাষাকে অনুবাদ করে কাজ করি। একটু ভেজাল লাগলে ও কাজ করা মজা পাওয়া যায়।
আর আমি নিজেও নতুন। নতুন দের জন্য আমার কোন উপদেশ নেই তাই। তবে আপনারা যারা শুরু করতেছেন বা করবেন কাজ না পেলেও ধৈর্য হারাবেন না প্লিজ। কাজ একবার পেলে দেখবেন আর পেছনে ফিরতে হবে না। কাজ না পেলে কাজ শিখে যান। শিখার পেছনে সময় ব্যয় করুন। একজন ফ্রীল্যান্সারের সবচেয়ে দামী রিসোর্স হচ্ছে তার সময়। আসলে সময় সবার জন্যই দামি। আপনি যদি ফ্রীল্যান্সার হয়ে থাকেন আপনাকে সময়ের দাম অন্যান্য দের থেকে আরো জোর দিয়ে দিতে হবে। দোয়া করবেন সবাই আমি নিজেও যেন নিজের সময় গুলোকে কাজে লাগাতে পারি।
ধন্যবাদ সবাইকে, শুভ ফ্রীল্যান্সিং।
জাকির হোসাইন
আমার কন্ঠ
[পোস্টটি বলাকা বাসে বসে লেখা, পথ বনানী থেকে মালিবাগ 🙂 ]
chomotkar .wow!! Garite boshe
হ্যা 🙂
আমিও জার্মান ভাষায় সাইট তৈরী করেছি এবং এর বদৌলতে দেতুচ কিছু শব্দের অর্থও যানা আছে।
ভালো 🙂
হুম আসলেই শিখাটাই বড় কথা
তা ডলার গুলা যদি আমার একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিতেন 😉
কারন টাকা না দিলেও নাকি দুঃখ থাক্তো না 😛
😛
ভাই,খাঁটি মনের কথাগুলো বললেন।ভাষার বৈচিত্র ফ্রীল্যান্সিং করার সময় সত্যিই আনন্দ দেয়।আপনার সাথে সহমত।
inspired হইলাম
ভাই অামার অনেক বড় হওয়ার ইচ্ছা
অনেক পরিশ্রম করার ইচ্ছা
দোয়া রাখবেন 🙂
ভাইয়া পোস্ট টা শিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।