আপওয়ার্ক দুই দিন আগে বর্তমানের হট স্কিল ইনডেস্ক শেয়ার করেছে। যে স্কিল গুলো খুব দ্রুত বাড়ছে। সবার আগেই রয়েছে মেশিন লার্নিং। আর টপ ১১ জন এক্সপার্ট দের মধ্যে বেশির ভাগ মেশিন লার্নিং এক্সপার্টদের আওয়ারলি রেট ৫০ ডলারের উপরে।
মেশিন লার্নিং ধরে নিলাম কঠিন কিছু। লার্নিং কার্ভ বেশি। দ্বিতীয় যে স্কিলটি, তা হচ্ছে একটা সফটওয়ারের স্কিল। Tableau নামক একটা ডেটা এনালাইসিস করার সফটওয়ার এর উপর স্কিল। যে কোন সফটওয়ারে স্কিল্ড হওয়া এত কঠিন কিছু না। আর টপ ১১ জন Tableau এক্সপার্টদের মধ্যে বেশির ভাগের আওয়ারলি রেট ৫০ ডলারের উপরে। শুধু মাত্র একটা সফটওয়ারের উপর জ্ঞান। কি শিখতে হবে, কি দরকার, শুধু এতটুকু জানা থাকলেই জব নিয়ে কারো চিন্তা করতে হয় না।
তৃতীয় টপ স্কিলটি হচ্ছে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন। বেশির ভাগ UX designer দের হাওয়ারলি রেটই হচ্ছে ৫০ ডলারের উপরে।
২০ টা টপ স্কিলের মধ্যে পরের প্রায় সব গুলোই হচ্ছে প্রোগ্রামিং রিলেটেড।
ডেটা সাইন্স, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স হচ্ছে ফিউচার। এসবের পাশা পাশি অন্য জব গুলো ও থাকবে, UI, UX, Mangement job ইত্যাদি। কিন্তু সব কিছু কে ছাড়িয়ে যাবে এসব। আমরা কি শিখছি এগুলো?
নতুন যারা প্রোগ্রামিং এ আসি, তাদের বেশির ভাগের স্বপ্ন ডেস্কটপ সফটওয়ার তৈরি করা। যেখানে পৃথিবী অনেক আগেই ক্লাউডে চলে গিয়েছে। ছোট খাট সফটওয়ার তৈরি করে হয়তো বেঁচে থাকা যাবে, কিন্তু দারুণ কিছু করতে হলে সময় যেটা চায়, সেটাই তৈরি করতে হবে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। সবচেয়ে বেশি ভালো হবে যদি ফিউচার প্রিডিক্ট করতে পারা যায়। ফিউচারে কোন জিনসটা মানুষের সবচেয়ে বেশি দরকার হবে, তা চিন্তা করে বের করতে পারলেই ভবিষ্যৎ নিজের হবে।
বিনোদন আমাদের সবার দরকার। গেম ডেভেলপমেন্ট সব সময়ই সেরা একটা প্রফেশন থাকবে। 3D মডেলিং বা এনিমেশন এর চাহিদাও সব সময় থেকে যাবে। মানুষ পৃথিবীতে আসার একটা পরোক্ষ কারণ ও কিন্তু বিনোদন। আর এটা শুরু থেকে যেহেতু আছে, ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত থাকবে চিন্তা করে এ দিকে নিশ্চিন্তে ক্যারিয়ার গড়া যায়।
Internet of Things বা IoT খুব দ্রুত এগুচ্ছে। কিন্তু আমরা এখনো অনেকেই জানি না IoT কি জিনিস। আমরা তখন ই জানব, যখন সবাই জানবে, যখন জিনিসটা সাদামাটা হয়ে যাবে, তখন। কিন্তু একটু আগে জেনে রাখলে, একটু আগে এসব নিয়ে কাজ করে রাখলে দারুণ কিছু করা সম্ভব।
প্রোগ্রামিং এর উপর জ্ঞান ভবিষ্যৎ এ সব জায়গায় কাজে দিবে। ছোট যারা আছি তারা তো শিখবই। যারা বড় হয়ে গিয়েছি, তারাও শেখার চেষ্টা করব। শেখার তো আর কোন বয়স নেই। আর শেখার রিসোর্স যদি ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাহলে কেন শিখব না? প্রতিটা স্কিলই কোন না কোন ভাবে কাজে দেয়। সুযোগ পেলে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা উচিত সবার।
ডেটা নিয়ে এত কিছু। ডেটা সাইন্স কিন্তু কঠিন কিছু না। একটু খানি গণিত, একটু খানি স্ট্যাটিসটিক্স, একটু খানি প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান থাকলেই ডেটা সাইন্সে কাজ করা যায়। মেশিন লার্নিং এর উপর জ্ঞান থাকলে তো আর কথাই নেই। এ ছাড়া এখন অনেক গুলো টুল পাওয়া যায়। শুধু শেখার আগ্রহ থাকলেই হয়। ঠিক করুন কিসে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন। বর্তমান পেশার পাশা পাশি কোন স্কিলটা শিখবেন, অন্তত সখের বসে। এরপর শেখা শুরু করুন। আমরাই ফিউচার 🙂
Well written vaia. You’ve got a regular visitor here. 🙂
Wow!!
vai, ami apnar bisha fan.. sei kobe theke apnar likha gulo porchi. khub sohoj vasay likhen apni.