গণিত বা প্রোগ্রামিং এর সাথে সম্পর্কিত হয়ে থাকলে ডক্টর মুহাম্মদ কায়কোবাদের নাম অনেকেই শুনে থাকবনে। সাউথ ইস্টে যখন ভর্তি হয়েছি, তখন ফ্যাকাল্টি লিস্টে উনার নাম দেখেছি। দেখে অনেক খুশি হয়েছি। উনি আমাদের ক্লাস নিবেন, এটা নিয়ে খুশি। কারণ উনি বুয়েটের টিচার।
ইউনিভার্সিটি জীবন শেষ হয়ে গেলো, কিন্তু স্যারের কোন কোর্সই পেলাম না। কারণ স্যার আমাদের ভর্তির আগে কোর্স নিলেও এর পর আর সাউথ ইস্টে আর কোন কোর্স নেন নি। উনার সাথে কোন দিন দেখাও হয় নি। কথাও হয় নি। এসব নিয়ে মন খারাপ ছিল। সেরাদের কাছে পড়তে কার না ইচ্ছে করে।
এখন আর মন খারাপ হয় না। এখন ইন্টারনেটের কল্যানে বিশ্বের মধ্যে সেরা শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে পারি, এ জন্য। যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেরা ইউনিভার্সিটির সেরা শিক্ষকের তৈরি করা ভিডিও থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে পারি। প্রয়োজনে তাদের ইমেইল করতে পারি। যোগাযোগ করতে পারি তাদের সাথে।
অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারি গুগলের তৈরি করা কোর্স থেকে। আইওস ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারি বিশ্বের সেরা আইওএস ডেভেলপারের তৈরি টিউটোরিয়াল থেকে।
যেটাই শেখা দরকার, সেরা শিক্ষকের থেকে শিখতে পারছি। যে কেউই শিখতে পারে। শুধু দেশের মধ্যে সেরা নয়, পুরো বিশ্বের মধ্যে সেরা শিক্ষকের কাছ থেকে। হয়তো মহাবিশ্বের মধ্যেও সেরা শিক্ষক! এখন আমরা সবাই একটা ওপেন ইউনিভার্সিটির ছাত্র। সবাই একই ক্লাসের ছাত্র। বড় ছোট সবাই।
এই ওপেন ইউনিভার্সিটিতে কে কোন দেশের, কার ব্যাকগ্রাউন্ড কি, কার বয়স কত, এসব কিছুই দেখা হয় না। দেখা হয় কে কতটুকু শিখতে পেরেছে। শিখে কে কতটুকু কাজে লাগিয়েছে।
যে ছাত্রটি অখ্যাত একটা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে পাশা পাশি ইন্টারনেটের তথ্য গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলল সে দেশ/বিদেশের সেরা ইউনিভার্সিটিতে পড়া একটা ছাত্র যে কোর্সের বাহিরে কিছু শিখল না তার থেকে এগিয়ে থাকবে। এই ওপেন বিশ্বে।
যাদের ইউনিভার্সিটি জীবন শেষ, জব করেন, তাদের কি শেখা বন্ধ করে দিতে হবে? না, ক্যারিয়ারে উন্নতি চাইলে নিয়মিতই শিখে যেতে হবে। শেখা বন্ধ করে দিলে এক জায়গাতেই পড়ে থাকতে হবে। আর নিয়মিত নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে থাকলে প্রমোশন আর প্রমোশন।
আমরা সবাই এই ওপেন ইন্টারনেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র, যে এটাকে কাজে লাগিয়ে যত বেশি শিখতে পারব, সে তত এগিয়ে থাকতে পারব। হ্যাপি লার্নিং 🙂