মানুষ ম্যানেজমেন্ট

পৃথিবীর সব গুলো জবের সবচেয়ে উপরের লেভেলের জব হচ্ছে মানুষ ম্যানেজমেন্ট। এই মানুষ ম্যানেজমেন্ট শিখতে না পারলে কোন না কোন ম্যানেজারের আন্ডারে কাজ করতে হয়।

ইঞ্জিনিয়াররা একটু ভাবে থাকে, ম্যানেজমেন্ট শিখতে হবে না। এমনকি যখন ইউনিভার্সিটিতে ম্যানেজমেন্ট কোর্স ছিল, তখন নাক উঁচু করেছি। কিন্তু দিন শেষে ম্যানেজমেন্টই সব। 😐

মার্ক জাকারবাগ যখন ফেসবুক তৈরি করেছে, তখন কোডিং করেছে। অনেক ভাল কোডার ছিল। দিন যত গিয়েছে, আস্তে আস্তে কোডিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ম্যানেজমেন্টে আসতে হয়েছে।

অনেক গুলো লেখা লিখেছি প্রোগ্রামিং করে ভালো করা নিয়ে। প্রোগ্রামিং করে অনেক ভালো ক্যারিয়ার গড়া যায়। এখন কারো যদি প্রোগ্রামিং ভালো না লাগে, সে কি করবে? তার ভালো লাগার বিষয় গুলো খুঁজে নেওয়া উচিৎ। ঐ ভালো লাগার বিষয় নিয়ে কাজ করে সর্বোচ্চ কোথাও যাওয়া যায়, তা বের করা উচিৎ। এরপর তো লক্ষ্য সেট হয়ে গেলো। বাকি থাকল স্কিল ডেভেলপ ও পরিশ্রম। সঠিক ভাবে এগুতে পারলে কোথায় গিয়ে পৌঁছানো যাবে, তা কল্পনারও বাহিরে।

সুন্দর পিচাই এর উদাহরণ আমার এখন খুব ভালো লাগে। একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ কর্মী হিসেবে গুগলে জয়েন করে এখন গুগলের মাদার কোম্পানির সিইও। সিলকন ভ্যালিতে এর আগে এমন উদাহরণ বিরল। বেশির ভাগ সিইওই ছিল ফাউন্ডার। একটা প্রোডাক্ট তৈরি করেছে। ঐ প্রোডাক্ট হিট করাতে আস্তে আস্তে কোম্পানি বড় হতে থাকে। নিজেকে কোম্পানির হাল ধরার উদ্দেশ্যে ম্যানেজমেন্টে আসতে হয়। কিন্তু সুন্দর পিচাই গুগলে জয়েন করে একটা ছোট প্রোডাক্টের ম্যানেজার হিসেবে। এরপর শুধু মাত্র ডেডিকেশন এবং কর্মে পারদর্শীতার কারণে উপরের পোস্টে পদোন্নতি পেতে থাকে। গুগলে হাজার হাজার প্রোগ্রামার আছে। সবাই টপ নচ। কাজ করে একজন ম্যানেজারের আন্ডারে। প্রোগ্রামাররা অবশ্যই নিজ নিজ জায়গায় সফল। লেখাটা এই জন্য লিখছি যে নন প্রোগ্রামার বা নন ইঞ্জিনিয়ারদেরও পৃথিবী কত বিশাল, তা বুঝানোর জন্য।

2 thoughts on “মানুষ ম্যানেজমেন্ট”

  1. আপনার ব্লগের সব লেখা পড়েছি একসময়। তখন বোধহয় ২০১৭ সালের দিকে। তখন ক্লাস ৮ এ পড়ি। ফ্রিব্যাসিক এ আপনার সাইট এড করা ছিলো সেখান থেকে। খুব ভালো লাগতো। অনেকদিন পরে হঠাৎ করে মনে হলো দেখি ব্লগটা বেঁচে আছে কিনা। ওমা, দেখছি এখনো লিখেন। খুব ভালো লাগলো, অনেক স্মৃতি ভেসে উঠলো। ধন্যবাদ ভাই, লেখা চালিয়ে যান। বন্ধ করবেন না।

    Reply

Leave a Reply