ফেসবুকের ফিল্টার মেসেজ গুলো মাঝে মাঝেই দেখি। কারণ পরিচিত অনেকেই যারা ফেসবুকে এড নেই, তাদের মেসেজও মাঝে মাঝে ফেসবুকে ফিল্টার মেসেজে চলে যায়। একদিন একটা অদ্ভুত নাম থেকে একটা মেসেজ এসেছে। নাম দেখেই বুঝা যায় ফেক আইডি। মেসেজটা ছিল এমনঃ
“ কেমন করে বলতে হয় ভালোবাসি, তা আমার জানা নেই। তবে এতটুকু জানি, ভালোবাসি। অনেক। ”
নাম থেকে বোঝা যায় না আইডিটি কোন ছেলের নাকি মেয়ের। আমার কোন বন্ধু হয়তো মজা নেওয়ার জন্য এ আইডি খুলে মেসেজ দিয়েছে। আমি উত্তর দিলাম কাউকে ভালোবাসলে সরাসরি বলা উচিত। ফেক আইডির পেছনে লুকানোর প্রয়োজন হয় না। হয়তো আপনি আমাকে মেসেজ দেওয়ার জন্যই আইডিটি খুলেছেন।
ঐ আইডি থেকে উত্তর দিল “ হ্যা, আপনাকে মেসেজ দেওয়ার জন্যই আইডিটি খোলা। সামনা সামনি কখনো বলতে পারতাম না। তাই এভাবে বলা। যদি কখনো ইচ্ছে হয়, একটু চেষ্টা করলেই খুঁজে নিতে পারবেন। ”
আমি লিখলাম ফেসবুকে আমরা মানুষের একটা অংশই দেখি। সে যা দেখাতে চায় তা। এতটুকু দেখে কাউকে ভালোবেসে ফেলা বোকামি। আপনি বোকামি করছেন না? এছাড়া একটা ফেক আইডিকে আমি কেন বিশ্বাস করব বলেন?
মেয়েটি রিপ্লাই দিল “ তা ঠিক, আপনার জায়গায় আমি হলে হয়তো আপনার মেসেজের রিপ্লাই দিতাম না। এতটুকু বলতে পারি, আপনাকে ভালোবেসে আমি একটুও বোকামি করিনি।”
আমি বললাম কারো একটা অংশ দেখেই ভালোবাসা যায় না। ঐ মানুষটির অন্য অন্য অংশ গুলো আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। আর তখন নিজেই কষ্ট পাবেন। যাই হোক, ভালো থাকবেন।
মেয়েটি উত্তর দিল “ আপনার সম্পর্কে আমার ধারণা খুব বেশি না হলে একবারে কমও না। যতটুকু জানি, এতটুকু জেনেই একজন মানুষকে ভালোবেসে ফেলা যায়। আর হ্যাঁ, ভালো থাকব।”
আমি কি লিখব তা খুঁজে ফেলাম না। আমাদের সবার চিন্তা ভাবনা কত ভিন্ন। একটা পৃথিবীতে বাস করেও সবার নিজ নিজ পৃথিবী কত ভিন্ন। কারোটা কারো সাথে মিল নেই। সবারটা সবার নিজের মত করে গড়া। সবার জগতে সবার নিজের মত করে ভালোলাগার, ভালোবাসার মানুষ থাকতে পারে। আমি নিজেও চাই সবাই যেন তার ভালোলাগার, ভালোবাসার মানুষটিকে পায়। কিন্তু পায় কি? জানি না। কিছু চাওয়া, আর কিছু পাওয়ার মধ্যে দূরত্ব অনেক অনেক বেশি। এই দূরত্বটাই হয়তো জীবন।
কতা টি বাসতব বলেসেন দন্যবাধ