সাঈদ ভাই আমাকে দুপুরে ফোন করে বলল ইন্ডিফিডেন্ট টিভিতে লার্নিং আর্নিং প্রজেক্টের একটা টকশোতে কথা বলতে হবে, যাবো কিনা। আমি রাতে ঘুমাই নি। সকালেও জেগে ছিলাম। একটুর জন্য ঘুম এসেছে মাত্র। হ্যাঁ বলতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।
দুইটা কারণে রাজি হয়েছি, বিকেলে আরেকটা অনুষ্ঠান আছে, ICT মন্ত্রণালয়ের। পরিচিত সব ভাই ব্রাদার যাবে। দেখা হবে। ঘুমিয়ে থাকলে ঐটা মিস করার সুযোগ আছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে টকশোর অভিজ্ঞতা নেওয়া। তাই সাইদ ভাইকে হ্যাঁ বললাম। কিছুক্ষণ পরই ইন্ডিপিডেন্ট টিভি থেকে সাবরিনা আপুর ফোন। আমার ইমেইল এবং পদবি জানতে চাইল। বললাম। তারপর আবার জিতু ভাই নামে আরেকজন ফোন দিল। আমার লিঙ্কডইন প্রোফাইল অথবা ফেসবুক প্রোফাইল দেওয়ার জন্য। দিলাম। আমার ঘুম শ্যাষ!
সাঈদ ভাই এর গাড়িতে করে ইন্ডিপিন্ডেন্ট টিভির স্টুডিওতে গেলাম। গিয়ে দেখি আরো অনেকে। আমরা মোট ৯ জন। তিনটে এপিসোড রেকর্ড হবে। প্রতিটি এপিসোডে তিনজন করে অংশগ্রহণ করবে। আমি সাঈদ ভাই আর আসিফ ভাইকে কথা বলতে হবে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে। আমার জন্য সুবিধে। কিন্তু আসিফ ভাই আর সাঈদ ভাই, দুইজন দুই ফিল্ডের। তারপর ও বলার চেষ্টা করলাম আমরা। সাঈদ ভাই সিকিউরিটি ও ইথিক্স নিয়ে বলল। আসিফ ভাই বলল মার্কেটিং নিয়ে। সময় মাত্র ১৮ মিনিট। তো কথা বলা শুরুর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার জন্য ভালোই হয়েছে।
প্রথম একটু চিন্তিত ছিলাম কি নিয়ে বলব, কিভাবে বলব ইত্যাদি। আমাদের আগে ওয়াহিদ ভাইরা কথা বলেছেন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে। উনাদের রেকডিং দেখে ভয় কেটে গেলো। ক্যামরা ভীতি ও কাজ করে নি। কারণ এর আগে টেক লাইফের জন্য আমরা কয়েকটা ভিডিও তৈরি করেছি। গত কয়েক দিন কয়েক বার বিভিন্ন স্টেজে কথা বলেছি। মাঝে মাঝে খারাপ লাগে নিজের উচ্চারণের জন্য। কিছু কিছু শব্দের উচ্চারণ আমি সঠিক ভাবে করতে পারি না। করতে পারলেও কথা বলার মধ্যে একটু উল্টা পাল্টা হয়ে যায়।
রেকডিং হওয়ার আগে ওরা একটু মেকআপ করে নিয়েছে। যেমন মুখে কিছু পাউডার নিয়ে ব্রাশ করা। আর চুলে স্প্রে করা। চুলে স্প্রে করার কারণ হচ্ছে চুল গুলো যেন এলোমেলো হয়ে না যায়। আর মুখে পাউডার মেখেছে সম্ভবত আলো পড়লে মুখ যেন উজ্জ্বল দেখায়।
রেকডিং টা হয়েছে ICT ডিভিশনের লার্নিং এবং আর্নিং প্রোগ্রামের প্রচারের জন্য। টোটাল ৫২টা এপিসোড নাকি রেকর্ড করবে। এরপর এগুলো মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে তারপর প্রচার হবে। প্রতিটা এপিসোডে আমাদের টকশো এর সাথে ৩ মিনিটে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার বা সফলতার গল্প দেখাবে। এভাবে মোট ২২ মিনিটের প্রোগ্রাম হচ্ছে প্রতিটা এপিসোড।
রেকডিং শেষে আমরা গেলাম ICT ভবনে। আইডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে এ। ঐখানে গিয়ে অনলাইনে পরিচিত সব ভাই ব্রাদারদের সাথে দেখা। কাশেম ভাই ঐখানে দারুণ কিছু কথা বলেছে। ভালো লেগেছে কথা গুলো। অনেকে চট্রগ্রাম থেকে এসেছেন। সবার সাথে দেখা হলো। ইভেন্টের ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা হলো। ইভেন্টে সবার কাছ থেকে মতামত নেওয়া হলো, কিভাবে কি করা যায়। এরপর ডিনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হলো। ভাগ্য ক্রমে দুইটা ইভেন্টই লার্নিং এবং আর্নিং প্রজেক্টের ছিল। সরকার চেষ্টা করছে। এখন দরকার নিজেদের চেষ্টা, আগ্রহ।