পাপের শাস্তি আমাদের একদিন না একদিন পেতেই হবে। পাপ করার পর অনেকেই ভাবে আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন না কেনো। যত ছোট পাপই হোক বা যত বড়, শাস্তি কোন না কোন ভাবে আল্লাহ তায়লা দিয়ে থাকেন। আমরা বুঝতে পারি না। পাপ করার শাস্তি হচ্ছে আল-কুরআনের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া, নামাজের জামাত মিস হওয়া, নামাজ ক্বাযা হওয়া, নামাজের কথা একবারেই ভুলে যাওয়া। এই শাস্তি গুলো চোখে পড়ে না। আমাদের মনে হয় পাপ করে বেঁচে গেছি। আসলে পাপ করার গুনাহ এর পাশা পাশী আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এবাদত করতে পারার মত রহমত আর কিছুই হতে পারে না। কারণ একদিন এই এবাদত গুলোই বহু গুনে ফিরে পাবো।
পাপের শাস্তির কথা চিন্তা করলে হয়তো জাহান্নামের কথা মনে ভেসে উঠে। আসলে সব পাপের শাস্তি জাহান্নামের জন্য অপেক্ষা করে না।
কিছু কিছু শাস্তি হয়তো আমরা ইনস্ট্যান্ট পেয়ে যাই। জান মালের ক্ষতি হয়। অসুখ বিসুখ হয়। এগুলো হয়তো আল্লাহর কাছ থেকে সতর্কবার্তা। ফিরে আসার সুযোগ। কেউ কাজে লাগায়, কেউ কাজে লাগায় না। যারা কাজে লাগায় না, তারা নিজেদের হয়তো অদম্য বা অপরাজেয় ভাবে। পৃথিবীতে অনেক কিছু হয়তো পেয়ে যায়। আল্লাহ তাদের এই অবকাশ টুকু দিয়ে রেখেছেন। অথচ তাদের উপর থেকে রহমতটুকু উঠিয়ে নিয়েছেন। বুঝতেও পারে না তারা। ‘যদি দুনিয়ার মূল্য আল্লাহর কাছে মাছির একটি ডানা পরিমাণও হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কোনো কাফিরকে এক ফোঁটা পানিও পান করাতেন না।’ আল্লাহর কাছে দুনিয়ার সম্পদের কোন মূল্য নেই, ভালো কাজ এবং আল্লাহর এবাদত ছাড়া। ভালো কাজ করতে না পারা, এবাদত করতে না পারার মত শাস্তি মনে হয় না আর কিছু হতে পারে।
খুব সুন্দর