ছোটদের ফ্রিল্যান্সিং

তোমার অনেক গুলো স্বপ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তুমি কি জানো, তোমার মা এবং বাবার কত গুলো স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে?

উনারা তোমাকে নিয়ে যতটুকু স্বপ্ন দেখে, তুমি নিজেও তত টুকু স্বপ্ন দেখো না নিজেকে নিয়ে। এখনো তা তোমার কল্পনারও বাহিরে।

আমি অন্য দেশের কথা জানি না। আমার প্রিয় বাংলাদেশের কথা জানি। আমরা শুধু পড়তে চাই, এ শব্দটা উচ্চারন করার সাথে সাথে মা/বাবা নিজের সেরাটা আমাদের উজাড় করে দেয়। আমাদের পড়া লেখার জন্য যা করা দরকার, উনারা তাই করে। যে কোন ভাবেই করে।

তোমার পছন্দ হয়তো কোন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল / কলেজ। বাবা মা তোমাকে ভর্তি করিয়েছে সরকারী কোন একটাতে। এর মানে এই না যে উনারা তোমার পেছনে খরচ করে না। এর মানে হচ্ছে উনারা উনাদের সেরাটাই চেষ্টা করছেন।

টিপিনের জন্য টাকা চাইলে অনেক সময়ই না করে দেয়। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছো, কিছুক্ষণ পর গিয়ে যদি বলো, কলম/ খাতা/ বই কিনতে হবে। তখন কিভাবে না কিভাবে কত গুলো টাকা বের করে দেয়। এমনই উনারা।

টাকার দরকার, সবারই দরকার। কিন্তু তোমার পড়ালেখার খরচ যদি বাবা মা বহন করার মত সামর্থ্য থাকে, মনে হয় না তোমার আর এই টাকার পেছনে ছোটা দরকার। জানার পেছনে ছুটতে থাকো।

সুন্দর কিছু স্বপ্ন থাকলে শিখতে থাকো। পড়তে থাকো স্কুল কলেজের ঐ বই গুলোর বাহিরেও কিছু বই। একটা লাইব্রেরীর মেম্বার হতে পারো। স্কুলে টিপিনের ফাঁকে খুলে পড়তে পারো। গাড়িতে বসে বসে অলস সময় পার না করে ব্যাগ খুলে একটি বই বের করে পড়তে পারো। যে কোন বই। জানার জন্য।

আশে পাশে কোন লাইব্রেরী না থাকলে বই বিক্রি করার লাইব্রেরীতে চলে যেতে পারো। কিনে নিতে পারো নিজের পছন্দের বইটি। কেনার মত টাকা পকেটে না থাকলে উনাদের সাথে ভালো সম্পর্ক করতে পারো। বই এর দোকানে বসে বসে একটা গল্পের বই নিয়ে পড়তে পারো। তোমার ব্যবহারে তারা মুগ্ধ হলে তোমাকে একদিনের জন্য তাদের দোকান থেকে বই নিতে দিবে। পরের দিন বইটি ফেরত দিয়ে নতুন আরেকটা বই নিতে পারো।

বিকেল বেলায় ফুটবলটির পেছনে একটা কিক দিতে পারো। ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বলটিকে ছক্কা মেরে মাঠের পাশের পুকুরে ফেলে দিতে পারো। পাশের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংতে পারো। একটু আধটু বকা শুনতে হতে পারে। কিন্তু এক সময় ঐ বকাটা কি দারুণই না লাগবে। ঐ বকাটার কথা মনে পড়লে কি মধুরই না লাগবে। আই প্রমিজ। শেখার পাশা পাশি যা ইচ্ছে করে, তাই করতে থাকো।

শেখার সময় টাকার পেছনে ঘুরলে নিশ্চই ভালো কিছু হবে না। পড়ালেখা নষ্ট হবে। জানার আগ্রহ নষ্ট হবে। জানার আগ্রহ নষ্ট হওয়ার পর আর কিই বা আছে জীবনে? এখনো জানি না। কোন দিন যদি জানতে পারি, লেখাটি এডিট করে লিখে দিয়ে যাবো।

তুমি ভালো কিছু জানলে কোন দিনও তোমাকে টাকার পেছনে ছুটতে হবে না। কাজ করার পেছনে ছুটতে হবে না। কাজ গুলো তোমার পেছনে ছুটে তোমাকে ব্যস্ত করে তুলবে। ঐ ব্যস্ততার মাঝেও শিখতে চেষ্টা করবে। কাজ করার আগে বা পরে পড়ার চেষ্টা করবে সুন্দর একটি বই।

8 thoughts on “ছোটদের ফ্রিল্যান্সিং”

  1. আপনার এই লেখাটি আমি এই পর্যন্ত ৫ বার পড়েছি , যতবারই পড়েছি ততবারই ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণ

    Reply
  2. মনে হয় অনেক কিছু মিস করেছি*জীবনে, আপনার লেখা পড়ে ঠিক এমনটাই মনে হল

    Reply

Leave a Reply