কীলগার থেকে নিজের অনলাইন একাউন্ট সুরক্ষা করার একটা বুদ্ধি মাথায় এসেছে। কীলগার গুলো সাধারনত আপনি যা টাইপ করবেন কীবোর্ডে, তার সবই সেভ করে রাখে এবং হ্যাকারের কাছে পাচার করে।
আমরা কোন ওয়েব পেইজে লগিন করার সময় ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড পর পর দি, এ জন্য হ্যাকার ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড সহজেই খুজে পেতে পারে।
যেমন ধরি আমার ফেসবুক ইউজার নেমঃ [email protected] আর পাস হচ্ছেঃ thi$I$4P4$$ এখন আমি ফেসবুকে যখন লগিন করব, প্রথমে ইউজার নেম দিব পরে দিব পাস। আর আমার কম্পিউটারে একটা হিডেন কীলগার রয়েছে। আমি জানি না। এর ফলে হ্যাকারের কাছে যখন আমি কীবোর্ডে কি লিখেছি সে গুলো চলে যাবে। সে সহজেই কোনটা ইউজার নেইম কোনটা পাসওয়ার্ড তা বুঝতে পারবে। এবং আমার একাউণ্ট দখল করবে।
কীলগার দিয়ে হ্যাকিং এর শিকার থেকে বাচার জন্য এখন আমি ইউজার নেইম দেওয়ার সময় প্রথমে একটা ওয়ার্ড লিখব আমার ইউজার নেম থেকে। যেমন লিখলাম j এরপর ইউজার নেম ফিল্ড থেকে কার্সর সরিয়ে অন্য আরেক জায়গায় নিয়ে হাবিজাবি কিছু লিখব। এরপর আবার ইউজারনেম ফিল্ডে এসে আমার ইউজারনেম এর a লিখব। আবার অন্য জায়গায় কার্সর নিয়ে কয়েকটা ওয়ার্ড এমনিতেই টাইপ করব। একই ভাবে লিখব c এভাবে বাকি গুলো। পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় ও এমন স্টেপ ব্যবহার করব।
এখন যখন হ্যাকারের কাছে আমার কীবোর্ডের টাইপ করা সকল ওয়ার্ড দেখবে, সেখান থেকে আমার ইউজার নেইম এবং পাস উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। আমিও হ্যাকিং এর শিকার হব না।
সাধারনত নিজের পিসিতে ইন্টারনেট সিকিউরিটি বা এমন কিছু ইন্সটল করা থাকে বা কিছু না থাকলেও নিজের পিসি সিকিউর ভাবে ব্যবহার করার ফলে কীলগারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়তে/সাইভার ক্যাফে/ অন্য কারো কম্পিউটার গুলো অনেকেই ব্যবহার করে। যে কেউই ইচ্ছে করে কীলগার বসিয়ে দিতে পারে। এতে নিজের একাউণ্টের তথ্য অন্যের কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
কীলগার দিয়ে হ্যাকিং? সবচেয়ে নিন্মমানের হ্যাকার। সবচেয়ে নিম্নমানের হ্যাকারের শিকার হওয়া মানসন্মানের ব্যপার সেপার।। ফায়ারফক্সের এক্সটেনশন / ক্রোম ব্রাউজারের এক্সটেনশন রয়েছে এমন কীলগারের। তাই কোন ব্রাউজার/নিজের পিসি ছাড়া অন্য কারো পিসিতে কাজ করার সময় একটু সাবধানে থাকলেই সুরক্ষা পাওয়া যাবে