মেয়েটির সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল তার স্টুডিও এর দরজায়। হাতে, মুখে, জামাতে রঙ লেগে রয়েছিল। স্টুডিও বললে ভুল হবে, তাদের নিজ বাড়ির একটি রুমের সামনে। যে রুমে সে ছবি আঁকত। সাদা জামায় লেগে থাকা রঙ গুলো আমার কাছে জামারই অংশ মনে হয়েছিল। মনে হয়ছিল কেউ ইচ্ছে করে আর্ট করছে। কিন্তু না, আসলে সে গুলো ভুল ক্রমে ছবিতে রঙ দেওয়ার সময় লেগে গিয়েছিল।
ঐ দিনই আমার মনে হয়েছিল মেয়েটির পাশে একজন থাকা উচিত। তার রঙ এগিয়ে দিতে, তাকে ছবি আঁকতে সাহায্য করতে। গায়ে রঙ লেগে গেলে তা মুছে দিতে…
আমি গিয়েছিলাম একটি ছবির জন্য। গ্যালারিতে ছবি দেখে পছন্দ হয়েছিল। পরে তা আনতে গিয়েছি। ছবিটি আনতে গিয়ে ছবির থেকে আর্টিস্টকে বেশি সুন্দর লাগলো। ছবি থেকে আর্টিটসকে বেশি ভালো লেগে গেলো। এমনকি মেয়েটির সাহায্যকারী হিসেবে নিজেকে ভাবতে লাগলাম। নিজেকে মেয়েটির পাশে চিন্তাও করতে লাগলাম। কি অদ্ভুত!
এরপর কয়েক দিন পর পরই ছবি কিনতে চলে যেতাম। যেখানে ছবি কেনা থেকেও মেয়েটিকে দেখতে যাওয়া মূখ্য ছিল।
এরপর একদিন মেয়েটিকে বললাম এক সাথে লাঞ্চ করি? মেয়েটি না করল। আমি বললাম, ফ্রান্সের মেয়েদের সাথে নাচতে নাকি তিনবারের মত জিজ্ঞেস করতে হয়। প্রথমবারে কেউই রাজি হয় না। আমাকেও কি তিনবার জিজ্ঞেস করতে হবে? মেয়েটি হাসল। সুন্দর সে হাসি।
কিছুক্ষন নিরব থেকে বলল, চলো। আমি বললাম কোথায়? বলল, লাঞ্চ করতে। সত্যি? মেয়েটি বলল, হ্যা সত্যি।
লাঞ্চ করতে বসে আমার কি মিশ্র অনুভূতি। সব ভালো লাগা যেন এক সাথে কাজ করছিল। রেস্টুরেন্ট থেকে হেটে হেটে গল্প করতে করতে তাকে এগিয়ে দিয়ে গেলাম।
সময় পেলে এরপর প্রায় সময়ই যাই। বসে বসে ছবি আকা দেখি। নাকে মুখে রঙ লেগে যাওয়া দেখি। দেখতে ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে আবার রঙ, ব্রাশ ও এগিয়ে দি। সাহায্যকারী হিসেবে। একদিন ঠিক যেভাবে চিন্তা করেছি।