যারা প্রথমবারের মত ম্যাক কিনবেন, তাদের জন্য আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে ছোট্ট একটা গাইড। ম্যাক মিনি vs আইম্যাক vs ম্যাকবুক নিয়ে মূলত লেখাটি।
দাম দেখে শুরুতেই মনে হবে ম্যাক মিনি দামে কম, মানে ভালো। কিনে ফেলি। এটা সত্য যে ম্যাক মিনির রিসেন্ট রিলিজ যথেষ্ঠ কম দামে দারুণ ডিভাইস। তবে এখানে কিছু জিনিস কন্সিডার করতে পারেন। আপনার যদি আগেরই মনিটর, মাউস কিবোর্ড থাকে, তাহলে ম্যাক মিনি কিনতে পারেন। ভালো ডিল।
কিন্তু যদি মনিটর, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি না থাকে, শুরু থেকে কিনতে হয়, তাহলে আইম্যাক কন্সিডার করতে পারেন। আইম্যাক ডিসপ্লে কোয়ালিটির মনিটর কিনতেই আপনার ৫০ হাজারের বেশি টাকা খরচ হবে। অ্যাপল মাউস, কিবোর্ড কিনতে আরো ২০ হাজার। এছাড়া ওয়েব ক্যাম, সাউন্ড বক্স, মাইক ইত্যাদি আলাদা আলাদা কিনে ওয়ার্ক স্টেশন বানাতে গেলে দেখবেন আইম্যাকের দামই কম। সেই ক্ষেত্রে ম্যাক মিনি থেকে আইম্যাক সাশ্রয়ী। এমনকি দারুণ একটা ডিভাইস। যদিও যে কোন ম্যাক ডিভাইসেই আপনি সাধারণ মনিটর, কিবোর্ড, মাউস ব্যবহার করতে পারবেন।
আইম্যাক কাদের জন্য? বাসায় বা অফিসে নিজস্ব ডেস্কে যারা কাজ করেন, যাদের কাজ করতে বসলে মুভ কম করতে হয়, তাদের জন্য আইম্যাক বেস্ট।
যাদের বেশি ট্রাভেল করতে হয়, ফিক্সড ডেস্ক নেই, একেক সময় একেক যায়গায় কাজ করতে হয়, তাদের জন্য ম্যাকবুক। ম্যাকবুকের দুইটা ভ্যারিয়েন্ট। প্রো এবং এয়ার। প্রো এর দাম বেশি। এয়ারের দাম কম। এয়ার ছোট এবং হালকা। সহজে ক্যারি করতে চাইলে অবশ্যই এয়ার।
এয়ারের দাম কম অথবা সব কাজ করা যাবে কিনা এই চিন্তা করে আমরা অনেকেই প্রো কিনি। প্রো অনেক ক্ষেত্রেই ওভারকিল। এয়ার দিয়েই কোডিং, ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরণের কাজ করা যায়। আমি ডিজাইনার না। তাই ডিজাইনাররা এয়ারে কেমন সাপোর্ট পাচ্ছে, আমি বলতে পারি না। তবে এয়ার যথেষ্ট পাওয়ারফুল ডিভাইস।
ম্যাকবুক প্রো তখনি কিনবেন, যখন আপনি শিউর থাকবেন যে এয়ারে কাজ হবে না। আগেই কিনে রাখি, যদি লাগে, এমন চিন্তা করে বেশি টাকা দিয়ে আমার মতে প্রো কেনার দরকার নেই।
আমি একজন MacBook Air ইউজার এবং এই ব্যাপারে আপনার সাথে একমত। তবে Air হোক বা Pro হোক, কেনার সময় চাহিদা অনুযায়ী RAM এবং Storage হিসাব টা ঠিক করে নেয়া উচিত।
জ্বি।