কম্পিউটার বলতে আমরা সাধারণত ডেস্কটপ কম্পিউটারটিকেই বুঝি। কিন্তু আসলে আমাদের চারপাশের যত ইলেক্ট্রিক গ্যাজেট রয়েছে, সবই হচ্ছে কম্পিউটার। ল্যাপটপ, মোবাইল, স্মার্ট ঘড়ি, ক্যামেরা, ফ্রিজ, এসি, গাড়ি সব কিছুই বলা যায় কম্পিউটার। এ ছাড়া এখনকার কারখানা গুলোর সব জায়গাতেই কম্পিউটারাইজড টুলস দিয়ে সব কাজ হচ্ছে। রয়েছে বিশেষ ধরনের সব রোবট।
এই কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করি আমরা, হিউম্যান। আমরা কম্পিউটারকে কিছু করতে বলি যা কে বলা যায় ইন্টারেকশন। এই ইন্টারেকশনের অনেক গুলো মাধ্যম আছে। আমরা ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি কিবোর্ড এবং মাউস দিয়ে, আবার মোবাইল বা ট্যাব ব্যবহার করি টাচ করে বা ভয়েস কমান্ড দিয়ে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সুইচ বা বাটন এসব কিছুকেই বলা যায় ইন্টারফেস। আমরা এসব ইন্টারফেস ব্যবহার করি কোন একটা কাজ সম্পাদন করতে। কম্পিউটার দিয়ে ইফিশিয়েন্ট ভাবে কোন কাজ সম্পাদন করার জন্য কম্পিউটারকে ঐ ভাবে ডিজাইন করতে হয়। এটা নিয়ে বিশাল একটা শাখা রয়েছে, Human–computer interaction বা HCI।
অন্যান্য দেশে HCI নিয়ে পুরো মাস্টার্স ডিগ্রি বা PhD রয়েছে। আমাদের এখানে এসব নিয়ে পড়ার সুযোগ খুব একটা নেই। HCI এর ভ্যালু এবং প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশে এ রিলেটেড জব গুলো করার জন্য তখন বিদেশ থেকে কাউকে হায়ার করে নিয়ে আসতে হবে। এমন কি ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ইউজার ইন্টাফেস ডিজাইন ও এই HCI এর সাবফিল্ড।
পড়ার জন্য HCI দারুণ একটা সাবজেক্ট। এটির সাথে সাইকোলজির অনেক সম্পর্ক রয়েছে। এটা নিয়ে পড়তে গেলে হিউম্যান সাইকোলজি নিয়েও জানা যাবে। এ জন্যই মজার। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটু পিছিয়ে থাকলেও আমরা নিজেদের চেষ্টা এগিয়ে থাকতে পারি। ইন্টারনেটে দারুণ কিছু কোর্স রয়েছে HCI এর উপর। ইন্টারনেটে থাকা রিসোর্স গুলো কাজে লাগাতে পারি। নিজেকে তৈরি করতে পারি ভবিষ্যৎ এর জন্য 🙂
Many ,any thanks for the nice article.
বাংলা ভাষায় ইংরেজি গ্রামার শেখার একটি মজার ওয়েব সাইট