সবার আগে আপনার যা লাগবে তা হচ্ছে একটা গুগল একাউণ্ট। বা Gmail একাউণ্ট।
একাউন্ট থাকলে ভালো, না থাকলে একটা খুলে নিতে পারে।
এরপর https://play.google.com/apps/publish/ লিঙ্কে গিয়ে লগিন করুন। আগে গুগল একাউন্টে লগিন করা থাকলে আর লগিন করতে হবে না। সরাসরি নিচের মত পেইজে নিয়ে যাবেঃ
এখানে Agreement এ ক্লিক করে Continue to Payment এ ক্লিক করলে পরের পেইজে নিয়ে যাবে।
এরপর আপনি নিচের মত একটা পপ আপ পাবেন। Start Now তে ক্লিক করুন।
আরেকটা পেইজ খুলবে বা একই ট্যাবে নিচের মত একটা ফরম পাবেন। এখানেই আপনি কার্ড ইনফরমেশন গুলো যুক্ত করতে হবেঃ
আপনি গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে ২৫ ডলার পে করার জন্য বলবে। তার জন্য গুগল ওয়ালেটে একটা কার্ড যুক্ত করতে হবে।
যে কোন কার্ড হলেই হবে, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড, অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস ইত্যাদি। কারো যদি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড থাকে, তা দিয়েও কাজ হবে। নিজের কার্ড থাকতে হবে, এমন ও না। অন্য পরিচিত কারো কার্ড ও ব্যবহার করা যাবে।
বিদ্রঃ বাংলাদেশ থেকে ইস্যু কৃত হলে সাধারনত কার্ড দিয়ে ইন্টারনেটে পেমেন্ট অপশনটি বন্ধ থাকে। তা ব্যাংকে যোগাযোগ করে কয়েক দিনের জন্য ইন্টারনেটে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য ওপেন করা যায়।
কার্ড নাম্বার, কার্ডের মেয়াদ উত্তির্ণ তারিখ এবং ৩/৪ ডিজিটের কোড। এগুলো দেওয়ার পর Accept and Continue করলে আপনাকে গুগল প্লে ডেভেলপার কনসোলে নিয়ে যাবে। যেখানে আপনি অ্যাপ আপলোড করতে পারবেন। আপনার কার্ডে মিনিমাম ২৮ ডলার থাকতে হবে। গুগল ওয়ালেট একাউণ্ট খোলার সময় কার্ড ভেরিফিকেশনের জন্য ছোট ছোট দুইটা এমাউন্ট কেটে নেয় গুগল। পরে যে গুলো আবার আপনার কার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পেমেন্ট কনফারমেশন এর জন্য ২৪ ঘন্টা সময় নেয়। যদিও আপনি পেমেন্ট করার পর পরই গুগল প্লে স্টোর ডেভেলপার কনসোলে অ্যাপ আপলোড করা শুরু করতে পারবেন।
আপনার কোন কার্ড না থাকলে ফ্রিতে পেওনিয়ারের মাসটার কার্ড আনতে পারেন। এবং তা ফ্রি। এখানে ক্লিক করে একাউণ্ট করলে তারা আপনার একাউন্টে কার্ড পাঠিয়ে দিবে। পরে ঐ কার্ড ও আপনি প্লে স্টোরে একাউন্ট করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ডেভেলপার কনসোল দেখতে নিচের মত।
এখানে Add New Application এ ক্লিক করে নতুন অ্যাপ আপলোড করতে পারবেন। Add New Application এ ক্লিক করলে একটা পপ আপ ওপেন হবে। নিচের মতঃ
অ্যাপ এর Title / Name দিয়ে Upload APK তে ক্লিক করলে আপনার এক্সপোর্ট করা APK ফাইলটি আপলোড করতে পারবেন। বা Prepare Store Listing এ ক্লিক করে অ্যাপ এর বিভিন্ন তথ্য আগে সেভ করে রাখতে পারবে। সকল তথ্য ঠিক মত দেওয়া হলে ডান কোনায় লেখা উঠবে Ready To Publish , এখানে কিক্ল করলেই অ্যাপটি গুগল ভ্যারিফাই করে প্লে স্টোরে এপ্রুভ করে দিবে। সাধারনত ৪-৫ ঘন্টার মধ্যেই অ্যাপটি গুগল রিভিউ করে প্লে স্টোরে এপ্রুভ করে।
সবার জন্য শুভ কামনা 🙂
ভুল ধারনা গুলোঃ
প্লে স্টোরে অ্যাপ আপলোড করলেই টাকা জমা হতে শুরু হবে! না, এমন না। প্লে স্টোরে আপনি বাংলাদেশ থেকে শুধু মাত্র ফ্রি অ্যাপ আপলোড করতে পারবে। আর ফ্রি অ্যাপ থেকে কোন রেভিনিউ আসবে না। ফ্রি অ্যাপ বিভিন্ন ভাবে মানিটাইজ করা যায়। যেমন অ্যাড দিয়ে। আপনি অ্যাপে অ্যাড দিলে আপনার যে খান থেকে অ্যাড দিবেন, যেমন AdMob, InMobi, MobFox সহ আরো অনেক। ঐ একাউণ্টে আপনার রেভিনিউ জমা হবে। গুগলের ডেভেলপার একাউণ্টে না।
যে কার্ড দিয়ে আপনি একাউন্ট খুলবেন, ঐ একাউণ্টেও টাকা জমা হবে না। যদি অ্যাড দিয়ে থাকেন, ঐ একাউন্ট থেকে পরে টাকাটা ব্যাংকে বা অন্য যে কোন মাধ্যমে আনতে পারবেন।
কমন প্রশ্নঃ
বাংলাদেশ থেকে কি পেইড অ্যাপ সাবমিট করা যায়?
সংক্ষিপ্ত উত্তর না।
কিন্তু আপনি চাইলে বুদ্ধি খাটিয়ে সাবমিট করতে পারেন। তবে তার জন্য বিদেশে যে সব দেশ সাপোর্ট করে, সে সব দেশ থেকে আপনার ফ্রেন্ড বা ফ্যামিলির কারো হেল্প নিতে হবে। তাদের দিয়ে একাউন্ট খুলিয়ে নিয়ে তারপর আপনি বাংলাদেশ না, যে কোন দেশ থেকেই পেইড অ্যাপ সাবমিট করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে পেইড অ্যাপ সাবমিট করা যায় না, কারণ বাংলাদেশ থেকে গুগল মারচেন্ট একাউন্ট খোলা যায় না। মারচেন্ট একাউন্ট ছাড়া আপনার অ্যাপ বিক্রি করার পর টাকা জমার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই।
জাকির ভাই, একটা প্রশ্ন ছিল। এড এ ক্লিক না করলেত টাকা পাওয়া যাবে না তাই না ? নাকি এপ ডাউলোড এর উপরেও টাকা দেয় ?
জাকির ভাই, ইসলামি ব্যাংকের vise – debit card দিয়ে কি google কে $25 দাওয়া যাবে। Google এ apps upload এর জন্য রেজিষ্টার করার জন্য। নাকি অন্য দেশের visa card লাগবে।
Please, answer — টা দিয়েন।
জ্বি না। ইন্টারন্যাশলান যে কোন কার্ড দিয়ে খোলা যাবে। ইসলামি ব্যাঙ্কের কার্ড হচ্ছে লোকাল।
যে কোন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে খুলতে পারবেন। ডেভিড কার্ড গুলো সাধারনত লোকাল হয়।
ভাই আমি ১টা app বানাসি কিন্তু কিভাবে আপলোড দিবো আমার কোনো Card নাই,
আমার অ্যাপ টার লিংক!!
http://app.appsgeyser.com/4003920/Photo%20Editor
Nice Article
বিকাশের মাধ্যমে কি পেমেন্ট করা যাবে???
না
jakir vai, ami akta company er name select kore dile sei name ki pore change kora jabe.
ভাই ধন্যবাদ
Ame akta apps তৈরি করেছি আমার কোনো card নেয় এটি কেমনে play stora দিব plzzzzzz একটু বলবেন
আপনি https://www.facebook.com/groups/android.devs.bd এই গ্রুপে পোষ্ট করেন হেল্প পেলেও পেতে পারেন 🙂
দয়া করে উওরটা যে কেউ জানাবেন,,
অামি একটা অ্যপস নতুন করে তৈরী করে প্লে ষ্টোরে দিতে চাই,কিভাবে দিবো,অার কত টাকা খরচ হবে,,যদি কেউ জানাতেন
এবং কি ভাবে তৈরী করবো
Google Play Store এ এ্যাপ সাবমিট করতে হলে সে এ্যাপটাকে কি আলাদা করে কিছু করে নিতে হবে? Ionic3 তে দেখলাম সাবমিট/পাবলিশ করতে হলে কিছু অতিরিক্ত কাজ করে নিতে হয়। সেটা কি কাজ? ভাইয়া ফ্রি সময়ে উত্তর দিয়েন। 🙂
আমি কি মোবাইলে গুগল প্লে কনসোল একাউন্ট করতে পারব ?
মোবাইল এর মাধ্যমে কি মোটামুটি উন্নত মানের অ্যাপস তৈরী করা যায়
স্যার একবার পেমেন্ট করলে আমি কতটি এপস আপলোড করতে পারবো?নাকি কোনো লিমিটেশণ নাই?স্যার জানাবেন প্লীজ।
অসাধারণ লিখনী ।
এমন লিখা আরো চাই লেখকের কাছে বাংলা কোষের অনুরোধ ।
আমি ওমানে আছি এখানে থাকা অবস্থায় কি বাংলাদেশে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করতে পারবো?????
সত্যি খুব ভালো লিখেছেন । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
Vai phone diye Gogle consol account khulle digeble হবে কি
খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
nicely written… thank you.
অনেক দরকারি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
পোস্ট টি অনেক ভালো লাগলো