সেন্ট্রাল মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম কেন দরকার

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি। তবে কিছু ছোট খাটো স্টেপ যদি নেওয়া যায়, ইনশাহ আল্লাহ আস্তে আস্তে উন্নতি হবে। যারা অন্যায় করে, তাদের ধরা সহজ হবে।

আমার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন ক্ষ্যাপাচার্য Zakir Hossan ভাই। আমার মিতা। উনি নিজেও ব্যবসায়ী। এরপরও এমন পরামর্শ দিয়েছেন। আর তা হচ্ছে মোবাইল ফাইন্যান্স সহজ করা। মুদি দোকান থেকে শুরু করে মাছ বাজার, সবজি বাজার সব যায়গায় মোবাইল দিয়ে পেমেন্ট করার সিস্টেম চালু করা। এতে অন্যায়কারীদের ধরা সহজ হবে। অনেক গুলো দেশে এই সিস্টেম রয়েছে। বাংলাদেশেও যে নাই, তেমন না। তবে দেশে অনেক খরচ।

সবাই স্বীকার করবেন যে বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্স অনেক এক্সপেন্সিভ। অনেক ফি দিতে হয় ইউজারকে। আবার একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নাই। এই সেন্ট্রাল সিস্টেম না থাকায় মোবাইল ফাইন্যান্স বাংলাদেশে এখনো ঐভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। আমরা অনেক কিছুই পাশের দেশের উদাহরণ টানি। কিন্তু পাশের দেশের এই জিনিসটা এতই সহজ যে মানুষ ভিক্ষাও খোঁজে মোবাইল ফাইন্যান্স ব্যবহার করে।

দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সের সম্ভাবনার ১% ব্যবহার করছি কিনা, আমার সন্দেহ। অনেক অনেক সম্ভাবনাময় একটা খ্যাত। তবে সবার আগে যা করা দরকার, তা হচ্ছে সেন্ট্রাল সিস্টেমের উন্নয়ন। যেন যে কোন মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করেই যে কেউ যে কোন যায়গায় ব্যবহার করতে পারে। একই সাথে ক্যাশ গ্রহণ, পেমেন্ট এবং উত্তোলন যেনো সহজ হয়। আবার যদি সব যায়গায় সহজে পেমেন্ট করা যায়, তাহলে ক্যাশ উত্তোলনের প্রয়োজনই পড়বে না। ক্যাশলেস সোসাইটি সহজেই প্রয়োগ করা যাবে।

ডিজিটাল একাউন্ট ট্র্যাক করা সহজ। কোথায় থেকে ক্যাশ কোথায় যাচ্ছে, সে সব সহজে ট্র্যাক করা যাবে। এতে কেউ যদি অন্যায় করে, তা সহজেই বের করা যাবে। কেউ যদি অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করে, তাও বের করা যাবে। এরপর সিন্ডিকেন্ট বলতে কিছু থাকবে কিনা, আমার সন্দেহ।

পলিসি লেভেলে কত কিছু যে করার আছে।

সমস্যা কি জানেন? সমস্যা হচ্ছে যারা পলিসি মেকার, তারা শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থে পলিসি বানায়। জনগণের কথা কেউ চিন্তা করে না। সবাই নিজ নিজ যায়গায় থেকে দয়া করে কথা বলুন। আজ না হোক, ইনশাহ আল্লাহ এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

Leave a Reply