এরিস্টটল হচ্ছেন সবচেয়ে পুরাতন দার্শনিকদের মধ্যে একজন। উনার একটা উক্তি দারুণ লাগেঃ
“We are what we repeatedly do, excellence, then is not an act but a habit.”- Aristotle.
সফল মানুষ তখনই হতে পারে যখন মানুষের কোন বিষয়ের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকে। আর ঐ আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়াটা হচ্ছে সফলতা। সফল যদি হতে হয়, তাহলে সবার আগে যেটা দরকার তা হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছে বা স্বপ্ন।
ইচ্ছে করলাম, আর তা পূরণ হয়ে গেলো। আমিও সফল হয়ে গেলাম, এত সহজে সফল হওয়া যায় না। ইচ্ছে পূরণ করার জন্য চেষ্টা করতে হয়। আর চেষ্টা করার জন্য লাগে স্কিলসেট। স্কিল তৈরি করার জন্য দরকার জানা। পড়া লেখা করা। প্র্যাকটিকেল কাজ হলে গুরুর কাছে যাওয়া। গুরু যা করে, তা পরখ করা। এরপর এক সময় নিজে নিজে চেষ্টা করা। এক দিনেই কেউ কোন বিষয় স্কিলড হয়ে উঠে না। লেগে থাকতে হয়। ধৈর্য ধরে শিখতে হয়।
এভাবে স্কিল তৈরি হয়ে গেলে দরকার নিজ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য লেগে পড়া। নিজ ইচ্ছে পূরণ করার জন্য কাজ করতে গেলে হয়তো প্রথম বারই হয়ে যাবে। ভাগ্যবান বলা যায়। বলা যায় সফল। কিন্তু প্রায় সময় তেমন হবে না। বার বার করতে হবে। ভুল হবে, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। শিক্ষা নিয়ে আবার শুরু থেকে করতে হবে। আর এখানেই বার বার চেষ্টা করে যেতে হবে। স্বভাবে পরিণত করতে হবে। আর তাহলেই দারুণ কিছু হবে।
আমাদের এক জনের এক এক ধরণের আকাঙ্ক্ষা। আবার অনেকেই জানি না আমরা কি চাই। আর যেহেতু জানা নেই কি চাই, তাই কোন কিছু চেষ্টাও করা হয় না। রুটিন হয়ে যায় খাওয়া দাওয়া, এদিক সেদিক আড্ডা দেওয়া এরপর ঘুম। কি করতে চাই, বা লক্ষ্যটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো একটা লক্ষ্য পেলে তা নিয়ে লেগে থাকা যায়। কিন্তু ভালো লক্ষ্য না হলে সব কিছুই বোরিং হয়ে উঠবে। জীবনটাই কেমন পানসে লাগবে। সুন্দর লক্ষ্য এর জন্যও দরকার একটু চোখ কান খোলা রাখা। চার দিকে কি হচ্ছে তা সম্পর্কে জানা। যত বেশি এক্সপ্লোর করা যাবে, তত ভালো হবে। তত সুন্দর একটি লক্ষ্য পাওয়া যাবে। এভাবে জানতে জানতেই এক সময় নিজের লক্ষ্য স্থির হয়ে যাবে। আর তখন লক্ষ্য পূরণের জন্য লেগে পড়া যাবে।
যাই করি না কেন, তা যেন নিয়মিত করি। নিয়মিত একই জিনিস একটু একটু করে করলে সপ্তাহ শেষে দেখা যাবে অনেক উন্নতি হয়েছে। মাস শেষে নিজের উন্নতি দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবে।
নিজের অবস্থান থেকে ভালো মানুষের সাথে মিশলে নিজের মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি হয়। ঐ আগ্রহটা অনেক দরকারি। সুযোগ পেলে নিজের অবস্থান থেকে বা নিজের আইডল মানুষ গুলোর সাথে মিশতে পারলে দারুণ হবে। আর যা বেশি দরকার, তা হচ্ছে জানা। নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে। যত বেশি বিষয় জানা থাকবে, তত সুন্দর আইডিয়া তৈরি হবে মাথা থেকে। আর একটা আইডিয়া সব কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে 🙂