হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব বই আমার পড়া শেষ। অনেক আগেই। যখন বই পড়া শিখেছি, তখন। বই গুলো অনেক ছোট ছোট। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়া হয়ে যায়। একবার পড়তে বসলে বইটা শেষ করেই উঠা হত।
ময়ূরাক্ষী হুমায়ূন আহমেদের লেখা হিমু সিরিজের প্রথম বই। প্রকাশ হয়েছিল ১৯৯০ সালে। আজ সকালে জীমে গিয়েছিলাম। এরপর জীম থেকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে যাই। কিছু একটা পড়তে ইচ্ছে করছিল। কয়েকটা বই ঘাটা ঘাটি করে রেখে দিয়েছি। পড়ার জন্য নিয়েছি বইটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়া শেষ।
ময়ূরাক্ষী একটি কাল্পনিক নাম। ক্লাস সিক্সে থাকতে হিমুর মফিজ স্যার ক্লাসে ঢুকেই তাকে একটি নদীর নাম বলতে বলল। যে বলল আড়িয়াল খাঁ। মহিজ স্যার দিল এক চড়। এরপর বলল কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক। পড়ানোর শেষে যখন দেখল হিমু তখনো কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে, তখন তার মায়া হলো। বলল কাছে আয়। কাছে যাওয়া পর বল তোকে শাস্তি দেওয়া অন্যায় হয়েছে। তোকে নদীর নাম বলতে বলেছি, তুই বলেছিস। আয়, আরো কাছে আয়, তোকে আদর করে দেই। এরপর বলল এবার একটা সুন্দর দেখে নদীর নাম বল। হিমু বলল ময়ূরাক্ষী।
স্যার বলল ময়ূরাক্ষী? এই নাম তো শুনিনি। কোথায়কার নদী?
হিমু বলল জানি না স্যার।
এই কাল্পনিক নদীটা অনেক সুন্দর। তার পানি কাঁচের মত স্বচ্ছ। নদীর দুইধারে অনেক সবুজ দুর্বাঘাস… যদিও বাকি গল্পটা অন্যরকম। হিমু সিরিজের অন্যান্য বইগুলোর মতই। হিমু হতে ইচ্ছে করবে। রূপার মত কারো প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করবে। এই তো।
দুই ধারে রুপাকে নিয়ে ঘুরতে ইচ্ছে করে, আর মাঝে মাঝে ময়ূরাক্ষী এর ভিতর হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
হিমুকে নিয়ে লেখা সব গুলো বই পরেছি।