মৃত্যু

কারো কোন ক্ষতি না করলে মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার কিছু কি আছে? সবাইকেই মারা যেতে হবে। জন্ম নেওয়ার পর পরই আমাদের প্রথম অধিকার হচ্ছে মারা যাওয়া। আমরা যাই করি না কেন, সব ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।

যেহেতু সব ছেড়ে চলে যেতে হবে, সেহেতু যা ভালো লাগে তা আমরা করতেই পারি। আর নিজ ভালো লাগার ক্ষেত্রে আরেকটা চিন্তা মাথায় রাখলেই সব কিছু সিম্পল হয়ে যায়। আমার ভালোর জন্য আমি কি অন্যের ক্ষতি করি? আমি কাউকে কষ্ট দি বা আমার দ্বারা কেউ কষ্ট পায়?

পৃথিবীটা যথেষ্ট ব্যালেন্সড। আমি কারো অপকার করলে অন্য কেউ আমার অপকার করবে। টের ও পাবো না। কারো উপকার করলে অন্য কেউ না কেউ নিজ বিপদে এগিয়ে আসবে। যার উপকার করছি, সে হয়তো নিজের কাজে কোন দিনও আসবে না। কিন্তু অন্য দশজন এগিয়ে আসবে নিজ বিপদে।

মারা যাওয়াকে একটুও ভয় পাই না। দুইটা জিনিসকে যথেষ্ট ভয় পাই, কারো ঋণ নিয়ে যেন না যাই। আরেকটা জিনসকে ভয় পাই, তা হচ্ছে বুড়ো হয়ে যাওয়া। শক্ত অবস্থায়ই যদি পৃথিবী ত্যাগ করতে পারি, কি ভালোই না হবে। আমি কারো বোঝা হয়ে থাকব না, কাউকে কষ্ট দিব না।

আমরা যারা মুসলিম, তাদের অন্য সব কাজ থেকে গুরুত্ত্বপূর্ণ হচ্ছে নামাজ। সব কিছুর উর্ধে। আমাদের যাদের পর্যাপ্ত শক্তি আছে, তারা এটাকে এড়িয়ে চলি। কিন্তু বুড়ো হয়ে গেলে নামাজ আদায় করে সবাই। তখন ঠিক মত নামাজের জন্য দাঁড়াতেই পারে না। আহ! মসজিদে আগে কোন চেয়ার দেখতাম না, মানে যারা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারে না, তারা চেয়ারে বসে পড়ে। এখন প্রতিটা মসজিদের কিছু অংশ চেয়ার দিয়ে পূর্ণ। অথচ অল্প বয়সের ইবাদত নাকি সবচেয়ে বেশি কবুল হয়।

ধর্ম যার যার ইচ্ছে। ধর্মের আগে আরেকটা গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। তা হচ্ছে বিবেক। নিজের বুদ্ধি। ভালো খারাপের মধ্যে পার্থক্য করার বুদ্ধি। ধর্মের আগেও এ জিনিসটা দরকার। অথচ আমরা ধর্ম নিয়েই একজন আরেকজনের সাথে জগড়া করে বেড়াই, সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটাকে বাদ দিয়ে। “আমার দ্বারা যেন কারো কোন ক্ষতি না হয়” শুধু এটুকু মেনে চললেই কত কিছুর সমাধানই না হয়ে যায়। এ জিনিস গুলো ধর্ম দেখিয়ে দিতে পারে। মানতে হয় নিজেকেই 🙂

Leave a Reply