একজন লোক একটা ভুল কাজ করেছে, পাশাপাশী একশটা ভালো কাজ করেছে। তো আমরা তাকে বিচার করি ঐ ভুল কাজটা দিয়ে।
সাধারণত ইসলামি দল গুলো একে অপরকে ঘৃণা করে। ব্যাক্তির ভুল দিয়ে দলকে বিচার করে ফেলে। মানুষ মাত্রেই ভুল করতে পারে, ভুল বলতে পারে। দিন শেষে তো সে মুসলিম, নাকি? একটা খারাপের পাশা পাশী অনেক ভাল কাজ করে, সেগুলো কি একটা খারাপ কাজের জন্য নষ্ট হয়ে যায়? মানে আমরাই বিচার করে ফেলি? আখেরাতের অপেক্ষা করি না?
আমাদের দরকার হচ্ছে ভালকে ভালো বলা। খারাপ কে খারাপ বলা। একজন একটা দুইটা খারাপ করলেই সে পুরাপুরি খারাপ হয়ে যায় না।
দেখেন, আমাদের রুট একটা। সবাই মুসলিম। কোন একজন একটা খারাপ কাজ করলেও সে আমাদের ভাই ই থাকে। দল থেকে ইসলাম বড়, তাই না? আর আমরা জানি এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। তাহলে অন্তরে এত ঘৃণা কেনরে ভাই?
এই দেখেন, আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান মিসিং। উনি আপনাদের দল বা মতের সাথে মিলে না, তাই উনি মিসিং হয়ে গেলেও আপনাদের কোন কিছু যায় আসে না। ইসলাম থেকে নিজের নফস বড় হয়ে গেলো না? চিন্তা করা উচিত ছিল না যে উনার সব গুলো মতের সাথে আমাদের মিল নেই, দিন শেষে তো উনি ইসলামেরই দাওয়াত দেন, আমাদের ভাই। তাই না?
ইউনিটি খুব গুরুত্বপূর্ণরে ভাই। খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কোন বেদআত পালন করে, কেউ কোন একটা ফরজ পালন করে না, কেউ আমার আপনার মতের সাথে মিল নেই। কিন্তু তার আরো অনেক অনেক গুলো ভাল কাজ আছে। সেগুলোতো এই জন্য বাদ হয়ে যায় না। হয়তো আমি সিমপ্লিপাই করে ফেলছি। সিম্পল ভাবেই তো ভাবা উচিত, নাকি? এক ভাই ভুল করলে তাকে শুধরিয়ে দেওয়া উচিত, নাকি? নাকি তাকে ঘর থেকে বের করে দেই? বুকে টেনে নেই না?
জামাতে প্রতিদিন নামাজ পড়ি, কিন্তু এই জামাতে নামাজ পড়ার হেকমতটা বুঝি না ইউনিটিটা বুঝি না। সব কিছু নিয়ে আরো গভীর ভাবে ভাবার সময় হয় নি? নফসের উপর ইসলামের স্থান দিন। অন্তত চেষ্টা করুন। যারাই ইসলাম নিয়ে কাজ করে, ইসলাম প্রচার করার চেষ্টা করে, তাদের ভুল গুলো শুধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। পাশা পাশী ভালো গুলো প্রচার করুন। একজন আরেকজনের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। তা না হলে জামাতের মর্মটাই বুঝলেন না। ইসলামের ভাতৃত্ববোধটাই বুঝলেন না। যা বুঝেছেন, তা হচ্ছে স্বার্থপরতা। যা চিনেছেন, তা হচ্ছে দল। দল থেকে ইসলাম অনেক অনেক বড়। দলটার অন্ধ ভক্ত হলে হয়তো জাহান্নামেও নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ইসলামের কথা ভাবলে নিশ্চিত জান্নাতের দিকেই নিয়ে যাবে। 🙂
Kota tik