১২ বছর বয়সে আমরা কি করি? যারা গ্রামে থাকি, তারা ফুটবল বা ক্রিকেট খেলি। যারা শহরে থাকি, তারা মাঠের অভাবে বাসায় বসে গেম খালি বা কার্টুন দেখি। আমরা ঐ বয়সে ভালো কিছু করি না। আর তাই ঐ বয়সে যে ভালো কিছু করা যায় তা চিন্তাও করতে পারি না। কম বয়সে কেউ ভালো কিছু করলে আমাদের কাছে রূপকথার মত শুনায়।
আমরা কম বয়সে কিছু করতে গেলে সব সময়ই শুনতে হয়, তুই এখনো ছোট। এখনো তোর বয়স হয় নি। উৎসাহ এর পরিবর্তে অনুৎসাহিত করা হয়।
থমাস সুরেজ (Thomas Suarez) ১২ বছর বয়সে অ্যাপ ডেভেলপ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ঐটা ২০১২ সালের গল্প। Ted Talk ও দিয়েছে একটা।
ইন্ডিয়াতে ১২ এবং ১৪ বছরের দুই ভাই মিলে তৈরি করেছিল Godimensions নামক প্রতিষ্ঠান। বয়স কম বলে তারা বসে থাকে নি। Godimensions প্রতিষ্ঠান দিয়ে ঐ দুই ভাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে।
Tanmay Bakshi নামক একটা ছেলে, মাত্র ১২ বছর বয়স। সে এখনি কাজ করছে IBM Watson API নিয়ে। IBM Watson হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্লাটফরম। আমাদের অনেকে কম্পিউটার সাইন্সে পড়েও এসব নিয়ে কাজ করে না। তারা সহজ কিছু খুঁজে বেড়ায়। এরা ছোট থেকেই খুঁজেছে দারুণ কিছু। সহজ না কঠিন, তার চিন্তা করে নি। ইউটিউবে রয়েছে Tanmay Bakshi এর অনেক গুলো ভিডিও। প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম, AI এসব নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরি করে শিখাচ্ছে সবাইকে।
এমন অনেক উদারহরণ রয়েছে। এরা সবাই ছোট বেলা থেকেই কম্পিউটার, প্রোগ্রামিং এসব নিয়ে ছিল। আর তাই তারা এসবে ভালো করেছে। যে কেউ এখন যে কোন বিষয়তে ভালো হতে পারে। এ জন্য বয়স এখন আর কোন বাঁধা নয়। শেখা এবং আগ্রহই হচ্ছে আসল। কেউ যদি ভালো কিছু করে, তা তার বয়সের জন্য নয়, তার চেষ্টা এবং আগ্রহ এর জন্য করতে পারে। এখনকার জব গুলোতে সার্টিফিকেট খুব কমই দেখা হয়। দেখা হয় স্কিল, এক্সপেরিয়েন্স। এসব বয়স দিয়ে হয় না। হয় পরিশ্রম দিয়ে। চেষ্টা দিয়ে। আগ্রহ দিয়ে।
Jakir Hossain ভাই,
পষ্টটি পড়ে খুবি ভাল লাগলো…।।
ধন্যবাদ।
অসাধারণ লেখা
motivational speech…
khub valo laglo