বাস্তুসংস্থান

কারো ভুল খুঁজতে চাইলে তার সঠিক কাজটাও ভুল মনে হবে। কারো মধ্যে ভালো কিছু খুঁজতে চাইলে ভুলটাও তখন শুদ্ধ মনে হবে। কাউকে ক্ষমা করে দেওয়ার ইচ্চে থাকলে খুনিকেও ক্ষমা করে দেওয়া যায়। আর কাউকে শাস্তি দিতে চাইলে শুধু মাত্র একটা কথা দিয়েও শাস্তি দেওয়া যায়। এসবকে সম্ভবত আমরা খারাপ সময় বা ভালো সময় বলি। অথবা বলি ভাগ্য।

আমরা সবাই একটা সাইকেলের মধ্যে রয়েছি। আমরা কারো উপর খেয়ালি আচরণ করলে আমাদের উপর খেয়ালি আচরণ করার জন্য অন্য কেউ বসে আছে। এই সাইকেলকে আমরা বলি বাস্তুসংস্থান। বাস্তুসংস্থান যখন পড়েছি, তখন খুব ভালো লেগেছে। ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।

Final Destination মুভি সিরিজটা কেন জানি মনের মধ্যে গেথে আছে। প্রতিটা পদে পদেই এমন কিছু হতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। কোন দিন পারবোও না। বার বার মনে হবে এই পরিবেশটা আমাদের অনেক করুণা করার কারণেই আমরা বেঁচে রয়েছি। আমরা মানুষ গুলো কত ভালনারেবল। প্রতিটা নিশ্বাস নেওয়ার সময়ই তো মরে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫০%, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০%।

টাকা পয়সা, পজিসন সব কিছুই আমার কাছে মরিচিকার মত বিভ্রম মনে হয়। সত্যিকারের কোন কিছু খুঁজে ফিরছি। সমস্যা হচ্ছে সব কিছুই আপেক্ষিক। আমরা সব কিছুর তুলনা করি কোন না কোন কিছু সাপেক্ষ্যে। যার সাথে কোন কিছুর তুলনা করব, তাকেও কোন কিছু দিয়ে তুলনা করা যাবে।
পদার্থ বিজ্ঞান পড়তে গিয়ে এই বাক্যটা খুব মনে ধরেছেঃ “এ মহাবিশ্বের সকল স্থিতিই আপেক্ষিক- সকল গতিই আপেক্ষিক। কোন গতিই পরম নয়, পরম নয় কোন স্থিতিই।” এটা পদার্থ বিজ্ঞান নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই সত্য। মহাবিশ্বের সব ক্ষেত্রেই সত্য।

কারো ক্ষতি করলে যে সেই আপনার ক্ষতি করবে এমন না। পরিবেশ সব কিছু মনে রাখে। সময় নামক অতল গহ্বরে আমরা সবাই হারিয়ে যাবো। কেউ আগে কেউ পরে। সময়টাও খুব সল্প। এই সময়টা আমরা একে অপেরের সাথে মিল মিশ করে কত সহজেই কাটিয়ে দিতে পারি। কারো সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। কারো সাহায্য করলে যে সেই আপনাকে আবার সাহায্য করবে এমন না, অন্য কেউ কোন না কোন ভাবে আপনার কাজে আসবে যা আপনি কোন দিন চিন্তাও করতে পারবেন না। পরিবেশ সব মনে রাখে। সব।

Leave a Reply