প্রোগ্রামিং কতটা পাওয়ারফুল তা আমাদের কল্পনার ও বাহিরে। যে প্রোগ্রামিং জানবে, সে নতুন একটা পৃথিবী তৈরি করে ফেলতে পারবে। তৈরি করা যাবে নতুন একটা ভার্চুয়াল মহাবিশ্ব।
প্রোগ্রামিং করে নিজের একটা ভার্চুয়াল অনুলিপি তৈরি করে ফেলা যাবে। Trancedence মুভি টা দেখেছেন? না দেখে থাকলে বলব দেখে নিতে একটি বার। ঐ মুভিটার মত নিজের একটা অনুলিপি তৈরি করা সম্ভব। ভার্চুয়াল ভাবেই নিজের জ্ঞান অর্জন বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। নতুন অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অসাধারণ কিছু করে ফেলা সম্ভব। অসম্ভব কিছু না এই প্রোগ্রামিং এর দুনিয়াতে…
কি করা সম্ভব তার একটা দিকই বললাম। আরো হাজারটি দিক রয়েছে। কি কি ইতিমধ্যে সম্ভব হয়েছে, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। তারপর ও আমি কিছু বলার চেষ্টা করি।
এই ফেসবুকে বসে পড়ি, এটা প্রোগ্রামিং দিয়েই তৈরি। এক একটা স্ট্যাটাস, ছবি ইত্যাদি আমাদের দেখানোর পেছনে অনেক গুলো কোড কাজ করছে। আমরা কোন ছবির উপর কতক্ষণ মাউস / আঙ্গুল রেখেছি, তা ট্র্যাক করা হচ্ছে। আর তা ট্র্যাক করে আমাদের সম্পর্কে জেনে নিচ্ছে ফেসবুক। আর আমাদের সম্পর্কে জেনে নিয়ে আমাদের কিসে কিসে আগ্রহ, সে সব রিলেটেড এড দেখাছে ডান কোনায়। মোবাইলের নিউজ ফিডে। …
এক একটা মহামারি ভাইরাস আসলে আমাদের সবার ঘুম হারাম করে দেয়। কখন যে আমি আক্রান্ত হই। বিজ্ঞানীরা তখন ব্যস্ত থাকে ঐ ভাইরাস সম্পর্কে জানতে। ঐ ভাইরাসের জিন সিকোয়েন্স বের করে। তৈরি করে প্রতিষেধক। টিকা… এই প্রসেস গুলো আগে অনেক কঠিন ছিল, সময় অনেক বেশি লাগতো। কয়েক যুগ ও লেগে যেতো। কম্পিউটার আর প্রোগ্রামিং এর কল্যাণে অনেক সহজেই অনেক কম সময়ের মধ্যে একটা ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়, তৈরি করা যায় প্রতিষেধক। আগের তুলনায় মহামারী ভাইরাসে তাই আস্তে আস্তে মৃত্যু হার কমে এসেছে…
প্রোগ্রামিং মানুষের চিন্তা শক্তি বাড়িয়ে দেয়। চিন্তা করা মানে হচ্ছে নতুন কিছু করা। আমাদের পাওয়ারফুল যে একটা মস্তিষ্ক রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার করা। যারা প্রোগ্রামিং জানে, আর যারা প্রোগ্রামিং জানে না তাদের চিন্তা করার পদ্ধতি ভিন্ন। প্রোগ্রামিং আমরা কিভাবে চিন্তা করি, তাই পরিবর্তন করে দেয়।
সবাই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে একটু আধটু টেনশনে থাকে। প্রোগ্রামিং জানলে ক্যারিয়ার সম্পর্কে আর চিন্তা করতে হয় না। এমনকি সাধারণ অন্যান্য চাকরি করার জন্য দরকার সার্টিফিকেট। আর প্রোগ্রামিং জানাটাই হচ্ছে একটি সার্টিফিকেট। লাইভ সার্টিফিকেট। হাজার হাজার জব পড়ে আছে যে প্রোগ্রামিং জানে, তার জন্য।
হ্যাপি আর রুবেলের ঘটনা থেকে একটা উদাহরণ টেনে শেষ করি… হ্যাপির স্যাম্পল নিয়ে তো ম্যানুয়ালি দেখা সম্ভব না কে জড়িত, কে না। সবাই জানি টেস্টিং করা হয় কম্পিউটারের সাহায্যে… আর কম্পিউটার ইটের মতই একটাই জড় বস্তু যদি না কোন সফটওয়ার না থাকে। সফটওয়ার গুলো তৈরি হয় প্রোগ্রামিং করে। আর হ্যাপির ঘটনায় কে জড়িত, কয় জন জড়িত, এসবই বের করা সম্ভব হয়েছ এ প্রোগ্রামিং এর কল্যাণেই।
নতুন কিছু জানার মধ্যে আনন্দ রয়েছে। প্রোগ্রামিং কি, কিভাবে, কেন এসব এক্সপ্লোর করে দেখুন, ভালো লাগবে। আপনি কোন বিষয় নিয়ে পড়েন, আপনার বয়স কত এসব কোন ব্যপার না। একটু খানি উৎসাহ বা আগ্রহ থাকলেই শেখা শুরু করতে পারেন। দরকার শুধু একটি কম্পিউটার। সবাইকে স্বাগতম প্রোগ্রামিং এর সুন্দর জগতে
আমি কম্পিউটার বানাতে চাই।বলা যায় যন্ত্র নিয়ে কাজ করতে চাই।নতুন নতুন যন্ত্র তৈরি করতে চাই। যেমনটা স্টিভ জবস আর স্টিভ ওয়াজনিয়াক করতেন। আমি আর্টসের স্টুডেন্ট। তবু্ও যন্ত্র নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। এখন আমার কি করা উচিৎ? কিভাবে শুরু করা উচিৎ? উপরের লেখা গুলা পড়ে খুব ভালো লাগসে। আমার প্রশ্নটার জবাব দিলে খুব ভালো হয়। ধন্যবাদ..
প্রোগ্রামিং দিয়ে সফটওয়ার তৈরি করা যায়। কোন যন্ত্র তৈরি করতে হলে হার্ডওয়ার কিভাবে কাজ করে, সে ধারণা লাগে। ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেকট্রিক এসব বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হয়। বেশি আগ্রহী হলে রাস্পবেরি পাই দিয়ে শুরু করতে পারেন। এরপর আস্তে আস্তে অনেক কিছু শিখে নিতে পারবেন। https://bit.ly/2Kj8lMw
আগ্রহী খুব।কেমন যেন একটা টান কাজ করছে। কিন্ত কোথায় থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। নতুনদের জন্য কিছু ট্রিপ্স প্লিজ।
স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কি প্রোগ্রামিং শেখা সম্ভব যান্তে চাই
প্রগ্রামিং লেঙ্গুয়াজ ভাষাটা কিভাবে বুজবো