প্রণোদনা এবং দুর্নীতি

বৈষম্যহীন উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার ‘নতুন করে যাত্রা’ শীর্ষক একটা গোল টেবিল বৈঠক হয়েছে আজ। সেখানে ছিলাম।

এত সব দারুণ দারুণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা দেশের ছোট খাটো একটা বিষয়ের পেছনেও কত কিছু জড়িত, তার গভীরতা কিছুটা উপলব্ধি করলাম। ঐখানে অনেক সিনিয়র এবং সফল মানুষ ছিলেন। সেই তুলনায় আমি নগণ্য। তবে আমি যে বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, তা নিয়ে একটু আওয়াজ উঠানো উচিৎ মনে করছি।

‘ আমি বলেছি ইনসেন্টিভ কালচার থেকে যেন বের হয়ে আসে। এই ইনসেন্টিভের পেছনেই অনেক দুর্নীতি লুকিয়ে থাকে। যে অলরেডি ভালো ইনকাম করে, তার ইনসেন্টিভের দরকার কি? যার ব্যবসা ভালো হচ্ছে, তার ইনসেন্টিভের দরকার কি? ইন্সেটিভের পেছনে দেশের প্রচুর রাজস্ব ব্যয় হয়। আমার আপনার টাকা। যা ভোগ করে গুটি কয়েকজন মানুষ’

ফ্রিল্যান্সারদের ইনসেন্টিভ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পায়নি। না পাওয়া যত সমস্যা, তার থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে এই ইনসেটিভের টাকা অন্য একটা পক্ষ মেরে দেওয়া। এর থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে একটা পক্ষের ব্ল্যাক মানি হোয়াইট করে দেওয়ার মাধ্যম তৈরি করে দেওয়া। দেখেন কয় ভাবে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষঃ

– প্রথমে দুর্নীতি করে টাকা উপার্যন। যার মাধ্যমে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সার্ভিস পায়নি।

– বিদেশে টাকা পাচার করবে। দেশ গুরুত্বপূর্ণ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত।

– বিদেশে পাচারকৃত টাকা আবার দেশে ফিরিয়ে আনার সময় ইনসেন্টিভ নেওয়া। এখানে আবার দেশের রাজস্ব থেকে টাকা মারা।

বুঝাতে পেরেছি এই ইনসেন্টিভ কতভাবে দেশের ক্ষতি করে? দেশের মানুষের ক্ষতি করে? শুধু মাত্র অল্প কয়েকজনের সুবিধার জন্যই ইনসেন্টিভ। দয়া করে ইনসেটিভ কালচার থেকে বের হয়ে আসুন।

আবার কেউ যদি শুধু টাকা পাচার করে আবার দেশে টাকা ঢুকায়, এই সিস্টেমে সেও হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে বা পেরেছে। কে জানে।

Leave a Reply