একটা বেলুন ছোট্ট একটা বাচ্চার হাত থেকে উড়ে চলে গেছে। বেলুন ও স্বাধীনতা চায় হয়তো। তাই সব সময়ই উড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বেচারা যেতে পারে নি। একটি গাছের সাথে সুতাটি আটকে গেছে। এখন বাতাসে বেলুনটি একবার এদিকে যায়, আবার ঐ দিকে যায়, গিয়ে দোল খায়।
আচ্ছা, পৃথিবীটা কেমন না? কেমন না হলে এমন হবে কেন? আচ্ছা, কেমন, তাই তো বলি নি।
মিরুকে প্রায় সময়ই রুবি মেসেজ দেয়। দেওয়ার সময় ভাবে, রিপ্লাই দিবে তো? কি উত্তর দিবে? অনেক চিন্তা ভাবনা করে… কারণ? কারণ মিরুকে রুবির ভালো লাগে। ভালো লাগতে কোন কারণ থাকে না। এমনিতেই ভালো লেগে যায়। কিন্তু মিরু উত্তর দেয় না। মাঝে মধ্যে হু হ্যাঁ একটা করে। মাঝে মধ্যে ইগনোর করে।। মাঝে মধ্যে ব্যস্ত বলে… আহ ব্যস্ততা…
আর মিরু? মিরু কথা বলতে চায় রিমির সাথে। রুবি যেমন মিরুকে মেসেজ দেওয়ার সময় অনেক ভাবে, মিরুও তেমনি ভাবে রিমিকে মেসেজ দেওয়ার ক্ষেত্রে… রিমিতো প্রতিদিনই কত গুলো মেসেজ পায়। সেখানে মিরুকে আলাদা করে দেখার মত তার সময় কই। সে ও ব্যস্ত। অন্য কারো জন্য। অন্য কাউকে সময় দেওয়ার জন্য…
সত্যিকারে কাউকে পছন্দ করলে কথা বলার সময় মানুষ গুলো কেমন নরম হয়ে যায়। কত সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করে। আর যার জন্য এত কিছু, সে হয়তো বুঝতেও পারে না। কারণ সে অন্য কারো কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে ব্যস্ত… অদ্ভুত। মিরু অদ্ভুত। রুবি অদ্ভুত। রিমি অদ্ভুত… একজন আরেক জনের জগতে প্রবেশ করার জন্য কত চেষ্টাই না করে। নিজের জগতটাকে বন্ধ করে। অথচ ঐখানে প্রবেশের জন্য অন্য কেউ যে চেষ্টা করতেছে, তা বুঝা যায় না… তা বুঝে না…
বেলুনটি বাচ্চার হাতে থাকলে বাচ্চাটি কত খুশি থাকতো। আর বেলুনটিও তো সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখতে পারত… বেলুন গুলোও অদ্ভুত।