‘পাপকে নয়, পাপীকে ঘৃণা করুন’। আবার পড়েন। জ্বী, ঠিকই পড়ছেন। আমরা তাই করি। পাপ থেকে পাপীকে ঘৃণা বেশি করি। অথচ দরকার ছিল পাপ থেকে যত পারা যায়, দূরে থাকা। পাপীকে সুযোগ দেওয়া।
পাপীকে আল্লাহ তায়লাও সুযোগ দিয়েছেন। বলছেন উনার কাছে ক্ষমা চাইলে উনি ক্ষমা করে দিবেন। একটা সুন্দর হাদিস আছে এমনঃ , “কোনো ব্যক্তি মরুভূমিতে তার পানীয় ও খাদ্য বহনকারী উটকে হারিয়ে ফেলার পর আবার তা ফিরে পেলে যতটা খুশি হয় আল্লাহ তার চেয়ে বেশি খুশি হন যখন কোনো বান্দা তওবা করে তাঁর নিকট ফিরে আসে।”
দেখেন, আল্লাহ তায়লার দিকে কেউ ফিরে আসলে কেমন খুশি হয় উনি। আর আমরা? কাউকে সুযোগ দেই? দেই না। উল্টো দূরে ঠেলে দেই।
আমরা কারো প্রতি রহম করলে আল্লাহ তায়লাও আমাদের প্রতি রহম করবেন। কাউকে ক্ষমা করলে আল্লাহর ক্ষমা আশা করতে পারি। কিন্তু কাউকে ক্ষমা না করতে পারলে আল্লাহর ক্ষমা কিভাবে আশা করি?
দেখেন, আমরা কিন্তু ১০০% পারফেক্ট না। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পাপ করে ফেলি। নিজের অজান্তেই। দৃশ্যত কেউ হয়তো পাপ করছে, আমার চোখে সে পাপী। আল্লাহর চোখে? আমার যে পাপ গুলো, সেগুলো হয়তো দেখা যায় না। আল্লাহ তো দেখছেন। হয়তো দেখা গেলো তার পাপ আল্লাহর চোখে খুব একটা বড় না। আমার পাপ মানুষের চোখে অদৃশ্য হলেও আল্লাহর চোখে অনেক বিরাট পাপ। কে লুজার? আমি!
ফেসবুকে হয়তো দুই একটা ইসলামি লেখা শেয়ার দেই। এতে মনে করার কারণ নেই যে আমি খুব ধার্মিক। ধার্মিক মানুষ আসলে ফেসবুকেই থাকার কথা না। এই ফেসবুকে ধার্মিকতা প্রকাশ দিয়েই আমরা অন্য মানুষকে বিচার করে ফেলি। কত ভয়াবহ গুনাহ করে ফেলি। বিচার করবে আল্লাহ তায়লা। আমি কে? ইয়া নাফছি, ইয়া নাফছি! অন্যকে বিচার করার আগে এটাই মনে আসা উচিত। হাশরের ময়দানে এই বাক্যটাই বার বার বলতে থাকব। হে আল্লাহ আমাকে বাঁচাও, হে আল্লাহ আমাকে বাঁচাও বলতে থাকব। এই পৃথিবীতে অন্যকে বিচার করতে থাকলে মনে হয় না ঐ দিন বাঁচতে পারব। আল্লাহ ক্ষমা করুক।