ছেলেটির একটা নাম দেওয়া দরকার। ধরি রিয়াদ। মেয়েটির নাম ধরে নিচ্ছি মীম। ধরে নিলেও অংক করতে বসি নি। আবার অংক ও বলা যায়। জীবনের অংক।
দুই জনের পছন্দের ক্ষেত্র একই হওয়ার কারণেই পরিচয়। উপরি হিসেবে ছেলেটির DSLR রয়েছে। মেয়েরা ছবি তুলতে একটু পছন্দ করতেই পারে। বেশি পছন্দ করলেও দোষের কিছু নেই। রিয়াদ অনেক গুলো ছবি তুলে দিয়েছে। এভাবে ফেসবুকে ফ্রেন্ড হওয়া, মোবাইলে কথা বলা, whatsapp এ চ্যাট করা হত। মাঝে মাঝে দেখা হলে কথাও হত, সরাসরি। আড্ডা হত এক সাথে।
whatsapp এ মীম গান শুনাতো রিয়াদকে। সুন্দর গলা, যে শুনবে সেই প্রেমে পড়ে যাবে এমন সুন্দর। এ সুন্দর গলায় বকা দিলেও তাও মিষ্টি লাগবে। বার বার শুনতে ইচ্ছে করবে। শুধু গলা সুন্দর না। মীম দেখতেও ভয়াবহ সুন্দর। সৌন্দর্যকে কে অবহেলা করতে পারে? কেউ পারে না। রিয়াদ ও পারে নি। টুপ করে মীমের প্রেমে পড়ে গেছে। মীম ও মিষ্টি মিষ্টি কথা বলত রিয়াদের সাথে।
নিয়মিতই মীমের সাথে কথা হত। ফেসবুকে, মোবাইলে, whatsapp এ। প্রেমে পড়ে গেলে জানতে ইচ্ছে করে। রিয়াদ জানে তার নিজের সম্পর্কে। নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে। জানে সে মীমের যোগ্য না। ছেলেরা যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, শুধু ইচ্ছে থাকতে হয়। থাকতে হয় লক্ষ। রিয়াদ তার লক্ষ পেয়েছে। এখন শুধু মেয়েটিকে জানাতে হবে।
রিয়াদ নিজের কথা, পছন্দের কথা সব মিলিয়ে বিশাল একটা মেসেজ লিখে পাঠিয়েছে মীমকে। এরপর?
কোন রিপ্লাই নেই। রিয়াদের ফোন রিসিভ বন্ধ। whatsapp এ চ্যাট এর রিপ্লাই বন্ধ। ফেসবুকে মেসেজ দিয়েছে এরপর রিয়াদ, সেগুলোর রিপ্লাই ও বন্ধ।
কেন রিল্পাই দিচ্ছে না, তা তো বলা দরকার। কিছু তো বলবে…
এক দিন … দুই দিন … তিন দিন পর মীম রিপ্লাই দিল। রিয়াদ ভাইয়া, পঁচা কথা বলে না।
THE END!