ডেটা সেন্টার এবং এনার্জি

গ্লোবাল এনার্জির শতকরা এক পার্সেন্টের বেশি খরচ হয় ডেটা সেন্টার গুলোর পেছনে। এক পার্সেন্ট শুনতে কম মনে হলে শুধু মাত্র ডেটা সেন্টারের পেছনে এই পরিমাণ এনার্জি খরচ মানে অনেক। কোন কারণে ডেটা সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে ডেটা হারানো। এই জন্য ফলব্যাক এনার্জি সোর্স রেডি রাখে।

আমি চিন্তা করছি অন্য দিক থেকে। পৃথিবীর কি পরিমাণ রিসোর্স আমরা নষ্ট করছি। এই ডেটা সেন্টার গুলোতে যে ম্যাটেরিয়াল গুলো ব্যবহার করা হয় হার্ড ডিস্ক, প্রসেসর, মাদারবোর্ড ইত্যাদি তৈরি করতে, সেগুলোও কিন্তু রেয়ার ম্যাটেরিয়াল।

ধারণা করা হচ্ছে শুধু ইউটিউবের স্টোরেজ এক্সাবাইট (১ বিলিয়ন গিগাবাইট) ক্রস করেছে। সবার কাছেই প্রচুর পরিমাণ ডেটা। পুরা গুগলের কাছে ১০ বিলিয়ন গিগাবাইট প্লাস ডেটা রয়েছে। এভাবে চিন্তা করতে পারেন। পৃথিবীর সবার কাছে একটা করে এক গিগাবাইট হার্ড ডিস্ক থাকলে যত ডেটা রাখা যাবে, তার থেকে বেশি ডেটা গুগলের কাছে রয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় জিনিস গুলো আমাদের ইমাজিনেশন থেকেও বড়। কি যে কমপ্লেক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এগুলোর পেছনে কাজ করছে। যেহেতু প্রচুর পরিমাণ এনার্জি লাগছে এসব ডেটা সেন্টারের পেছনে। গুগল ঘোষণা দিয়েছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট ব্যবহার করবে।

আমাদের বর্তমান যে প্রযুক্তি রয়েছে ডেটা স্টোরেজের, তার ইফিসিয়েন্সি নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে। প্রশ্ন করেছেও বিজ্ঞানীরা। নতুন কিছু আবিষ্কারের আসায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন DNA স্টোরেজ। যে কোন প্রাণীর DNA তে প্রচুর ডেটা এনকোডেড থাকে। ইফিসিয়েন্টও। এক গ্রাম DNA তে প্রায় 250 পেটা বাইট বা প্রায় আড়াই লক্ষ টেরাবাইট ডেটা রাখা যাবে। মাত্র এক গ্রামে। একজন মানুষের শরীরের এভারেজ ৬০ গ্রাম DNA থাকে। যদি এক এক সূত্র এক এক তথ্য দেয়। যাদের সঠিক তথ্য দরকার, কাইন্ডলি গুগল করে নিয়েন। একটু নিজেদের দিকে তাকাই। আমরা বিল্টইন অপটিমাইজড একটা মেশিন। আল্লাহু আকবার।

যাইহোক, DNA স্টোরেজ নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। যদিও ডিজিটাল ডেটা এনকোড এবং ডিকোড করতে সফল হয়েছে। সামনে হয়তো এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। নতুন প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ রয়েছে খুব। চাই ইফিশিয়েন্ট কিছু আসুক। পৃথিবীর জন্য যা খুব দরকার।

Leave a Reply