টিনএজ

টিনএজে অনেকেই প্রেমে পড়ে। টিনএজে প্রেমে পড়াটা স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হচ্ছে ঐ সময় প্রেমে না পড়া। এ সময় কেউ নিজের এই ভালো লাগা নিজের মধ্যেই রাখে। আর কেউ কেউ প্রকাশ করে।

টিনএজের পৃথিবীটা অনেক ছোট থাকে। স্কুল/ কোন আত্মীয় এর বাড়ি / কোথাও ঘুরতে গেলে ঐ জায়গা গুলো। এই।

নিজের চারপাশের মধ্যের সেরাটা পছন্দ করার স্বভাব সকল মানুষের মধ্যেই কাজ করে। তাই তারা যখন কাউকে পছন্দ করে, তার ঐ চারপাশ থেকেই পছন্দ করে।

সে যদি নিজের চারপাশ বড় করত, হয়তো সে আরো ভালো একজন সঙ্গী খুঁজে পেতে পারত, যে তাকে আরো বেশি বুঝতে পারত। তাকে আরো বেশি কেয়ার করতে পারত।

আরো ভালো একজন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া না পাওয়া পরের ব্যাপার। ঐ বয়সে প্রেম করলে বেশি ক্ষতি হয় নিজেরই। টিনএজের প্রেম বেশির ভাগই ফ্যামিলি মেনে নেয় না। আর এতে ঐ ছেলেটি বা মেয়েটি নিজেকে ফ্যামিলি থেকে গুটিয়ে নেয়। সবার সাথে শেয়ার করার মনোভাব চলে যায়। নিজের জগতটাকে ছোট করে ফেলে। এতে দুঃচিন্তা, একাকীত্ব বা অনেক ধরণের মানসিক সমস্যায় ভুগে। ঐ সময়টা জীবনের খুবি গুরুত্বপূর্ণ সময় থাকায় ঐ সময় যদি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে, তাহলে বাকি জীবন এর ক্ষতি বহন করে বেড়াতে হয়।

মানুষের স্বভাব অনুযায়ীই কাউকে ভালো লাগবে। কারো প্রেমে পড়বে। এগুলো স্বাভাবিক। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে এগুলো থেকে নিজের জীবনের বড় কোন ক্ষতি হয় না। অনেকেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে আনে। এমন না যে কাউকে ভালো লাগলে তা প্রকাশ না করে নিজের মধ্যে রেখে দিলে তারা ভালো থাকে। তারা আরো বেশি ভোগে। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ করতে হয়। সব সময় একটা দোটানার মধ্যে বসবাস করে।

চারপাশের পরিবেশেই আমাদের বসবাস করতে হয়। মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধেও কিছু করতে হয়। ভেবে দেখতে হয় নিজের একটু সুখের জন্য অন্য কারো ক্ষতি হয় কিনা। ভালো মন্দ নিজের কাছেই। নিজেকে নিজে বিশ্বাস করলে, নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে চললে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক কিছুই এড়ানো যায়।

যে কথাটা মাথায় রাখা দরকার, তা হচ্ছে কাউকে হঠাৎ ভালো লাগাটা সাময়িক। ঐ ভালোবাসাটাও অল্প কয়েক দিনের জন্য। কিন্তু নিজের মা বাবা বা পরিবারের ভালোবাসাটা সেই জন্ম থেকে। তারা কোন দিনও খারাপ চায় না। খারাপ ব্যবহার করলেও তা হয়তো একটু ভুল বুঝা বুঝির জন্য। তাদের ভুল ধরিয়ে দিলে বা নিজের ভুল শুধরিয়ে নিলে সব কিছু সুন্দর হয়ে উঠবে।

Leave a Reply