শরতের আকাশ। এই মেঘ মুক্ত তো এ মেঘ যুক্ত। এই রোদ তো এ বৃষ্টি। ঈদের দ্বিতীয় দিন। গতকাল সবাই ব্যাস্থ ছিল। এ বাড়িতে বেড়াতে যাও, ঐ বন্ধুর সাথে দেখা কর। বাসায় মেহমান আসলে তাদের আপ্যায়ন কর। তারপর ও আনিকা বারেন্দায় কয়েক বার এসে উকি দিয়ে গেল কিন্তু অরুনের কোন দেখা নেই। ছেলেটা হয়তো তাকে ভালোবাসে। প্রতিদিনই ছাদে বসে বেহালা বাজায়। কিন্তু সে বারান্দায় আসলেই থেমে যায়। এক পলক তাকিয়ে কেমন উদাস হয়ে যায়।
অরুনের বন্ধরা সবাই মিলে আড্ডা দিবে বলছে বিকেলে। অরুন ঐ খানে গেছে। সবাই কথা বলে আর অরুন কেমন চুপ হয়ে বসে আছে। রিয়াদ অরুন কে জিজ্ঞেস করল কিরে অরুন এত চুপ কেন? অরুন বলল ভালো লাগে না। এই নে সিগেরেটে এক টান দে। সব ঠিক হয়ে যাবে। অরুন হাত বাড়িয়ে সিগেরেট নেয়। আর উদাস হয়ে টান দেয়। কিন্তু তার মন রয়েছে তাদের বাসার ছাদে। ঐ মেয়েটা, নাম না জানা কত সুন্দর একটি মেয়ে, যেন এক পরি, আজ কি আসছে? আজ কি জামা পরছে? তাকে ফুল হাতা লাল রঙের ফতুয়া আর আর ওয়াস করা নীল জিন্সে কি সুন্দর না লাগে। এমনিতেই সে সুন্দর তার পর যে দিন ঐ ড্রেস পরে আসে সে দিন চোখ ফেরাতে পারে না অরুন। বার বার চোখে চোখ পড়ে যায়।
প্রায় সময় এ তো নিচে মুখোমুখি দেখা হয় তার সাথে, তখন ও কেমন নিচের দিকে তাকিয়ে চলে যায়। একবার ও তাকায় না। কিন্ত দূর থেকে আনিকাকে দেখলেই তাকিয়ে থাকে । তাহলে কি আনিকাকে পছন্দ করে না? না করলে বার বার আনিকার দিকে তাকায় না কেন?