ইভান নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। বার বারই হৃদির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। হৃদিকে তার ভালো লেগে গেছে। কিন্তু সে চাচ্ছে না হৃদির প্রেমে পড়ে যেতে। এ জন্যই নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।
এত চেষ্টা করেও কোন লাভ হচ্ছে না। আরো বেশি করে হৃদির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ঘুমুতে যাওয়ার আগে হৃদির চিন্তা করতে করতেই ঘুমিয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠে হৃদি কথা সবার আগে মনে পড়ে। আর সারাদিন তো প্রতিটা কাজেই হৃদির চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
হৃদির বড় বড় চোখ গুলো কি যে ভালো লাগে। ভালো লাগলে হাসলে হৃদির গালে পড়া ডিম্পল। তাছাড়া হৃদি যাই করে, তাই ইভানের কাছে ইউনিক মনে হয়, তাই ভালো লাগে। কিন্তু সে চাচ্ছে ভালো না লাগুক। মন থেকে সরাতে চাচ্ছে। যতই দূরে যাওয়ার চেষ্টা করে, ততই হৃদি যেন তার কাছে আসে।
হৃদির সাথে কথা না বললে চিন্তা করে WhatsApp আনইন্সটল করে। এখান দিয়ে তখন ফেসবুকে দেখা যায় হৃদির স্ট্যাটাস আপডেট। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তখন আবার WhatsApp ইন্সটল করে হৃদির সাথে কথা বলে।
আবার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবে মনে করে WhatsApp আনইন্সটল করে। ফেসবুকে হৃদিকে আনফ্রেন্ড না করে আন ফলো করে দেয়। তখন দেখা যায় আগে যতবার না হৃদির কথা মনে পড়ত, এখন আরো বেশি মনে পড়ে। হৃদি কোন নতুন ছবি দিয়েছে? কোন নতুন স্ট্যাটাস আপডেট দিয়েছে? বার বার হৃদির প্রোফাইলে গিয়ে দেখে আসে। বেচারা ইভান!
সম্ভবত ইভান হৃদির মায়াজালে আটকা পড়ে গেছে। না পারছে মন থেকে সরাতে, না পারছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে। এটা প্রেমে পড়ার পূর্ব লক্ষণ। যে কোন সময়ই ইভান হৃদির প্রেমে পড়ে যাবে। না না, সম্ভবত ইভান হৃদির প্রেমে পড়ে গিয়েছে।