অনেক আগের কথা, ২০১০ এর শেষের দিকে। আউটসোর্সিং সম্পর্কে একটূ একটূ জানতাম। যা জানতাম তার মধ্যে একটা ভুল ধারনা মনে গেথে গিয়েছিল। আর তা হচ্ছে ফ্রীল্যান্সিং করতে পেপাল একাউন্ট লাগে। কি ভুল ধারনাই না ছিল। তখন অল্প কিছুদিন আমি ফ্রীল্যান্সিং এর কথা চিন্তা না করে পেপাল একাউন্টের কথা চিন্তা করতাম। বিদেশে কে আছে পরিচিত, তাদের মাধ্যমে পেপাল একাউন্ট তৈরি করতে পারি কিনা সেই চেষ্টা করলাম। পেপাল কি তাই জানে না অনেকে। অনেক কিছু বুঝতে হত দেখে আমি নিজের থেকেই ক্ষ্যন্ত দিলাম।
কিন্তু তখন আমি জানতাম না যে পেপাল একাউন্ট ছাড়াই ফ্রীল্যান্সিং করা যায়। ফ্রীল্যানিন্স যখন শুরু করছি তখন ও জানতাম না যে পেপাল এর অনেক গুলো বিকল্প রয়েছে। টাকা পাওয়ার পর তা পকেটে আনার চিন্তা যখন করছি তখন এমনিতেই অনেক রাস্তা খুলে গিয়েছে।
অনেকেরই ধারনা আউটসোর্সিং কাজ করে ভাল টাকা উপার্জন করা যায় । কিন্তু বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সরদের অন লাইনে আয়ের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হল Paypal। বিশ্বের ১৯০ টা দেশে Paypal ব্যাবহার করা গেলেও বাংলাদেশে ব্যাবহার করা যায় না । এতে করে অনেক client হারাতে হয় এবং উপার্জিত টাকা উত্তলন করতেও সমস্যা দেখা দেয়। আমি অনেক ফ্রীল্যান্সারকে চিনি, কই তারা তো কাজের অভাবে পড়ে নি। উলটো তাদের কাজের চাপে টীম খুলতে বাদ্য হতে হয়েছে।
যাদের মধ্যে এ ভুলটা গেথে রয়েছে তাদের ভুলটা ভাঙ্গানো দরকার। তাহলে পেপাল একাউন্ট না থাকলে অনেকেই আউটসোর্সিং এর প্রতি অনুৎসাহিত ত হবে।
আজ দুইজন ফ্রীল্যান্সারের গল্প জানলাম। রাসেল ভাই এবং মামুন ভাই। দুই জনের ই আজ টীম রয়েছে। দুইজনই আজ বড় ফীল্যন্সার। রাসেল ভাইয়ের ইচ্ছেটাও অনেক বড়। উনার লেখাথেকেই পড়ি
“আমি আগামী ১ বছরের মধ্যে আমার জেলাকে বেকারমুক্ত করতে চাই। আমি কিছু প্রতিবন্ধীকে কাজ শেখাতে চাই যাতে তারা কারও বোঝা না হয়ে থাকেন। আগামী ১ বছরের মধ্যে আমি ১ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করব যারা প্রতি মাসে আমার মত ১ লক্ষ টাকা করে মাসে ইনকাম করবে। প্রতি মাসে ১০০০ লক্ষ টাকা আয় করবে আমার ওয়ার্কার রা।”
ইচ্ছে যেহেতু উনি করছে, সফল ও হবেন। একবছরে ১০০০ জন না তৈরি করতে পারলে ও ৫০০ জন তৈরি করতে পারবেন। ঐ ৫০০ জন আর উনি যদি পরের বছর ১০ জন কেও শিক্ষা দেয় তাহলে তার পরের বছরে ৫০০০ হাজার জন। পরের বছর আরো অনেক বেশি হবে। এরকম ইচ্ছে গুলো অল্প কয়েকদিনেই সব কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে। দোয়া করি রাসেল ভাই এর ইচ্ছে গুলো সফলতার মুখ দেখুক। অন্য সব লোকের মত তাকে কথা বলতে বসে থাকতে দেখি নি। তিনি পারবেন ইনশাহ আল্লাহ।
😀
অনেক প্রেরনাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে, না পাওয়ার মাঝেও আছে হাজার পাওয়া 🙂
লেখক হিসেবে এদের নিয়েই আমি লিখব। নতুন মিশন। 🙂
আপনার টাইটেলটা আমার কাছে ঠিক মনে হয় নি । আপনার টাইটেল দেয়া উচিত ছিল “ফ্রীল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় বাঁধা Paypal এটা কি সত্যি ? তাহলে বাংলাদেশের হাজার তরুন কাজ করছে কিভাবে?” । আমি এবং আমার পরিচিত অনেকেই fiverr.com এ কাজ করি যেখানে একমাত্র পেমেন্ট পেপাল । ফ্রীল্যান্সিং এ মানিবুকার্স , মাষ্টারকার্ড সাপোর্ট করে । পেপাল থাকুক বা না থাকুক কিছু আসে যায় না কিন্তু Fiverr.com এ কি করবেন ? শুধুমাত্র পেপালের জন্য আমার এখানে ৫০০ ডলার ঝুলে আছে 🙁
আপনি যা বলছেন আমি তো তাই দিয়েছি টাইটেল 🙁
সত্যিই ওনারা আমাদের নতুন করে শুরু করার প্রেরণা দেন 🙂
আগে অভাববোধ করতাম পেপালের। কিন্তু এখন মাস্টারকার্ড থাকায় সেটি ব্যবহার করছি। তবে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। তখন বন্ধুর পেপ্যাল একাউন্টে পেমেন্ট নেই। ধন্যবাদ অনুপ্রেরণামূলক লেখাটির জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভালোই বলেছো! আসলেই অনেকেই এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারনে বিপাকে পড়ে তাদেরকে জানানো উচিত যে এই পথ পথ নয় আরো পথ আছে!!! তোমার সচেতনতামূলক ব্লগিং কে সাধুবাদ।
🙂
🙂
আপনি http://www.mastercards.co এর কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন অ্যামাজন, ইবে, আলি এক্সপ্রেস, গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপল স্টোর, গো ড্যাডি সহ যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে যেখানে মাস্টারকার্ড এ লেনদেন গ্রহণযোগ্য। এমিরেটস, এয়ারএশিয়া, নভোএয়ার থেকে ফ্লাইটের টিকেট কেনা যায়, অনলাইনে যেকোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যায়; যেকোনো বিদেশী কলেজ বা ইউনিভারসিটিতে ভর্তির ফিস জমা দেয়া যায়; জিআরই, জিম্যাট, টোফেল, স্যাট ইত্যাদি পরিক্ষার ফিস; ভিসা ও ইমিগ্রেশন প্রসেসিং এর ফিস জমা দেয়া যায়।
বিশ্বের এক মিলিয়নের বেশি সাইট থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন (যেমনঃ Amazon, E-Bay, Ali express, Rakuten, Overstock etc.)। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আপনার ইম্পোর্ট -এক্সপোর্ট বিজনেস এর জন্য অনায়াসে পেমেন্ট করুন নিরাপদে।সবই একসাথে Q Card এর সাথে। website: http://www.mastercards.co
Pay pal ছাড়া কিভাবে করা যায়?