অসাধারণ হতে কার না ইচ্ছে করে? ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া অনেক সহজ। কোন কিছু করার চেষ্টা না করা বা সবাই যা করে, তাই করা। কিন্তু আমরা কি চাই সাধারণ কেউ হতে? চাই না, অথচ প্রতিনিয়ত একগুয়েমি রুটিন মেনে চলি। নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করি না। অথচ অসাধারণ হতে হলে অন্যদের থেকে একটু বেশি চেষ্টা করতে হয়। ‘একটু’ বেশি। ‘বেশি’ বেশি না।
কিভাবে? নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। প্রতিদিন আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। এর বেশি কিছু করতে হবে না। আগের দিন থেকে যদি ১% ও বেশি উন্নতি করা যায় নিজেকে, একটু হিসেব করে দেখেন তো এক বছর পর কোথায় পৌছানো যাবে? অনেক অনেক দূর পৌছে যাওয়া যাবে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সব কিছু আগামীদিনের জন্য রেখে দেই। এতে অনেক গুলো আনপ্রোডাক্টিভ দিন পেছনে ফেলে চলে আসি। পেছনের দিন গুলোতে যা করেছি, তাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। যদি আমাদের বর্তমান খারাপ হয়, তার জন্য দায়ী পেছনে পেলে আসা আনপ্রোডাক্টিভ দিন গুলো।
এভারেজ না হতে চাইলে, অসাধারণ কিছু করতে চাইলে ভবিষ্যৎ এ করব, এ চিন্তা বাদ দিয়ে বর্তমান, আজ, এখনকার সময়টাতেই ফোকাস করা উচিত। সামনের কাজটাতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া উচিত। খাওয়া দাওয়া করছেন? সমস্যা নেই, সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করুন। ঘুমাচ্ছেন? মোবাইলটা পাশে রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। যেন পরের দিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠার জন্য রুটিনের গড়মিল না হয়ে যায়। মুভি দেখছেন? মুভিই দেখুন, অন্য কিছুতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই। কাজ করছেন? সম্পূর্ণ মনোযোগ যেন আপনার ঐ কাজেই থাকে। বাকি সব ধ্বংস হয়ে যাক, কিন্তু হাতে যেটা রয়েছে, যেন আপনার ফোকাস সেখানেই থাকে।
আমাদের থেকে সেরা অনেকেই আছে, থাকবে। তাদের কারো সাথে তুলনা না করে নিজের প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। একটু একটু করে। একদিন দেখবেন সবাইকে ছাড়িয়ে সেরা হয়ে উঠেছেন। শুধু একটু বাড়তি চেষ্টা করে। আর বেশি কিছু না। 🙂
দন্যবাধ