কোন শিক্ষাই ফেলে দেওয়ার মত না। সব গুলো জ্ঞানই কোন না কোন ভাবে কাজে লাগানো যায়। যখন কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হয়েছি, তখন দেখলাম কম্পিউটার সাইন্স এর বিষয় গুলো থেকেও অনেক আজাইরা বিষয়তে কোর্স আউট লাইন ভর্তি। ক্লাস করতে বিরক্ত লাগত।
আসছি সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হতে, আমাদের গণিত, পদার্থ, রসায়ন, পরিসংখ্যান, ইকোনোমিক্স, একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট আরো অনেক গুলো বিষয়ের উপর পড়ানো হচ্ছে। বিরক্ত লাগারই কথা।
পড়ালেখা শেষ করে যখন কাজ করা শুরু করলাম, তখন দেখতে পেলাম ঐসব গুলোই কোন না কোন ভাবে কাজে লাগতেছে। এমনকি স্কুল কলেজ বা ইউনিভার্সিটির বই গুলোর বাহিরে যে বই গুলো পড়েছি, সে গুলোও কাজে লাগছে।
এক একটা জ্ঞান এক একটা টুল এর মত। যার টুলবক্স/ থলিতে যত বেশি টুল থাকবে, সে তো তত দ্রুত কোন সমস্যা সমাধান করতে পারবে। তাই না?
আমাদের কম্পিউটার সাইন্স এর বাইবেল হচ্ছে Introduction to Algorithms by Thomas H. Cormen. বইটি অনেক বড়। আর এত্ত গুলো বিষয় আলোচনা করা হয়েছে যে অনেকেই বইটি সম্পুর্ণ পড়ে না। নিজের প্রয়োজনে যত গুলো চ্যাপ্টার দরকার, সে গুলোই পড়ে। এক ব্যাক্তি quora তে প্রশ্ন করেছে, এ বইটি কয়জনে সম্পুর্ণ পড়েছে?
ঐখানে একজন লিখেছে আমি বইটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি। ঐ ব্যাক্তি একজন প্রোগ্রামার ও নয়, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারও নয়। উনি একজন নিউরোসার্জন। উনি বইটি পড়ার কারণ হিসেবে লিখছেন যে আরো ভালো প্রোবলেম সলভার হিসেবে কাজ করার জন্যই বইটি পড়েছেন। লিখেছেন নিজের কাজের ক্ষেত্রের সমস্যা গুলো সমাধান করার জন্য ডিফরেন্ট একটা টূলবক্স যুক্ত করেছেন… যা তার ফিল্ডের অন্যদের নেই। নিশ্চই উনি উনার ফিল্ডের যে কারো থেকে এগিয়ে থাকবেন।
জ্ঞান গুলো এমনি। কখন কোন জ্ঞান কিভাবে লেগে যায় আমরা তা বলতে পারি না। যার জ্ঞান যত বেশি থাকবে, যার জ্ঞানে ভেরিয়েশন থাকবে, সে সাধারণ মানুষ গুলো থেকে অন্য ভাবে চিন্তা করতে পারবে। হয়তো আগে অনেক কমপ্লেক্স ভাবে কোন কাজ করা হতো, কোন সমস্যার সমাধান করা হতো। আর যে অন্য ভাবে চিন্তা করতে সক্ষম হবে, সে বের করে ফেলতে পারবে সর্টকার্ট কোন রাস্তা… সহজেই সমাধান করার উপায়। যা ভিন্ন ভিন্ন পুঁতি একই সুতায় গাঁথার মত 🙂